আসসালামু আলাইকুম আপনারা জানেন দই,রসমালাই এবং খিরসার অরডার নেয়ার আর মাত্র ২ দিন বাকি আছে।আর এই ২ দিন ব্যাপী আপনাদের জন্য চলবে বি... @ (https://ift.tt/3kOytPN) by Sayma Akter Tanha from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
আসসালামু আলাইকুম
আপনারা জানেন দই,রসমালাই এবং খিরসার অরডার নেয়ার আর মাত্র ২ দিন বাকি আছে।আর এই ২ দিন ব্যাপী আপনাদের জন্য চলবে বিশেষ অফা
এই ২ দিনের অরডারগুলো নিবো সরবনিম্ন রেটে।
১/কুমিল্লার অরিজিনাল মাত্রিভান্ডারের রসমালাই মাত্র ৩৫৯ টাকা কেজি।
২/ বগুড়ার বিখ্যাত দই মাত্র ১৯৯ টাকা সরাএবং
৩/বগুড়ার মজাদার ও লোভনীয় খিরসা মাত্র ৩৫৯ টাকা সরা।
আশা করছি যারা দাম বেশি বলে নিতে চান নি তারা এই সুযোগ টা মিস করবেন না।জলদি জলদি অরডার করুন এবং বুঝে নিন এই লোভনীয় অফারটি।
(Feed generated with FetchRSS) আসসালামু আলাইকুম আপনারা জানেন দই,রসমালাই এবং খিরসার অরডার নেয়ার আর মাত্র ২ দিন বাকি আছে।আর এই ২ দিন ব্যাপী আপনাদের জন্য চলবে বি... @ (https://ift.tt/3kOytPN) by Sayma Akter Tanha from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
ডোমেইন কিনা আছে। ই কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে চাই। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ😊 @ (https://ift.tt/2HpvQWe) by Md Shugan Islam from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
ডোমেইন কিনা আছে।
ই কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে চাই।
আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন।
ধন্যবাদ😊
(Feed generated with FetchRSS) ডোমেইন কিনা আছে। ই কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে চাই। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ😊 @ (https://ift.tt/2HpvQWe) by Md Shugan Islam from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
নতুন কারো E-commerce সাইট থাকলে সাড়া দেন ফ্রিতে প্রমোট করে দিব @ (https://ift.tt/3cvkADr) by Farhan Khan from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
নতুন কারো E-commerce সাইট থাকলে সাড়া দেন ফ্রিতে প্রমোট করে দিব
(Feed generated with FetchRSS) নতুন কারো E-commerce সাইট থাকলে সাড়া দেন ফ্রিতে প্রমোট করে দিব @ (https://ift.tt/3cvkADr) by Farhan Khan from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
চীন শিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর মুসলিম সংখ্যালঘু নিপীড়নের সঙ্গে সংযোগ আছে এমন আরো ৩৮০টি বন্দিশিবিরের সন্ধান পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীন শিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর মুসলিম সংখ্যালঘু নিপীড়নের সঙ্গে সংযোগ আছে এমন আরো ৩৮০টি বন্দিশিবিরের সন্ধান পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই)। খবর বিবিসি।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা।
এদিকে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক নিন্দা এবং চাপের মধ্যেও চীন বন্দিশিবিরের সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে।
যদিও চীনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, তারা উইঘুরদের মুক্তি এবং দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউট (এএসপিআই) বলছে, শিনজিয়াংয়ে আনুমানিক ৩৮০ টি বন্দিশিবির আছে। যা আগের ধারণার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে বিবিসি জানিয়েছে, আগের তদন্তে বন্দিশিবিরের যে আনুমানিক হিসাব করা হয়েছিল, তার চেয়ে আরও ১শ’টি বেশি বন্দিশিবির পাওয়ার কথা বলা হয়েছে এএসপিআই-এর প্রতিবেদনে।
এছাড়াও স্যাটেলাইটে তোলা ছবি, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন সরকারি নথি বিশ্লেষণ করে এই শিবিরগুলোর অস্তিত্ত্ব চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুলাইয়ের মধ্যে অন্তত ৬১ টি বন্দিশিবির বাড়ানো হয়েছে। আরও ১৪ টি শিবিরের নির্মাণকাজ এখনও চলছে।
অপরদিকে, চীন এই বন্দিশিবিরগুলোকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলে দাবি করে আসছে। তাদের ভাষ্য, শিনজিয়াংয়ে দারিদ্র্য এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ মোকাবিলায় এইসব কেন্দ্রে মূলত জাতীয়তাবাদ ও আদর্শের দীক্ষা দেওয়া এবং চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হয়।
তবে, যুক্তরাষ্ট্র এই কেন্দ্রগুলোকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের সঙ্গেই তুলনা করেছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোও বলছে, অন্তত ১০ লাখ উইঘুর ও অন্যান্য তুর্কিভাষী-মুসলিম অধিবাসীদের এই সমস্ত আটককেন্দ্রে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/abroad/174611/চীনে-বিপুল-সংখ্যক-নতুন-উইঘুর-বন্দিশিবিরের-সন্ধান
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় বৃহস্পতিবার ২-১ গোলে জিতে শিরোপা উৎসব করে হান্স ফ্লিকের দল। প্রতিযোগিতায় জার্মান ক্লাবটির এটি দ্বিতীয় শিরোপা।
লুকাস ওকাম্পোস সেভিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন লেয়ন গোরেটস্কা। অতিরিক্ত সময়ে জয়সূচক গোলটি করেন মার্তিনেস।
বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-ই হলো। বায়ার্ন আগের মতোই দুর্বার ছিল। অন্যদিকে ইভান রাকিতিচকে পেয়ে সেভিয়ার শক্তিও বেড়েছে। বার্সেলোনা থেকে সেভিয়ায় ফিরে গেছেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় জয়-পরাজয় নির্ধারন হয়নি। দু'দলই গোল আদায় করতে পেরেছে একটি করে। তবে অতিরিক্ত সময়ে বায়ার্ন এগিয়ে গেলে সেভিয়া আর গোল পায়নি। সেখানেই ম্যাচের ফল নির্ধারন হয়েছে।
এ নিয়ে উয়েফা সুপার লিগের টানা পঞ্চম ফাইনাল হারল সেভিয়া। সর্বশেষ ২০০৬ সালে বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল স্প্যানিশ ক্লাবটি।
পুসকাস অ্যারেনায় বায়ার্ন-সেভিয়ার লড়াই গ্যালারি থেকে দেখেছে কয়েক হাজার মানুষ। করোনাল মধ্যেও ২০ হাজার দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। দর্শকদের সামনে ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সেভিয়াকে এগিয়ে নেন ওকাস্পোসে। এই গোলের কারিগর ইভান রাকিতিচ। ডি-বক্সে তাকে থামাতে ফাউল করে বসেন বায়ার্নের ডিফেন্ডার ডেভিড আলবা। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
গোল হজম করার পর যেনো তেঁতো উঠে বায়ার্ন। দুই মিনিট পরই বেঞ্জামিন পাভার্ড গোল পেতে পারতেন। কিন্তু অল্পের জন্য তার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। খানিক পর রবার্ট লেভানডফস্কির শট ফেরান সেভিয়া গোলরক্ষক। বায়ার্ন সমতাসূচক গোলটা পায় ৩৪ মিনিটে গিয়ে।
ডি-বক্সে বল পেয়ে ভলিতে মারিও গোরেৎস্কার দিকে বাড়ান লেভানডফস্কি। ডান পায়ের জোড়ালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন গোরেৎস্কা। দুই মিনিট পর সেভিয়ার ডি ইয়ং বল জালে জড়িয়ে দিয়ে উল্লোসে মেতে উঠেন। কিন্তু অফ সাইডে বাতিল হয়ে যায় গোলটি। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে লেভানডফস্কিরও। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বল জালে জড়িয়েছিলেন পোল্যান্ড তারকা। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিয়ে অফ সাইডে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সেভিয়া। কিন্তু ৮৮ মিনিটে বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি সেভিয়ার এন-নেসাইরি।
অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা। অতিরিক্ত সময়ের ১৪ মিনিটে বায়ার্নকে জয়সূচক গোলটা এনে দেন জাভি মার্টিনেজ। আলবার গোলমুখে শট সেভিয়া গোলরক্ষক ফেরালে ফাঁকায় দাঁড়ানো মার্টিনেজ বল পেয়ে যায়। গোল করতে ভুল করেননি স্প্যানিশ ফুটবলার। এরপর আর গোল না হওয়াতে শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয়ে শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে বায়ার্নের।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/sports/174609/হাড্ডাহাড্ডি-লড়াইয়ে-উয়েফা-উয়েফা-শিরোপা-জিতলো-বায়ার্ন
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভোলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ডি ওয়াই ডি এফ) এর সিলেট বিভাগের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আজির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাতিন ও সিলেট জেলার আহবায়ক ফাহিম আহমদ রোকন
এর যৌথ পরিচালনায়
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ধ্রুবতারার কেন্দ্রীয় নির্বাহী সম্পাদক অমিয় প্রাপন চক্রবর্তী অর্ক , প্রধান আলোচক হিসাবে ছিলেন সিলেট বিভাগের যুব উন্নয়ন এর উপ পরিচালক আলা উদ্দিন, সিলেট জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ,কেন্দ্রীয় ধ্রুবতারার ডাইরেক্টর কাজি সালমান হুসেন,ধ্রুবতারার সচিবালয়ের সহকারী প্রধান মেহেদী জেনেট,কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কবিরুল ইসলাম কবির,গোলাপগঞ্জ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিরা শিলা,কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েল বিশ্বাস, বিভাগীয় যুব উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি আফিকুর রহমান আফিক,সিলেট বিভাগের সহ সভাপতি প্রভাষক তোফায়েল আহমেদ, ধ্রুবতারার সিলেট বিভাগীয় সহ-সভাপতি তুহিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদহ রশিদুল ইসলাম রাশেদ ,ধ্রুবতারার সিলেট বিভাগীয় নেতা রাফিউল করিম মাসুম ,সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সনজয় কান্তি দাশ, সালাউদ্দিন বাবু, কবি মিলন কান্তি দাশ, ধ্রুবতারার বিভাগীয় নেতা এম.এ শাহ শামীম,শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলার যুগ্ম আহবায়ক শহীদ আলী।,তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন ধ্রুবতারার সিলেট জেলার যুগ্ম আহবায়ক তানবীর হাসান, সিনিয়র সদস্য মারুফ আহমেদ, ইন্জিনিয়ার রুপম, ইন্জিনিয়ার সৌমিক ,রিপন সরকার , স্থপতি নন্দনাংশু ধ্রুব , সদস্য মিজান, সানিউল, নিয়ামুল,ইমন,লিপেন,আলী হোসেন,জুনায়েদ , লুৎফুর সহ প্রমুখ।
শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সিলেট জেলা ধ্রুবতারার সদস্য কামরান হুসাইন।
Post Written by : Shahadat Hosen
Original Post URL : https://ift.tt/33WLY9n
Post Come trough : নাচোল নিউজ
করোনা: সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ কোটি ২১ লাখের বেশি
স্বাস্থ্য
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিতে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২১ লাখ ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এ মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯ লাখ ৮১ হাজার। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার ৮০৫ জন।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ লাখ ৮১ হাজার ৭৫৪ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৫৫ জনে। ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার ৮০৫ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ২ লাখ ২ হাজার ৭৬২ জন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যাও বিশ্বে সর্বোচ্চ, ৬৯ লাখ ৭৬ হাজার ২১৫ জন।
আর আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় ও মৃতের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে আছে ভারত। দেশটিতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৫৭ লাখ ৩২ হাজার ৫১৮ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছে ৯১ হাজার ১৪৯ জন।
মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় ও আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ লাখ ৫৭ হাজার ৭০২ জন।
মৃতের সংখ্যায় চতুর্থ অবস্থানে আছে মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৭৫ হাজার ৪৩৯ জন। আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৫৭ জন।
করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে আছে রাশিয়া। দেশটিতে আক্রান্ত ১১ লাখ ২৩ হাজার ৯৭৬ জন। আর মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৬৭ জন।
আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে উঠে এসেছে কলম্বিয়া। দেশটিতে আক্রান্ত ৭ লাখ ৯০ হাজার ৮২৩ জন। আর মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৪৬ জন।
আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থানে আছে পেরু। দেশটিতে আক্রান্ত ৭ লাখ ৮২ হাজার ৬৯৫ জন। আর মৃতের সংখ্যা ৩১ হাজার ৮৭০ জন।
করোনায় মৃতের দিক থেকে পঞ্চম অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৪১ হাজার ৯৯১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৮৯ জন।
আর দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্ত ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪৯ জন এবং মারা গেছে ১৬ হাজার ২৮৩ জন। ইউরোপের দেশ ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭৮১ জন এবং আক্রান্ত ৩ লাখ ৪ হাজার ৩২৩ জন। ফ্রান্সে মারা গেছে ৩১ হাজার ৫২৪ জন এবং আক্রান্ত ৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৯ জন।
স্পেনে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ১১৮ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৪ হাজার ২০৯ জন। এছাড়া জার্মানিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ২ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৬ জন, মারা গেছেন ৯ হাজার ৪৩৬ জন। ইরানে আক্রান্ত ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৩১৯ জন, মারা গেছেন ২৫ হাজার ১৫ জন।
পাকিস্তানে আক্রান্ত ৩ লাখ ৮ হাজার ২১৭ জন, মারা গেছেন ৬ হাজার ৪৩৭ জন। কানাডায় করোনায় আক্রান্ত ১ লাখ ৫১ হাজার ৮৭ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ২৯৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৪ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৭২ জন। এছাড়া মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ২ লাখ ৬৫ হাজার ৯২ জন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/health/174612/করোনা:-সুস্থ-হয়ে-বাড়ি-ফিরেছেন-২-কোটি-২১-লাখের-বেশি
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অসদাচরণের অভিযোগে মামলা করেছেন তার ভাতিজি ম্যারি ট্রাম্প। আলজাজিরা জানায়, বৃহস্পতিবার ম্যারি ট্রাম্প উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া দশ মিলিয়ন ডলার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ ট্রাম্প ও তার সহোদরদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে ট্রাম্প, ট্রাম্পের বোন মারিয়ানা ট্রাম্প ব্যারি ও ট্রাম্পের প্রয়াত ভাই রবার্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বড় ধরনের জালিয়াতি ও অসদাচরণের অভিযোগ আনেন তিনি।
অভিযোগে বলা হয়, ম্যারির দাদা ফ্রেডের ট্রাম্প, যিনি ১৯৯৯ সালে মারা যান, তার রেখে যাওয়া বিপুল সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে ব্যবহার করেন ট্রাম্প ও তার সহোদররা।
ম্যারি ট্রাম্পের আইনজীবী জানান, ট্রাম্প ও তার সহোদররা সম্পত্তির মূল্য নিয়ে ম্যারি ট্রাম্পের সঙ্গে বারবার মিথ্যে বলেছেন ও পরবর্তীতে বিভিন্ন ন্যায্য উত্তরাধিকারী পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছেন।
তবে এই বিষয়ে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের আইনজীবীরা কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন।
এর আগে চাচা ট্রাম্পকে নিয়ে বই লিখে আলোচনায় এসেছিলেন মনোবিজ্ঞানী ম্যারি। বহুল আলোচিত বইটি প্রকাশিত হওয়ার প্রথম দিনেই প্রায় ১০ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে বলে জানান এর প্রকাশক।
ম্যারি ট্রাম্পের স্মৃতিকথা বিষয়ক বইটির নাম ‘টু মাচ অ্যান্ড নেভার এনাফ: হাও মাই ফ্যামিলি ক্রিয়েটেড দ্য ওয়ার্ল্ড’স মোস্ট ডেঞ্জারাস ম্যান’। অর্থাৎ ট্রাম্প পরিবার থেকে কীভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক মানুষটি গড়ে উঠে, ম্যারি ট্রাম্পের বর্ণনাতে বইটিতে তাই উঠে এসেছে।
নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বইটি প্রকাশ রোধ করতে নানা চেষ্টা চালিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে ১৪ জুন প্রকাশ করা বাজারে আসার আগেই সবার দৃষ্টি কাড়ে বইটি।
এই বইয়ে ট্রাম্পের ঔদ্ধত্য ও অবহেলার অনেক অভিযোগ তোলেন ট্রাম্প। কীভাবে ট্রাম্প ‘নার্সিসিস্ট’ তথা আত্ম-অহংকারী হয়ে উঠেছেন তাও উল্লেখ করা হয় এতে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/abroad/174610/এবার-ট্রাম্পের-বিরুদ্ধে-ভাতিজির-প্রতারণা-মামলা
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
চীন শিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর মুসলিম সংখ্যালঘু নিপীড়নের সঙ্গে সংযোগ আছে এমন আরো ৩৮০টি বন্দিশিবিরের সন্ধান পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীন শিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর মুসলিম সংখ্যালঘু নিপীড়নের সঙ্গে সংযোগ আছে এমন আরো ৩৮০টি বন্দিশিবিরের সন্ধান পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই)। খবর বিবিসি।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা।
এদিকে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক নিন্দা এবং চাপের মধ্যেও চীন বন্দিশিবিরের সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে।
যদিও চীনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, তারা উইঘুরদের মুক্তি এবং দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউট (এএসপিআই) বলছে, শিনজিয়াংয়ে আনুমানিক ৩৮০ টি বন্দিশিবির আছে। যা আগের ধারণার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে বিবিসি জানিয়েছে, আগের তদন্তে বন্দিশিবিরের যে আনুমানিক হিসাব করা হয়েছিল, তার চেয়ে আরও ১শ’টি বেশি বন্দিশিবির পাওয়ার কথা বলা হয়েছে এএসপিআই-এর প্রতিবেদনে।
এছাড়াও স্যাটেলাইটে তোলা ছবি, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন সরকারি নথি বিশ্লেষণ করে এই শিবিরগুলোর অস্তিত্ত্ব চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুলাইয়ের মধ্যে অন্তত ৬১ টি বন্দিশিবির বাড়ানো হয়েছে। আরও ১৪ টি শিবিরের নির্মাণকাজ এখনও চলছে।
অপরদিকে, চীন এই বন্দিশিবিরগুলোকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলে দাবি করে আসছে। তাদের ভাষ্য, শিনজিয়াংয়ে দারিদ্র্য এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ মোকাবিলায় এইসব কেন্দ্রে মূলত জাতীয়তাবাদ ও আদর্শের দীক্ষা দেওয়া এবং চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হয়।
তবে, যুক্তরাষ্ট্র এই কেন্দ্রগুলোকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের সঙ্গেই তুলনা করেছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোও বলছে, অন্তত ১০ লাখ উইঘুর ও অন্যান্য তুর্কিভাষী-মুসলিম অধিবাসীদের এই সমস্ত আটককেন্দ্রে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/abroad/174611/চীনে-বিপুল-সংখ্যক-নতুন-উইঘুর-বন্দিশিবিরের-সন্ধান
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় বৃহস্পতিবার ২-১ গোলে জিতে শিরোপা উৎসব করে হান্স ফ্লিকের দল। প্রতিযোগিতায় জার্মান ক্লাবটির এটি দ্বিতীয় শিরোপা।
লুকাস ওকাম্পোস সেভিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন লেয়ন গোরেটস্কা। অতিরিক্ত সময়ে জয়সূচক গোলটি করেন মার্তিনেস।
বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-ই হলো। বায়ার্ন আগের মতোই দুর্বার ছিল। অন্যদিকে ইভান রাকিতিচকে পেয়ে সেভিয়ার শক্তিও বেড়েছে। বার্সেলোনা থেকে সেভিয়ায় ফিরে গেছেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় জয়-পরাজয় নির্ধারন হয়নি। দু'দলই গোল আদায় করতে পেরেছে একটি করে। তবে অতিরিক্ত সময়ে বায়ার্ন এগিয়ে গেলে সেভিয়া আর গোল পায়নি। সেখানেই ম্যাচের ফল নির্ধারন হয়েছে।
এ নিয়ে উয়েফা সুপার লিগের টানা পঞ্চম ফাইনাল হারল সেভিয়া। সর্বশেষ ২০০৬ সালে বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল স্প্যানিশ ক্লাবটি।
পুসকাস অ্যারেনায় বায়ার্ন-সেভিয়ার লড়াই গ্যালারি থেকে দেখেছে কয়েক হাজার মানুষ। করোনাল মধ্যেও ২০ হাজার দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। দর্শকদের সামনে ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সেভিয়াকে এগিয়ে নেন ওকাস্পোসে। এই গোলের কারিগর ইভান রাকিতিচ। ডি-বক্সে তাকে থামাতে ফাউল করে বসেন বায়ার্নের ডিফেন্ডার ডেভিড আলবা। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
গোল হজম করার পর যেনো তেঁতো উঠে বায়ার্ন। দুই মিনিট পরই বেঞ্জামিন পাভার্ড গোল পেতে পারতেন। কিন্তু অল্পের জন্য তার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। খানিক পর রবার্ট লেভানডফস্কির শট ফেরান সেভিয়া গোলরক্ষক। বায়ার্ন সমতাসূচক গোলটা পায় ৩৪ মিনিটে গিয়ে।
ডি-বক্সে বল পেয়ে ভলিতে মারিও গোরেৎস্কার দিকে বাড়ান লেভানডফস্কি। ডান পায়ের জোড়ালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন গোরেৎস্কা। দুই মিনিট পর সেভিয়ার ডি ইয়ং বল জালে জড়িয়ে দিয়ে উল্লোসে মেতে উঠেন। কিন্তু অফ সাইডে বাতিল হয়ে যায় গোলটি। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে লেভানডফস্কিরও। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বল জালে জড়িয়েছিলেন পোল্যান্ড তারকা। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিয়ে অফ সাইডে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সেভিয়া। কিন্তু ৮৮ মিনিটে বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি সেভিয়ার এন-নেসাইরি।
অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা। অতিরিক্ত সময়ের ১৪ মিনিটে বায়ার্নকে জয়সূচক গোলটা এনে দেন জাভি মার্টিনেজ। আলবার গোলমুখে শট সেভিয়া গোলরক্ষক ফেরালে ফাঁকায় দাঁড়ানো মার্টিনেজ বল পেয়ে যায়। গোল করতে ভুল করেননি স্প্যানিশ ফুটবলার। এরপর আর গোল না হওয়াতে শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয়ে শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে বায়ার্নের।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/sports/174609/হাড্ডাহাড্ডি-লড়াইয়ে-উয়েফা-উয়েফা-শিরোপা-জিতলো-বায়ার্ন
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশের বারগুলো বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অবশেষে বার খুলে দেয়ার অনুমতি দিল তারা। তবে খোলা যাবে শুধু আবাসিক হোটেলের বারগুলো।
নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশের বারগুলো বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অবশেষে বার খুলে দেয়ার অনুমতি দিল তারা। তবে খোলা যাবে শুধু আবাসিক হোটেলের বারগুলো।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) অধিদপ্তরের এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, করােনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩১ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হােটেল বার/রেস্টুরেন্ট বার/ক্লাব বারসমূহ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
বর্তমানে শুধু আবাসিক হােটেলের বারসমূহের (যে সকল হােটেলে আবাসন ব্যবস্থা ও বার রয়েছে) কার্যক্রম চালু করার অনুমতি দেয়া হলাে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/national/174608/অবশেষে-বার-খোলার-অনুমতি-পেল-আবাসিক-হোটেলগুলো
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
টিকিটের জন্য কারওয়ানবাজারে সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ও মতিঝিলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাউন্টারের সামনে আজও ভিড় করেছেন সৌদি প্রবাসীরা। তাদের বেশিরভাগই টোকেনধারী। সৌদিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পহেলা অক্টোবর থেকে দেয়া হবে নতুন টোকেন।
আজ ৫০০ থেকে ৮৫০ পর্যন্ত টোকেনধারীরা টিকিট পাচ্ছেন। টিকিটের জন্য ভোর থেকেই ভিড় জমান তারা। প্রবাসীরা বলছেন, আকামার মেয়াদ বাড়ানোয় তারা কিছুটা নিশ্চিত রয়েছেন। তবে, ভিসার মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটেনি। সিরিয়াল অনুসারে আসন বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন তারা।
টিকিট যাতে সিন্ডিকেটের হাতে না পড়ে, সে বিষয়ে বিশেষ নজর রাখার দাবিও জানান তারা। তবে অনেকে টোকেন না পেয়ে হতাশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছে। এজেন্সির মাধ্যমে নয়, সিরিয়াল অনুযায়ী টিকিট দেয়ার কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/national/174607/টিকিটের-জন্য-আজও-সৌদি-প্রবাসীদের-ভিড়
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
নারায়ণগঞ্জে ‘চাঁদার দাবিতে’ ১৭ পরিবার ১৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ
জিম্মিদশা থেকে জানালা দিয়ে বাড়িওয়ালার ছেলে রনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালী মাসুম রানা নামে এক থানা আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে। টাকা না পেয়ে তিনি প্রথমে আমাদের প্রবেশপথে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ করেন। পরে বাড়ির বাইরে তালা মেরে দেন। সকাল থেকে আমরা কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারিনি।’
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক মার্কেট সংলগ্ন একটি ভবনের ১৭ পরিবারকে ‘চাঁদার দাবিতে’ প্রায় ১৩ ঘণ্টা জিম্মি করে রেখেছিল স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
স্থানীয় জব্বার মিয়ার তিন তলা বাড়িতে বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এ ঘটনা শুরু হয়। রাতে সরেজমিন দেখা যায়, বাড়ির প্রবেশপথে দেয়াল নির্মাণ করে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ওই দেয়াল ভেঙে অবরুদ্ধ পরিবারকে উদ্ধার করে।
জিম্মিদশা থেকে জানালা দিয়ে বাড়িওয়ালার ছেলে রনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালী মাসুম রানা নামে এক থানা আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে। টাকা না পেয়ে তিনি প্রথমে আমাদের প্রবেশপথে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ করেন। পরে বাড়ির বাইরে তালা মেরে দেন। সকাল থেকে আমরা কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারিনি।’
সন্ধ্যায় এলাকাবাসী বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলমকে জানালে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানাকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক বলেন, ‘মূলত জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে এক পক্ষ অপর পক্ষকে তালা মেরে জিম্মি করে রেখেছিল। এটা অন্যায় কাজ ছিল। রাত ১০টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিম্মি থাকা লোকদের উদ্ধার করে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।’
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/whole-country/174606/নারায়ণগঞ্জে-‘চাঁদার-দাবিতে’-১৭-পরিবার-১৩-ঘণ্টা-অবরুদ্ধ
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে আটক করেছে পুলিশ।
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আরিফুর রহমান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আজাদ একটি জিআর মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/whole-country/174605/নোয়াখালীতে-বিএনপি-নেতা-আটক
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
নয়টি প্রতিষ্ঠান সঙ্গে একটি বাগানবাড়ি। চার বছরের মধ্যে থাইল্যান্ডেই এসব সম্পদ গড়েছেন প্রধান গ্রুপের কর্ণধার সেলিম প্রধান। এর বাইরে তিনি অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে আয় করা ১৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা পাচারও করেছেন বিদেশে।
অবৈধভাবে অর্থপাচারের তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সেই অভিযোগপত্রে সেলিম প্রধানের এসব সম্পত্তির তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বছরের শেষ দিকে র্যাবের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হন সেলিম প্রধান। দেশত্যাগের আগ মুহূর্তে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতারের পর সেলিম প্রধানকে নিয়ে তার অফিসে অভিযানে যায় র্যাব। গুলশান-২-এ মমতাজ ভিশনে সেলিম প্রধানের অফিস থেকে নগদ সাত লাখ টাকা, ৭৭ লাখ টাকা সমমানের বিদেশী মুদ্রা ও আট কোটি টাকার চেক উদ্ধার করে র্যাব। এছাড়া সেখানে বিদেশী মদ ও হরিণের চামড়া পাওয়া যায়।
পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান দেশী-বিদেশী মুদ্রা রাখার অপরাধে সেলিম প্রধানে বিরুদ্ধে একটি মানি লন্ডারিং মামলা করে র্যাব।
সিআইডির এএসপি (মিডিয়া) মো. জিসানুল হক বলেন, গুলশান থানায় র্যাবের দায়ের করা মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। প্রায় এক বছর তদন্তের পর অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ উপার্জন এবং বিদেশে সেলিম প্রধানের অর্থ পাচারের প্রমাণ পাওয়া যায়। যার ভিত্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে সেলিম প্রধানসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম খান জানান, অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে উপার্জিত অর্থের মধ্যে ১৩ কোটি ২৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৪৬ টাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া থাইল্যান্ডে সেলিম প্রধানের ৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রয়েছে একটি বাগানবাড়িও। পাচার করা তিনি থাইল্যান্ডে এসব সম্পদ গড়েছেন। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন মো. আক্তারুজ্জামান, মো. রোমান, আরিফুর রহমান ওরফে সীমান্ত আরিফ, চৌধুরী গোলাম মাওলা ওরফে শাওন এবং ইয়াংসিক লি। তাদের সবাইকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে।
গোয়েন্দারা বলছেন, সেলিম প্রধানের আসল পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও তাকে অনেকেই চেনে থাই ডন হিসেবে। কারণ তার বিপুল অংকের বিনিয়োগ রয়েছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক ও পাতায়া শহরে। ঢাকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনীতিক থাইল্যান্ডে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। এসব অর্থ পাচারে সহায়তা করেছেন সেলিম প্রধান। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্যাসিনো নেটওয়ার্কের সঙ্গেও তিনি জড়িত।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, সেলিম প্রধান একসময় থাইল্যান্ডের ডন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। থাইল্যান্ডের পাতায়া বিচ ঘেঁষা পাশাপাশি দুটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ভবন রয়েছে তার। পাতায়া শহরেও প্রধান স্পা নামে একাধিক বিউটি সেন্টার রয়েছে। এর বাইরে সেলিম প্রধানের জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাড়ি রয়েছে। কিন্তু টোকিওতেও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কালো তালিকাভুক্ত হয় তিনি। জাপান থেকে বহিষ্কার করা হলে চলে যান আমেরিকায়। সেখানে এক আমেরিকানকে বিয়েও করেন। আমেরিকান স্ত্রীকে কাজে লাগিয়ে তিনি ফের জাপানে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু এ যাত্রায়ও সফল হননি। সেলিম প্রধানকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তবে তাকে বেশি দিন কারাবাস করতে হয়নি।
র্যাব সূত্র জানায়, অনলাইনে বিশ্বের সুপরিচিত ক্যাসিনোগুলোর সঙ্গে জুয়াড়িদের যুক্ত করার কাজ করতেন সেলিম। তিনি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘প্রধান গ্রুপ’-এর কর্ণধার। তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপারস লিমিটেড, পি২৪ ল ফার্ম, এইউ এন্টারটেইনমেন্ট, পি২৪ গেমিং, প্রধান হাউস ও প্রধান ম্যাগাজিন। এর মধ্যে পি২৪ গেমিংয়ের মাধ্যমে তিনি জুয়াড়িদের ক্যাসিনোয় যুক্ত করতেন।
২০১৬ সালে সেলিম প্রধানের প্রতিষ্ঠান পি ২৪ কেবল কম্পিউটার গেমস বাজারে আনত। পরে অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনো কারবারে জড়িয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। পি২৪-এর সঙ্গে বাংলাদেশে ১৫০টি অপারেটর এবং ক্যাসিনো যুক্ত আছে। অনলাইনে বিশ্বের সবচেয়ে প্রচলিত ক্যাসিনোর সঙ্গে যুক্ত করে দেয়ার ক্ষমতা আছে তাদের। জুয়াড়িদের মুঠোফোনে লাইভ ক্যাসিনোতে যুক্ত করে দেওয়ার সুবিধা তারা এনেছে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর। সূত্র-বণিক বার্তা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/crime/174604/থাইল্যান্ডে-সেলিম-প্রধানের-৯-প্রতিষ্ঠান,-মিলেছে-বাগানবাড়ির-খোঁজও
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
পারিবারিক দারিদ্র্য তখনও কাটেনি তাঁদের। ১৮৩৯ সালের এপ্রিল মাসে হিন্দু ল কমিটির পরীক্ষায় ঈশ্বরচন্দ্র কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করলেন। সেই কৃতিত্বের জন্যই তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত হলো 'বিদ্যাসাগর' উপাধি। এই পরীক্ষা পাসের মধ্য দিয়েই আদালতে জজ পণ্ডিতের চাকরি পাবার সুযোগ এলো তাঁর জীবনে। জজ পণ্ডিতের কাজ হলো ইংরেজ বিচারকদের হিন্দু আইন বিষয়ে ব্যাখ্যা করা। সেই সময়ে অনেকের জন্যেই লোভনীয় ও প্রত্যাশিত ছিল চাকরি। বিশেষ করে, ঈশ্বরচন্দ্রের পরিবারের জন্যে তো বটেই। কিন্তু পিতা ঠাকুরদাসের পরামর্শে সেই চাকরিতে যোগ দেয়া হয়নি তাঁর। পিতা তাঁর পুত্রের 'বিদ্যাসাগর' উপাধিপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছিলেন যেন। আট বছর বয়েসে পিতার হাত ধরেই বীরসিংহা গ্রাম ছেড়ে উচ্চশিক্ষার জন্যে কোলকাতায় এসেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র। পিতাই প্রথম বুঝেছিলেন, পুত্রের জন্যে বিত্তের চেয়ে বিদ্যা বড়। ফলে, আরও পড়াশুনার জন্য সেই অর্থকষ্টের দিনেও পুত্রকে উৎসাহ দিয়েছিলেন তিনি। হিন্দু ল কমিটির এই পরীক্ষা ঈশ্বরচন্দ্রকে কেবল 'বিদ্যাসাগর' উপাধিই দেয়নি, পরবর্তী সময়ে যথাযথ শাস্ত্র মেনে হিন্দু নারীর জন্য আইনগত লড়াইয়ের জন্য তাঁকে প্রস্তুত হতেও সাহায্য করেছে।
দীর্ঘ বারো বছর সংস্কৃত কলেজের পাঠ শেষে, ২২ বছর বয়সে, ১৮৪১ সালে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে সেরেস্তাদারির চাকরি পেলেন। যার সহজ বাংলা করলে দাঁড়ায়, হেড পণ্ডিতের চাকরি। অর্থাৎ, কোম্পানির ইংরেজ কর্মচারীদের বাংলা শেখানো। এই চাকরির জীবন পরবর্তীকালে তাঁর শিক্ষা সংস্কারের কাজের ক্ষেত্রে একধরনের ভিত রচনা করেছে। বাংলা শেখানোর ক্লাস করতে করতেই তিনি উপলব্ধি করছিলেন বাঙালি শিক্ষার্থীদের জন্য মাতৃভাষায় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের সেক্রেটারি ক্যাপ্টেন জি.টি. মার্শাল তাঁকে স্নেহ করতেন। তাঁরই উৎসাহে বিদ্যাসাগর নিজেও ইংরেজি ও হিন্দি ভাষা শিখতে শুরু করেছিলেন। হিন্দি শেখার জন্য একজন হিন্দুস্তানি পণ্ডিতের কাছে যেতেন। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের ট্রেজারার দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরে তাঁর নিজেরই ছাত্র নীলমাধব মুখোপাধ্যায়ের কাছে নিতেন ইংরেজি সাহিত্যের পাঠ। কিছুদিন রাজনারায়ণ বসুর কাছেও ইংরেজি শিখেছেন। শেক্সপিয়রের সাহিত্য পড়ার জন্য যেতেন সেই সময়কার বহু ভাষাবিদ পণ্ডিত অনাদিকৃষ্ণ বসুর কাছে। মজার ব্যাপার হলো, 'ফ্রি শিক্ষায় অনাদর'-এ রকম ভাবনা থেকেই মাসিক পনেরো টাকা পারিশ্রমিক দিয়ে নিজের জন্য ব্যক্তিগত শিক্ষক হিসেবে হিন্দু কলেজের ছাত্র রাজনারায়ণ গুপ্তকে নিয়োগ দিলেন। ফলে, এই সময়টায়, বিদ্যাসাগর ছিলেন একইসঙ্গে শিক্ষক এবং ছাত্র। আরও একটা ব্যাপারে তাঁর এতদিনকার দৃষ্টিভঙ্গির বদল ঘটছিল। সাহেবদের সান্নিধ্যে থেকে তিনি শিখছিলেন যুক্তি দিয়ে কাজের বিচার ও পরিকল্পনা করতে। এ কারণে, শিক্ষা সংস্কার বা স্কুল পরিদর্শকের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পরবর্তীকালে তাঁর প্রত্যেকটি রিপোর্ট যুক্তিনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।
সংস্কৃত ব্যাকরণ শেখানোর জন্য সে সময় শিক্ষার্থীদের মুগ্ধবোধ-এর ওপরই নির্ভর করতে হতো। এ বই থেকে ব্যাকরণ শিখতে তাদের চার-পাঁচ বছর লেগে যেত। ধনবান পরিবারের সন্তান রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় একটু বেশি বয়সেই বিদ্যাসাগরের কাছে ব্যাকরণ শিখতে এসেছিলেন। তাঁকে শেখাতে গিয়েই বিদ্যাসাগর সংস্কৃত ব্যাকরণের আদলে বাংলা ব্যাকরণ লেখার উদ্যোগ নিলেন। লিখলেন, উপক্রমণিকা ও ব্যাকরণ কৌমুদী। বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগ, বর্ণপরিচয় দ্বিতীয় ভাগ, কথামালা, নীতিবোধ, বোধোদয়, চরিতাবলী, জীবনচরিত- এ সবই লেখা হচ্ছিল শিক্ষার্থীদের বাংলা শেখানোর পথকে সহজ করার লক্ষ্য নিয়ে। বিদ্যাসাগর বিশ্বাস করতেন, ভাষা শিক্ষার ভিত মজবুত হয় সাহিত্য পাঠের মধ্য দিয়ে।
চার বছর ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে চাকরি করার পর ১৮৪৬-এ নিজেরই বিদ্যাপীঠ সংস্কৃত কলেজে সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দিলেন। শৈশবের সনাতন পণ্ডিতের পাঠশালা থেকে শুরু করে যত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি নিজে পড়েছেন এবং ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার আলোকে নিজের বিদ্যাপীঠের কার্যক্রমকে ঠেলে সাজানোর পরিকল্পনা করলেন। ছাত্র থাকাকালেই শিক্ষাদানে সংস্কৃত কলেজের সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত করেছিলেন তিনি। শিক্ষা-সংস্কারের ক্ষেত্রে এটাই ছিল বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ। সংস্কৃত কলেজের সেক্রেটারি রসময় দত্তের কাছে পেশ করলেন বিশাল এক রিপোর্ট। সেখানে একেবারে ঢেলে সাজানো হয়েছে সংস্কৃত কলেজের পাঠ্যসূচি ও শিক্ষা-কার্যক্রম। স্বভাবতই সেক্রেটারির কাছে সেটা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। শিক্ষার পুরাতন প্রথা থেকে সরতে রাজি নন সেক্রেটারি ও তাঁর অনুসারী শিক্ষকেরা। ফলে, সেক্রেটারির সঙ্গে বিরোধে চাকরি ছাড়লেন বিদ্যাসাগর। এই চাকরি ছাড়ার ঘটনাটি তখন কোলকাতায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সেক্রেটারি রসময় দত্ত নানাজনের কাছে বলে বেড়াতেন, 'বিদ্যাসাগর চাকরি ছেড়ে খাবে কী করে?' বিদ্যাসাগরও উত্তর দিতেন, 'মুদি দোকান দেবো, আলু-পটল বেচবো!'
আরও পরে, কাউন্সিল অভ এডুকেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জে. ড্রিংকওয়াটার বেথুন বা বিটন সাহেব যোগদানের পর সংস্কৃত কলেজের সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদকের পদ লুপ্ত করে প্রিন্সিপাল পদ গঠন করা হয়। বিদ্যাসাগর হলেন সংস্কৃত কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল। এবার সংস্কৃত কলেজের শিক্ষা সংস্কারের ক্ষেত্রে কোনো বাধাই পেলেন না তিনি। শ্রীবিপিন বিহারী গুপ্ত রচিত পুরাতন প্রসঙ্গ বইয়ে সংস্কার আন্দোলনের এই সময়টা নিয়ে সংস্কৃত কলেজে বিদ্যাসাগরের ছাত্র কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেই সাক্ষাৎকারে প্রধান পাঁচটি সংস্কারের কথা উল্লেখ করেছেন কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য। সেগুলো হলো :
'১. ব্রাহ্মণ ও বৈদ্য ব্যতীত অন্য কোনও বর্ণের সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করিবার অধিকার ছিল না। তিনি ব্যবস্থা করিলেন, বর্ণবিশেষে হিন্দুর ছেলেমাত্রই কলেজে পড়িতে পারিবে।
২. ছাত্রদিগের নিকট হইতে বেতন লওয়া আরম্ভ হইল।
৩. ব্যাকরণ পড়ানোর সম্পূর্ণ পরিবর্তন হইল; 'মুগ্ধবোধ' উঠাইয়া দিয়া 'উপক্রমণিকা' পড়ান আরম্ভ হইল।
৪. অধিক ইংরাজি পড়াইবার ব্যবস্থা হইল। এত দিন ছাত্রেরা ইচ্ছামত ইংরাজি মাস্টারের কাছে অধ্যয়ন করিত। দুইজন ইংরাজি শিকক ছিলেন; ছেলেদের ইচ্ছা হইলে তাঁহাদের কাছে অধ্যয়ন করিত। এখন হইতে ইংরাজি পড়া কয়েক ক্লাস উপর হইতে compulsory হইল।
৫. সংস্কৃত গণিত-লীলাবতী, বীজগণিত ইত্যাদি পড়া উঠিয়া গেল; ইংরাজিতে অঙ্কশাস্ত্র পড়া আরম্ভ হইল।'
শিক্ষা কেবল ব্রাহ্মণ ও বৈদ্যদের হাতেই কুক্ষিগত থাকলো না। নিজে তিনি ব্রাহ্মণ অথচ এইসব সংস্কারের মধ্য দিয়ে সর্বজনের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করলেন বিদ্যাসাগর। ইংরেজি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করে ভারতবর্ষের যুবকদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুললেন। আর ইংরেজিতে গণিত শিক্ষার সুফল আজও পাচ্ছে ভারত। শিক্ষক এবং ছাত্র উভয় পক্ষেই 'ফ্রি শিক্ষায় অনাদর থাকে'- এমন ধারণা থেকেই বেতন নেয়ার প্রবর্তন করা হলো যেন সবকিছুতেই জবাবদিহি তৈরি হয়। এর পাশাপাশি যুক্ত করেছিলেন দর্শন শিক্ষা। এই দর্শন শিক্ষার প্রকল্প নিয়েও বিস্তর আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। ব্রাহ্মণ পণ্ডিত হিসেবে তিনি স্পষ্ট ঘোষণা করেছিলেন যে, সাংখ্য ও বেদান্ত দর্শনকে তিনি ভ্রান্ত দর্শন বলে মনে করেন। তাঁর এমন ঘোষণায় ক্ষেপে উঠেছিলেন সেই সময়কার ব্্রাহ্মণসমাজ। বরাবরের মতোই তোয়াক্কা করেননি তিনি। বারাণসী সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ জে. আর. ব্যালেন্টাইনের সঙ্গে দর্শন শিক্ষার কোর্স পরিকল্পনা বিষয়ক বিতর্কটি 'বিদ্যাসাগর-ব্যালেন্টাইন সংবাদ' হিসেবে তখন আলোচিত ছিল। বিদ্যাসাগর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দর্শনের সমন্বয়ী শিক্ষার মধ্য দিয়ে ভালো/মন্দের যাচাই করতে শেখাতে চেয়েছেন শিক্ষার্থীদের।
সংস্কৃত কলেজে ক্লাস নিতেন না বিদ্যাসাগর। তাঁর প্রত্যক্ষ ছাত্রদের কাছ থেকে জানা যায়, কিছুটা তোতলা ছিলেন বলে খুব ধীরে ধীরে কথা বলার কৌশল রপ্ত করেছিলেন তিনি। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের ছাত্রদের বিদ্যাসুন্দর-এর খেউড় অংশ পড়ানোর সময় লজ্জা পেতেন।
ক্লাস না নিলেও ক্লাসে উপস্থিত থাকতেন তিনি। ছাত্রদের ভিড়ে ক্লাসের পেছন দিকে চুপচাপ বসে থাকতেন। কোনও শিক্ষক ছাত্রদের ধমক দিয়ে বা চিৎকার করে পড়ালে পরে সেই শিক্ষককে ডেকে নিয়ে বোঝাতেন। এমনকি কোনও একজন ছাত্র হয়তো শিক্ষকের প্রশ্নের উত্তর পারলো না, কিন্তু ক্লাসের অপর কোনও ছাত্র সেটি পারলো- এ রকম অবস্থায় উত্তর দিতে না পারা ছাত্রটিকে সকলের সামনে হেনস্থা না করার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশ দিতেন। বিদ্যাসাগরের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ছিল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের বেত মারা বন্ধ করা।
সংস্কৃত করেজের চাকরি ছাড়বার পর বিদ্যাসাগরের প্রধান কীর্তি 'মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশন' গড়ে তোলা। মূলত এটি তিনি গড়ে তুলেছিলেন শিক্ষকদের ট্রেনিং দেবার জন্যে। ইংরেজ সরকারের স্কুল পরিদর্শকের দায়িত্ব পালনকালে তিনি দেখেছেন বহু স্কুল কেবল শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যোগ্য শিক্ষক গড়ে তুলতে না পারলে দেশের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যর্থ হয়ে যাবে। শিবনাথ শাস্ত্রী তাঁর স্মৃতিকথায় এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, 'আমরা এখন চারিদিকেই বিদ্যালয় দেখিতেছি; প্রতি বছর সহস্র সহস্র বালক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতেছে; আমরা ভুলিয়া গিয়াছি, এই শিক্ষা বিস্তারের জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয়কে কত ক্লেশ পাইতে হইয়াছিল। তিনি যখন নিজে পাশ্চাত্য জ্ঞানের আস্বাদন পাইলেন, তখন তাহা স্বদেশবাসীদিগকে দিবার জন্য ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন। গবর্নমেন্টকে প্ররোচনা দিয়া তাঁহাকে কার্য করিতে হইয়াছিল! না ছিল উপযুক্ত শিক্ষক, না ছিল উপযুক্ত পাঠ্য পুস্তক। নিজে পাঠ্য পুস্তক রচনা করিতে আরম্ভ করিলেন; এবং অনেক স্থলে টোলের পণ্ডিতদিগকে ধরিয়া ভূগোল জ্যামিতি প্রভৃতি কিনিয়া দিয়া পড়াইয়া কাজ চালাইবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। এমন করিয়া তাঁহাকে শিক্ষা বিস্তার করিতে হইয়াছে।' ক্ষুদিরাম বসু বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত 'মেট্ে্রাপলিটান ইনস্টিটিউশন' এর শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘ স্মৃতিচারণ করেছেন। তিনি দেখেছেন, কীভাবে বিদ্যাসাগর ক্লাসের তদারকি করতেন, ছাত্রদের উৎসাহ দেবার জন্যে বি.এ. ক্লাসের পড়াশুনা ফ্রি করে দিলেন, ভালো শিক্ষককে ধরে রাখবার জন্যে বেতন বাড়িয়ে দিতেন, কলেজ শেষে বিকেলে কলেজের শিক্ষকেরা হাজির হতেন তাঁর বৈঠকখানায়, কলেজের সারাদিনের কর্মকাণ্ড শুনতে শুনতে নিজের হাতে আম কেটে খাওয়াতেন, সারাবছর নিজেই পরিবেশন করতেন অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী, শিক্ষকদের ব্যক্তিগত সংকটে পাশে দাঁড়াতেন- কোনো শিক্ষকের বোনের বিয়ের অর্থ জোগান দিতে অথবা কারও মায়ের স্বপ্ন পূরণে পুজোর আয়োজন করে দিয়ে। এমনকি পরীক্ষার আগে ছাত্রদের কাছে শিশুদের মতোই বায়না করে বলতেন, 'দেখ, পরীক্ষার ফল যদি ভালো না দাঁড়ায়, তা হলে সারকুলার রোড ধরে বাগবাজার হয়ে স্ট্র্রান্ড রোড দিয়ে সেই যে কর্ম্মাটারে চলে যাব, কলকাতায় আর মুখ দেখাব না।' কিন্তু এ বায়না কি শুধু ছাত্রদের পরীক্ষা পাসের জন্য, নাকি তাতে যুক্ত ছিল নিজেরও আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার পরীক্ষা পাসের আকাঙ্ক্ষা?
'মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশন'-এর প্রতিষ্ঠাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থানের নিরিখে বিচার করতে চেয়েছেন। 'বিদ্যাসাগর চরিত'-এ লিখলেন, 'বাঙালির নিজের চেষ্টায় এবং নিজের অধীনে উচ্চতর শিক্ষার কলেজ স্থাপন এই প্রথম। আমাদের দেশে ইংরাজি শিক্ষাকে স্বাধীনভাবে স্থায়ী করিবার এই প্রথম ভিত্তি বিদ্যাসাগর-কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হইল। যিনি দরিদ্র ছিলেন তিনি দেশের প্রধান দাতা হইলেন, যিনি লোকাচাররক্ষক ব্রাহ্মণপণ্ডিতের বংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন তিনি লোকাচারের একটি সুদৃঢ় বন্ধন হইতে সমাজকে মুক্ত করিবার জন্য সুকঠোর সংগ্রাম করিলেন এবং সংস্কৃত বিদ্যায় যাঁহার অধিকারের ইয়ত্তা ছিল না তিনিই ইংরাজি বিদ্যাকে প্রকৃতভাবে স্বদেশের ক্ষেত্রে বদ্ধমূল করিয়া রোপণ করিয়া গেলেন।' সে সময় এই ইংরেজি বিদ্যাকেই আশ্রয় করে ইয়াং বেঙ্গল যে পোশাকী আধুনিকতাকে গ্রহণ করেছিল তার বিরুদ্ধে ধুতি-চাদর আর খড়ম পরা বিদ্যাসাগর একাই গড়ে তুলেছিলেন আধুনিকতার এক নতুন সংজ্ঞার্থ। ভারতবর্ষের আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই রোপণকর্ম সত্যিই কি কোনো ভূমিকা রেখেছিল, রাখছে এখনও?
বিদ্যাসাগর বাংলা বইয়ের অভাব দূর করার জন্য নিজে যেমন অনুবাদের কাজে হাত দিয়েছিলেন, তেমনি অন্য কেউ অনুবাদের কাজ করছে জানতে পারলে সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করতেন। অব্রাহ্মণ হিসেবে ঋজ্ঞ্বেদসংহিতার অনুবাদের কাজে হাত দিয়ে ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদের তোপের মুখে পড়েছিলেন রমেশচন্দ্র দত্ত। একমাত্র বিদ্যাসাগর তাঁকে অনুবাদের কাজে সহায়তা তো করতেনই, নিরন্তর উৎসাহও জোগাতেন।
অগণিত শিক্ষার্থী তাঁর অর্থ সাহায্যে লেখাপড়া করতো। কেবল নিজের বাড়িতে রেখেই পড়াতেন না, দূর গ্রামের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বৃত্তি পাঠাতেন। নিজের গ্রামের স্কুলে মাসিক ভাতা দিতেন। তাঁর মৃত্যুর পরও যেন সেই ভাতা বন্ধ না হয় সেজন্য মৃত্যুর ষোলো বছর আগেই উইল করেছিলেন। নিজে তিনি হোমিওপ্যাথির চর্চা করতেন দরিদ্র রোগীদের সেবার জন্য। প্রিয় ছাত্রদেরও হোমিওপ্যাথি পড়বার জন্যে বই কিনে বা টাকা ধার দিতে চাইতেন। বাড়িতে এতজন পোষ্য শিক্ষার্থীর জন্যে টাকা বাঁচিয়ে জীবনধারণ করতেন। গাড়িতে উঠতে চাইতেন না, হাঁটতেন। দূরের বাজার থেকে সস্তায় কিনে আনতেন সবজি। কিন্তু, এর উল্টো চিত্রও আছে, পাঁচ টাকার বই মরক্কো চামড়ায় বাঁধাই করতেন দশ টাকা দিয়ে!
দেশের এক অংশকে অন্ধকারে রেখে যে সামগ্রিক উন্নতি ঘটানো সম্ভব নয় সেই সত্যকে তিনিই প্রথম উপলব্ধি করেছিলেন। জানতেন বাধা আসবেই, তাই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো শাস্ত্রই ছিল তাঁর প্রধান হাতিয়ার। মেয়েদের স্কুলের কাঠামো না হয় গড়ে তোলা যায়, ইংরেজ সরকারের সাহায্য নিয়ে; কিন্তু ভারতবর্ষের প্রাচীন কুসংস্কার ভেঙে সেই স্কুলে মেয়েদের আনবার জন্যে শাস্ত্রবচনই খুঁজতে হয়েছে তাঁকে। স্কুলে মেয়েদের আনবার জন্য ব্যবহূত পাল্ক্কির দুই পাশে লিখিয়ে দিতে হয়েছে, 'কন্যাপেবং পালনীয় শিক্ষণীয়াতিযত্নতঃ'। সম্পাদক হিসেবে যুক্ত ছিলেন বেথুন স্কুলের সঙ্গে। ১৮৮৪ সালে বেথুন কলেজের ছাত্রী চন্দ্রমুখী বসু যখন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম ছাত্রী হিসেবে এম.এ পাস করেন, তখন বিদ্যাসাগর কেবল অভিনন্দনই জানাননি, তাকে উপহার দিয়েছিলেন এক সেট শেক্সপিয়রের রচনাবলি। যেসব বিধবা বালিকা তাঁর বাড়িতে নিশ্চিত আশ্রয় পেয়েছিল। তাদের তিনি নিজে লেখাপড়া শেখাতেন।
স্কুল পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকাকালীন ১৮৫৭-'৫৮ এ তাঁর নিয়ন্ত্রাধীন চারটি জেলায় ৩৫াট বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে, ১৮৫৮ এর জুন মাসে জনশিক্ষা পরিচালকের এক চিঠি আসে, সেখানে জানানো হয় যে, নারীশিক্ষার অগ্রসরের জন্য সরকারি অর্থ সাহায্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিদ্যাসাগর কিছুতেই এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। স্কুলগুলো পরিচালনার জন্যে নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থ জোগান দিতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অন্যদিকে, অর্থ প্রত্যাহারের চিঠির বিরুদ্ধে জনশিক্ষা দপ্তরে নিয়মিত আবেদনও করতে থাকেন। তাঁর একাধিক আবেদনের প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত সরকার কিছু অর্থ পুনরায় বরাদ্দ দেয়।
শেষ বয়সে নানা কারণে কোলকাতার ভদ্র সমাজকে পরিত্যাগ করে সাঁওতাল পরগনায় কর্মাটারে থাকতে শুরু করেছিলেন। সেখানেও নিয়েছিলেন সাঁওতাল শিশুদের শিক্ষা, চিকিৎসা এমনকি অন্ন জোগান দেয়ার দায়িত্ব।
ক্লাসরুমের ভেতরে এবং বোধকরি তারচেয়েও বেশি বাইরে বিদ্যাসাগর হয়ে উঠেছিলেন এক সার্বভৌম শিক্ষক। 'বিদ্যাসাগর :শিক্ষকের আদর্শ এবং আদর্শ শিক্ষক' নামে এক প্রবন্ধে অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক মোজাফফর হোসেন প্রশ্ন তুলেছিলেন, 'শিক্ষকের শিক্ষক কে? অর্থাৎ শিক্ষক কোথা থেকে জ্ঞান আহরণ করে নিজেকে ঋদ্ধ করবেন?' প্রাবন্ধিক নিজেই এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এভাবে, "...শিক্ষকের জ্ঞানের ভান্ডার শুধুই পুঁথি নয়। মানুষ ও তার সমাজ, পরিবেশ-পরিস্থিতি, নির্বিচার দেশাচার থেকে গ্রহণীয়-বর্জনীয় স্থির করে যা-কিছু মানুষের মনোজগতের রুদ্ধদুয়ার খুলে দিয়ে তার মৌলিক সৃজনশীল বৃত্তিকে প্রসারিত করার কাজে সাহায্য করে, তা সবই শিক্ষকের শিক্ষণীয় বিষয়। দ্বিতীয়ত, এই বিশাল জ্ঞানভান্ডার থেকে আহরিত জ্ঞান তিনি দেবেন কাকে?- এ জ্ঞান শুধু একটি শ্রেণীবিশেষের জন্য নয়। ব্যক্তিগতভাবে অর্জিত শিক্ষকের জ্ঞান সর্বসাধারণের সম্পত্তি। তাই আদর্শ শিক্ষককে হতে হবে গণ-শিক্ষক- তাঁর বক্তৃতা-বিবৃতি, আচার-আচরণ ও জীবনব্যাপী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। বিদ্যমান পরিবেশে সৃজনশীল শিক্ষার উপকরণ ও অবকাঠামো সহায়ক না হলে সে ব্যাপারে শিক্ষককেই নিতে হবে অগ্রণী ভূমিকা। কারণ এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অন্য কারো সচেতন থাকার কথা নয়। সমাজ-সংস্কারও শিক্ষকের দায়-দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সমাজের আবিলতা-পঙ্কিলতা থেকে গা বাঁচিয়ে শম্বুকবৃত্তি অবলম্বন করলে শিক্ষক 'মানুষ গড়ার কারিগর' হতে পারেন না।"- বিদ্যাসাগরের গোটা জীবনকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর মোজাফফর হোসেনের এই প্রশ্নোত্তরের সঙ্গে মিলিয়ে নেয়া যায় অনায়াসে। যুগ বিবেচনায় গোপাল হালদার যাঁকে বলেছিলেন, 'বাঙালির প্রথম ও প্রধান শিক্ষাগুরু'- মূলত আজও তিনি বাঙালির প্রথাভাঙা প্রথম শিক্ষক।
সূত্র: সমকাল
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/education/174603/বাঙালির-প্রথাভাঙা-প্রথম-শিক্ষক
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
হাতে হাতকড়া, চোখ গামছা দিয়ে বাঁধা। এভাবেই দেখা যায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আরাফাতকে। আর তার সামনে চেয়ারে বসা আহাদুজ্জামান নামে পুলিশের এক পরিদর্শক। তাদের কথোপকথনের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।
ভিডিওটি যুবলীগ নেতা আরাফাত সোমবার রাতে ফেসবুকে আপলোড করেন। এতে দেখা গেছে, জিনসের প্যান্ট ও কোট পরা এক ব্যক্তির হাতে হাতকড়া। দুই চোখ গামছা দিয়ে বাঁধা। তার সামনে চেয়ারে বসা এক ব্যক্তি বলছেন, ‘তোর কী হইছে? কে মারছে? আমি তো তোগের লোক না। তোগের লোক হলে থানায় থাকতে পারতাম। আমি এমপি নিক্সন চৌধুরীর লোক।’
আরাফাতের দাবি, চোখ বাঁধা ওই ব্যক্তি তিনি। আর চেয়ারে বসা ব্যক্তি পরিদর্শক আহাদুজ্জামান। আরাফাত জানান, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কাউলিবেড়া এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং ১০ ফেব্রুয়ারি জামিনে বের হন। তিনি বলেন, ‘হাতকড়া পরিয়ে গাড়ির মধ্যে চারজন পুলিশ সদস্য আমাকে মারধর করেন। পুখরিয়া এলাকায় আমাকে ডিবি পুলিশের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। তখন আমার চোখ বেঁধে ফেলা হয়। নানাভাবে ভয় দেখানো হয়। বলা হয়- ‘তোকে ক্রসফায়ারে দেব। সকালের সূর্য তুই দেখতে পারবি না। আজই তোর শেষ রাত।’ পরে আমাকে চেয়ারে পিছমোড়া করে বাঁধা হয়। এরপর আমার দুই পায়ে বেতের লাঠি দিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট পেটানো হয়। ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে আবার পেটানো হয়। পরে সেখানে আসেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ওসি আহাদুজ্জামান।’
সেই ঘটনার ভিডিও আপলোড করেছেন বলে আরাফাতের দাবি। তবে ভিডিওটি কে করেছেন বা কোথায় তিনি পেয়েছেন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি আরাফাত। জানা গেছে, আহাদুজ্জামান ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ছিলেন। পরে তাকে সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে বদলি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।
আহাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আমি আরাফাতকে চোখ বাঁধা অবস্থায় পেয়েছিলাম। তাকে মারধর করা হয়েছে কিনা জানি না। এর আগে আরাফাত আমাকে বলেছিলেন, আমি নাকি এমপি নিক্সন চৌধুরীর লোক। এর উত্তরে আমি বলেছি, ‘নিক্সন চৌধুরীর লোক হলে তো আমি থানাতেই থাকতে পারতাম।’ এ বিষয়ে তিনি আর কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন। গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাকে পরাজিত করেন।
আরাফাত আরও বলেন, আমাকে নির্যাতন করে ভিডিও করেছে যেসব কমর্কর্তা আমি তাদের বিচার চাই। যাতে আওয়ামী লীগের আর কোনো নেতাকর্মী এভাবে নির্যাতনের শিকার না হন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/politics/174602/যুবলীগ-নেতার-চোখ-বেঁধেছিল-কারা
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
নীলা হত্যা: প্রধান আসামি মিজানের বাবা-মা গ্রেপ্তার
সাভার প্রতিনিধি
ঢাকার সাভারে চাঞ্চল্যকর নীলা রায় হত্যামামলায় অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং সদস্য মিজানুরের বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চারিগ্রাম এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে র্যাব-৪ সিপিসি-২ শাখার কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দীন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার আব্দুর রহমান ও নাজমুন নাহার সিদ্দিকা সাভারের ৪নং ওয়ার্ডের শাহ সাইদুল আলমের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
র্যাব জানায়, নীলার বাবা নারায়ণ রায় ২১ সেপ্টেম্বর মিজানুর রহমান, তার বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন নাহারসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন আসামিরা। বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে মিজানের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রধান আসামি মিজানুর রহমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
র্যাব-৪ সিপিসি-২ শাখার কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দীন জানান, নীলা হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত মিজানুরের সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা-মাও পলাতক ছিলো। পরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার রাতে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে নীলা রায় ও তার ভাই অলক রায়ের পথরোধ করে বখাটে মিজানুর রহমান। ভাইয়ের কাছ থেকে নীলাকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে পরিত্যক্ত বাড়ির একটি কক্ষে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় মিজান। রাতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নীলার মৃত্যু হয়।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/whole-country/174601/নীলা-হত্যা:-প্রধান-আসামি-মিজানের-বাবা-মা-গ্রেপ্তার
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD