গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আসন্ন রহনপুর পৌর নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০অক্টোবর) রহনপুরের ৭নং ওয়ার্ডের কলেজ মোড় ও আশেপাশের এলাকায় গণসংযোগ করেছেন মেয়র প্রার্থী হালিমা খাতুন।
পৌরসভা ওয়ার্ডের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে নৌকা প্রতীকে ভোট এবং নিজের জন্য দোয়া ও সমর্থন চেয়ে গণসংযোগ করেন সমাজসেবক জেলা পরিষদ সদস্য নেত্রী।
হালিমা খাতুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন সৈনিক। তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
এ ছাড়াও তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।পৌর ভোটকে সামনে রেখে গণসংযোগ কালে হালিমা খাতুন জনসাধারণের কাছে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা, দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
গণসংযোগকালে হালিমা বেগম লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তার ছেলে হিমেলসহ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী মহিলালীগের নেতা কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
ডেস্ক রিপোর্টার/আব্দুল বাশির
Post Written by : Md Abdul Bashir
Original Post URL : https://ift.tt/31sFSgo
Post Come trough : নাচোল নিউজ
আবু জাফর সাবুঃ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আনুষ্ঠানিকতায় দুর্গাপূজা করতে হবে। কোনো উৎসব করা যাবে না। দুর্গাপূজা মন্ডপ সংলগ্ন স্থানে বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত মেলার স্থানগুলোতেও এবার কোথাও কোনো মেলা বসানোর অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। ফলে প্রায় বেকার হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার মৃৎশিল্পীরা। এছাড়া আগেই যারা দুর্গাপূজার মেলা উপলড়্গে বিভিন্ন মাটির খেলনা, তৈজাসপত্র ও মেলার বর্ণালী নানা সামগ্রী তৈরি করে রেখে ছিল তারাও তাদের ওই জিনিসগুলো অবিক্রিত থাকার আশংকায় বিপাকে পড়েছে। তাই এ বছর গাইবান্ধার রঙিন কুমোরপাড়া বা পালপাড়াগুলো বর্ণহীন হয়ে পড়েছে।
এবছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরম্ন থেকেই গাইবান্ধার কুমোরপাড়াগুলো ঝিমিয়ে পড়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ রয়েছে। এজন্য কোথাও বৈশাখী মেলার আযোজন করা হয়নি। এই কারণে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মেলার আয়োজনও নেই। এসব মেলাকে ঘিরে প্রতিবছর মৃৎশিল্পীরা ব্যসত্ম হয়ে পড়ে। মাটির তৈরী বর্ণালি নানা খেলনা, পুতুল, শোলার তৈরী ফুল, মাটির ঢোলগাড়ি ও পশুপাখিসহ সাংসারিক ব্যবহৃত জিনিসপত্র তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতো পালপপাড়ার অধিকাংশ বাসিন্দা। কিন’ এবছর তারা বেকার। মেলা শুরম্নর অনেক আগে থেকেই মৃৎশিল্পীরা মেলায় বিক্রির উদ্দেশ্যে মাটির জিনিস তৈরির কাজ শুরম্ন করতো। পালপাড়ায় মৃৎশিল্পীদের সেই চিরচেনা ব্যসত্মতা এবার চোখে পড়েনি।
বুধবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ও খোলাহাটির পালপাড়াসহ বিভিন্ন পালপাড়ায় সরেজমিনে গিয়ে মৃৎশিল্পীদের মাঝে হতাশার ছাপ দেখা গেছে। বাদিয়াখালির পালপাড়ার আরতি রাণী বলেন, করোনা ভাইরাস আমাদের একেবারেই পঙ্গু করে ফেলেছে। মেলা না বসায় আমাদেরও কোন কাজ নেই। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘ভগবান অসুখ দিছে, যদি মরার থাকে তো মরব। কিন’ এখন যে আমাদের না খেয়ে মরার দশা হয়েছে।
উলেস্নখ্য, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ও খোলাহাটী ইউনিয়নের পালপাড়া, শিবপুর, ভেলাকোপা, ধুতিচোরা, ফুলছড়ির রসুলপুর, কঞ্চিপাড়া, ভাষারপাড়া, সাঘাটার ঝাড়াবর্ষা, পুটিমারী, সুন্দরগঞ্জের বেলকা, পাঁচপীর, ধুবনী, চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ী, শ্রীপুর, ধর্মপুর, সাদুল্যাপুরের রসুলপুর, দামোদরপুর, পলাশবাড়ীর হিজলগাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচারশহর, আরজিশাহপুর ও শক্তিপুর এবং পলাশবাড়ীর হিজলগাড়ী গ্রামের প্রায় সাড়ে ৭শ’ পরিবার মৃৎশিল্প ও নানা খেলনা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
Post Written by : Younus Ali
Original Post URL : https://ift.tt/3klYSof
Post Come trough : নাচোল নিউজ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিবারের ৪ জনকে নৃশংস ভাবে জবাই করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে সি আই ডি পুলিশ। কলারোয়ার খলসি গ্রামে একই পরিবারের ৪ খুন (স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তান) এর ঘটনায় গ্রেফতারকৃত (নিহত শাহিনুর রহমানের ছোট ভাই) রায়হানুল ইসলাম (৩২) নৃশংস এই হত্যারকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মামলার তদন্ত কাজে নিয়োজিত সিআইডি’র কাছে রায়হানুল লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে।
আজ বুধবার বিকেলে সাতক্ষীরা সিআইডি অফিসে সিআইডি’র খুলনার অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক এক প্রেস ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি বলেন, রায়হানুল বেকার ছিল। কোন কাজ করতো না। এ কারণে গত জানুয়ারি মাসে রায়হানুল ইসলামের স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে যায়। এর পর থেকে ভাই-ভাবির সংসারে সে খাওয়া-দাওয়া করতো। রায়হানুল বেকার ছিলো বলে প্রায় তার ভাই, ভাবি গালমন্দ করতো ও বকাবাকি করতো। ঘটনার দিন গত ১৪ অক্টোবর আইপিএল খেলা দেখা নিয়ে ভাবি তাকে বকাবকি করে। ওই দিনই রায়হানুল সিদ্ধান্ত নেয় তার ভাবিকে সে হত্যা করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যার পর স্থানীয় একটি দোকন থেকে “ডিসোফেন (২ এমজি)” ঘুমের ওষুধ কিনে কোমল পানির (স্প্রিট) সাথে মিশিয়ে কৌশলে রাতেই ভাবি ও দুই বাচ্চাকে খাইয়ে দেয়। এর পর রাতে ভাবি ও বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়ে।
রাত দেড়টার দিকে তার বড় ভাই শাহিনুর রহমান বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে দেখে রায়হানুল টেলিভিশন দেখছে। এতো রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল পুড়িয়ে কেনো সে টেলিভিশন দেখছে তানিয়েও রায়হানুলকে বকাবকি করে ভাই শাহিনুর। এ সময় সে সিদ্ধান্ত নেয় শুধু ভাবিকে নয়, ভাইকেও সে হত্যা করবে। কৌশলে ভাইকেও ঘুমের ওষুধ মেশানো কোমল পানীয় খাইয়ে দেয়। এর পর রাত তিন টার দিকে বিল্ডিং-এর কার্নিশ বেয়ে ছাদে ওঠে। পরে ছাদের দরজা খুলে নীচের তলায় চলে আসে। প্রথমে সে তার ভাইকে চা-পাতি দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার পর তার পা বেধে ফেলে রেখে আসে। এর পর পাশের ঘরে প্রবেশ করে তার ভাবির গলায় চাপাতির কোপ দেয়। চাপাতির কোপে ভাবি চিৎকার করে উঠলে ছেলে-মেয়েরাও জেগে যায়। এর পর একে একে চার জনকেই কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। এর পর শিশুটিকে মৃত মায়ের পাশে রেখে সে বেরিয়ে যায়। হত্যার পর ভোরে প্রতিবেশিদের ডাকাডাকি করে।
সিআইডি কর্মকর্তা ওমর ফারুক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরো জানান, রায়হানুল ইসলামের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য তাকে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জবানবন্দি রেকর্ড প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরো বলেন, এই হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আব্দুল মালেক নামের এক আসামীর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তবে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি। এই হত্যাকান্ডের সাথে রায়হানুল ছাড়া আর কেউ জড়িত কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আমরা তদন্তে এখনো পর্যন্ত যতোটুকু উদ্ধার করতে পেরেছি তাতে এই হত্যাকান্ডের সাথে রায়হানুল ইসলাম ছাড়া আর কেউ জড়িত নয়। তবে তদন্ত শেষ হয়নি। আরো তথ্য উদঘটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রায়হানুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ির পাশ্ববর্তী পুকুর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নত একটি চা-পাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া প্রেস ব্রিফিং এ সিআইডি সাতক্ষীরার বিশেষ পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তিনি সন্ধ্যায় জানান, আসামী রায়হানুলের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। আদালতেই সে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ অক্টোবর ভোর রাতে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসি গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে মৎস্য হ্যাচারী মালিক শাহিনুর রহমান (৩৮), তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩৫), ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী (৯) ও মেয়ে তাসনিম সুলতানা (৬) কে জবাই করে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। এ সময় নারকীয় এই হত্যাকান্ডের মধ্যে ঘাতকদের হাত থেকে জীবনে বেঁচে যায় তাদের ৪ মাসের শিশু কন্যা মারিয়া সুলতানা। শিশুটি বর্তমানে হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুনের হেফাজতে রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত শাহিনুরের শ্বাশুড়ি ময়না খাতুন বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি রুজুর পর থেকেই তদন্ত ভার নেয় সিআইডি।
এ ঘটনার একদিন পর সিআইডি নিহত শাহিনরের ভাই রায়হানুলকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার আদালত থেকে তাকে ৫ দিনের রিমান্ড নেয়া হয়।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে এই হত্যা মামলায় আরো তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলো খলসি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২৮), আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল মালেক (৩৫) ও আসাদুল ইসলাম (২৭)। এদের মধ্যে রাজ্জাক ও মালেক নিহত শাহিনুরের নিকট প্রতিবেশি এবং আসাদুল ইসলাম নিহত শাহিনুরের হ্যাচারির কর্মচারী বলে জানাগেছে।
কেপশন: কলারোয়ায় নিহত একই পরিবারের ৪ জন(বামে),ঘাতক রায়হানুল ইসলাম(মঝে) এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করছেন সিআইডি’র খুলনার অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক
Post Written by : Younus Ali
Original Post URL : https://ift.tt/31r3JNC
Post Come trough : নাচোল নিউজ
কক্সবাজারের রামুতে পাহাড় কাটার সময় মাটিধসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার লট উখিয়ারঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উখিয়ারঘোনা স্কুলপাড়ার মৃত হোসাইনের ছেলে আলী আহম্মদ (৩০) ও লট উখিয়ারঘোনা গ্রামের মো. কালুর ছেলে মুজিবুর রহমান (৩২)।
জানা যায়, রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের লট উখিয়ারঘোনা এলাকায় ওই দুই যুবকসহ একদল শ্রমিক পাহাড়ে মাটি কাটার কাজ করছিলেন। এ সময় মাটিধসে আলী আহমদ ও মুজিবুর রহমান চাপা পড়েন।
খবর পেয়ে স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশ মাটি সরিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে যান রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা।
ইউএনও প্রণয় চাকমা বলেন, একটি চক্র প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে রাতের আঁধারে নির্বিচারে পাহাড় কাটছিল। কয়েকদিন আগেও এখানে পাহাড় কাটা বন্ধে অভিযান চালানো হয়েছিল।
রামু থানা পুলিশের ওসি মো. আজমিরুজ্জামান বলেন, মরদেহগুলো থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/whole-country/177498/কক্সবাজারে-পাহাড়ধসে-দুই-শ্রমিক-নিহত
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
শরৎ শুভ্রতার ঋতু। শরৎ মানেই প্রকৃতিতে নীল আকাশে সাদা মেঘের ঢেউ। শরৎ মানেই নদীর তীরে তীরে কাশফুলের সাদা হাসি। তাই কবি জীবনন্দ দাশ বলেছেন, ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রুপ খুঁজিতে যাই না আর’। শরতের এই অপরূপ দেখে মুগ্ধ কবি অবলীলায় পৃথিবীকে আর দেখার প্রয়োজন নেই সিদ্ধান্ত নেন।
সবুজ আর সাদা দু’টিই শান্তির প্রতিক। আর এই দুইটি ঘিরেই কাশফুল। তাই খুব সহজেই এটি মানুষের মনকে সাজিয়ে তোলে। আর এই কাশ নদীর পাশ কিংবা বিশাল চরেই দেখা মিলে। তবে কাশফুলে সেজে রয়েছে লক্ষ্মীপুরের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটা। যা দেখে মুগ্ধ হয়ে উঠছে দর্শনার্থীরা।
ওই ইটভাটায় কাশফুলকে ঘিরে দর্শনার্থীদের পদচারণা ঘটে। স্মৃতি হিসেবে সবাই ক্যামেরায় ধারণ করে কাশফুলের ছবি। নিজেদের ছবি তোলাও বাদ যায় না। বন্ধুমহল, স্বামী-স্ত্রীসহ অনেককেই কাশফুলের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা গেছে। আবার তরুণীরা গাছ থেকে ছিঁড়ে কাশের গোছা সঙ্গে করে নিয়ে যায়।
বলা চলে, চমৎকার মেঘের ঋতু শরতের আকাশ থাকে নীল আর ঝকঝকে পরিস্কার। ওই আকাশের মাঝে টুকরো টুকরো সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়। সবুজ প্রকৃতিতে বাতাসের সঙ্গে খেলা করে সাদা কাশ। এই ঋতুতেই মাটি লেপন করে গৃহবধূরা গ্রামীণ ঘরগুলোকে নিপুণ করে সাজিয়ে তোলে। তবে এখন সেটি খুব কমই চোখে পড়ছে।
লক্ষ্মীপুর শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে শাকচর গ্রামে সড়কের পাশে মেসার্স একেপি ব্রিকস’র পরিত্যক্ত ইটভাটাটি রয়েছে। বেশ কয়েকবছর হয়েছে সেখানে ইট তৈরি হচ্ছে না। তবে প্রতিবছরই কাশফুল ফুটে দর্শনার্থীদের রশদ যোগাচ্ছে। জেলার পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত মজুচৌধুরীর হাট মেঘনা তীরে যাওয়ার পথেই কাশফুলগুলো দেখতে পাওয়া যায়।
জানা গেছে, ভাদ্র-আশ্বিন দুই মাস শরৎকাল। এটি বাংলাদেশের ষড়ঋতুর তৃতীয় ঋতু। আবার পৃথিবীর ৪টি প্রধান ঋতুর একটি শরৎকাল। এই ঋতু আসলেই প্রকৃতি সবুজে ভরে উঠে। নদী-খালের তীর, গ্রাম ও চরাঞ্চলে কাশফুল দেখা যায়। সবুজের ঘেরা প্রকৃতির মাঝে সাদা কাশ ছোট-বড় সব মানুষেরই নজর কাড়ে। কালের বিবর্তনে কাশফুল কম দেখতে পাওয়া যায়। হয়তো নদীর জেগে উঠা চরে এর দেখা মেলে। তবে সেখানে যাওয়া সবার জন্য সম্ভব না।
পরিবেশবাদী সামাজিক সংগঠন সবুজ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাবু পূর্বপশ্চিমকে জানান, কাশফুল হারিয়ে যাচ্ছে। যেসব জায়গায় কাশফুল ফুটে ওই স্থানগুলোকে সংরক্ষণ করা দরকার। তাহলে আমাদের পরিবেশের পাশাপাশি দর্শণীয় স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। লক্ষ্মীপুরে কাশবনটিতে মানুষের ভীড়। পর্যটকদের মুখরিত করছে এ হারানো ঐতিহ্য।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/whole-country/177497/কাশফুলের-মুগ্ধতায়-হৃদয়-ছুঁয়েছে-দর্শনার্থীদের
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
বগুড়ার শিবগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বুধবার (২১ অক্টোবর) সকালে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার পশ্চিম জাহাঙ্গীরাবাদ নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে শিবগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বার ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোস্তা বিভিন্ন ব্যবসাসহ বালু ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত।
সার্কেল এএসপি আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকি ও শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম বদিউজ্জামান জানান, বুধবার সকালে খবর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি বদিউজ্জামান জানান, নিহত ব্যক্তির মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/whole-country/177496/বগুড়ায়-সাবেক-ইউপি-সদস্যকে-কুপিয়ে-হত্যা
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর বাতিল হয়েছে সব বোর্ড পরীক্ষা। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক পর্যায়ের বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি সরকার। এ নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত জানাতে বুধবার (২১ অক্টোবর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে তা জানাতে সংবাদ সম্মেলন করবেন শিক্ষামন্ত্রী।
দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, ইবতেদায়ি সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
টানা ৭ মাস ধরে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও স্কুলগুলোর মূল্যায়নেই শিক্ষার্থীরা পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবেন বলে শিক্ষা বোর্ডগুলো জানিয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ বছর বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা না নেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে। এর পরিবর্তে বিকল্প উপায়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/education/177495/দুপুরে-সংবাদ-সম্মেলনে-আসছেন-শিক্ষামন্ত্রী
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
কার্যত একক প্রচেষ্টায় দিল্লিকে লড়াই করার রসদ এনে দেন শিখর ধাওয়ান। দলগত প্রচেষ্টায় ক্যাপিটালসের ঝুলিয়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জিং টার্গেট টপকে যায় পাঞ্জাব। দুবাইয়ে আইপিএল ২০২০’র গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শ্রেয়াস আইয়ারদের ৫ উইকেটে পরাজিত করেন লোকেশ রাহুলরা।
প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৪ রান তোলে। শিখর ধাওয়ান ১০৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব ১৯ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ব্যর্থ হয় ধাওয়ানের শতরান।
রান তাড়া করতে নেমে পাঞ্জাব এক সময় ৫৬ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন তারকার উইকেট হারিয়ে বসে। লোকেশ রাহুল ১৫ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হন। ক্রিস গেইল ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ২৯ রান করে অশ্বিনের বলে বোল্ড হন। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৫ রান করে রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে জুটি বেঁধে নিকোলাস পুরান পাঞ্জাবকে জয়ের মঞ্চে বসিয়ে দেন। পুরান ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৫৩ রান করে আউট হন। ম্যাক্সওয়েল ডাগ-আউটে ফেরেন ২৪ বলে ৩২ রান করে।
দীপক হুডাকে সঙ্গে নিয়ে জিমি নিশাম কিংস ইলেভেনের জয় নিশ্চিত করেন। হুডা ১৫ ও নিশাম ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২টি উইকেট নেন রাবাদা। দিল্লি ম্যাচ হারলেও ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন ধাওয়ান।
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/sports/177494/ব্যর্থ-ধাওয়ানের-সেঞ্চুরি,-পাঞ্জাবকে-জেতালেন-পুরান-ম্যাক্সওয়েল
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
দেশের ১০ অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বুধবার (২১ অক্টোবর)। সেসব অঞ্চলের নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। সকালে আবহাওয়া অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।
ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো/দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঢাকায় আজ ভোর ৬টার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়ে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলাসহ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পূর্ব/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/national/177493/দেশের-দশ-অঞ্চলে-ঝড়বৃষ্টির-সম্ভাবনা
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ট্রেনে কাটা পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহাখালী ও আজমপুরে দু’টি দুর্ঘটনা ঘটে।
সারাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহাখালী ও আজমপুরে দু’টি দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মিল্টন কুমার (৩৫) ও অজ্ঞাত পরিচয় (৫০) এক ব্যক্তি। মরদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে ট্রেনে কাটা পড়েন ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ মিল্টন কুমার। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের সহকর্মী নাসির উদ্দিন জানান, মিল্টনের গ্রামের বাড়ি খুলনার বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জে। বর্তমানে তিনি যাত্রাবাড়ী এলাকায় স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে থাকতেন।
এদিকে রেলওয়ের বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মহিউদ্দিন জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে আজমপুর মেম্বার বাড়ি রেলগেটে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার পরনে লুঙ্গি ও ছাই রংয়ের শার্ট ছিল।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/whole-country/177492/ট্রেনে-কাটা-পড়ে-দুইজনের-মৃত্যু
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আটক হওয়া চীনা সেনাকে ফেরত দিল ভারত। সোমবার সকালে লাদাখের চুমার-ডেমচক এলাকা থেকে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ওই সেনাকে আটক করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
প্রাথমিকভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সোমবারই জানায়, ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়া ওই চীনা সেনার নাম ওয়াং ইয়া লং। তার কাছে বেশকিছু সামরিক নথি পাওয়া গেছে বলে দাবি করে ভারতীয় বাহিনী। তবে বলা হয়, খুব সম্ভবত অনিচ্ছাকৃতভাবেই ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি।
সোমবার তাকে আটক করার পর পিএলএ’র ওই সেনাকে অক্সিজেন, খাবার এবং গরম পোশাক দেওয়া হয়। এমনকি তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয় বলে জানায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3m5D5BH
Post Come trough : নাচোল নিউজ
একই পরিবারের চারজনকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে সাতক্ষীরা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সারাদেশ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিবারের চারজনকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে সাতক্ষীরা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কলারোয়া উপজেলার খলসি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২৮), আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল মালেক (৩৫) ও একই গ্রামের আসাদুল ইসলাম (২৭)। এদের মধ্যে রাজ্জাক ও মালেক নিহত শাহিনুর রহমানের প্রতিবেশী এবং আসাদুল নিহত শাহিনুরের হ্যাচারির কর্মচারী বলে জানা গেছে।
গত ১৫ অক্টোবর ভোর রাতে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসি গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে হ্যাচারি মালিক শাহিনুর রহমান (৪০), তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩০), ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী (৯) ও মেয়ে তাসনিম সুলতানাকে (৬) গলা কেটে হত্যা করা হয়। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় তাদের চার মাস বয়সী শিশু কন্যা মারিয়া সুলতানা।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত শাহিনুরের ভাই রায়হানুল ইসলামসহ এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/whole-country/177491/চারজনকে-গলাকেটে-হত্যা:-আরো-তিনজন-গ্রেপ্তার
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
রাতের শিফটে কাজ করতে টেক্সটাইল মিলে যাওয়ার জন্য রওনা হন ওই নারী। পথে জামান মিয়া ও ওসমান ভূঁইয়া ওই নারীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে অন্য একটি টেক্সটাইল মিলের ফাঁকা জায়গায় বাঁশ বাগানের ভেতর পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ সময় অজ্ঞাত আরও একজন তাদের পাহারায় ছিলেন।
সারাদেশ
নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর সদরে এক শ্রমিককে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে তাদের দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার শীলমান্দির দক্ষিণ শীলমান্দি এলাকার মো. আমীর হোসেনের ছেলে মো. জামান মিয়া (৩০) এবং আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার ছেলে ওসমান ভূঁইয়া (৩২)।
নির্যাতিত নারী স্থানীয় একটি টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে রাতের শিফটে কাজ করতে টেক্সটাইল মিলে যাওয়ার জন্য রওনা হন ওই নারী। পথে জামান মিয়া ও ওসমান ভূঁইয়া ওই নারীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে অন্য একটি টেক্সটাইল মিলের ফাঁকা জায়গায় বাঁশ বাগানের ভেতর পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ সময় অজ্ঞাত আরও একজন তাদের পাহারায় ছিলেন।
গণধর্ষণের পর আসামিরা চলে যাওয়ার সময় ওই নারীকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘এই ঘটনা কাউকে জানালে তোকে হত্যা এবং তোর বড় বোনকেও গণধর্ষণ করা হবে’। এরপর বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি।
পরে পরিবারের সদস্যরা তার পরনের কাপড় ছেঁড়া কেন জানতে চাইলে ভয়ে কান্নাকাটি করেন। তবে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করেননি। পরদিন তার ফুফু ও এক বান্ধবীর কাছে গণধর্ষণের ঘটনাটি জানান।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখসহ তিনজনকে আসামি করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন।
নরসিংদীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গণধর্ষণের ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জামান মিয়া ও ওসমান ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।
তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/whole-country/177490/‘কাউকে-জানালে-বড়-বোনকেও-গণধর্ষণ-করা-হবে’
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক্টরের ধাক্কায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মীরনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার গেইটঘর শাহপুর এলাকার আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে মাসুক মিয়া (২৫), ফরিদ গাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া (২৬) ও সুরু মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান (২৭)।
মাধবপুর থানা পুলিশের ওসি মো. ইকবাল হোসেন বলেন, মোটরসাইকেলযোগে তিন আরোহী মহাসড়কের জগদীশপুর থেকে মাধবপুর সদরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় মীরনগর নামক স্থানে পৌঁছলে পেছন দিক থেকে একটি দ্রুতগামীর ট্রাক্টর মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/whole-country/177489/ট্রাক্টরের-ধাক্কায়-৩-মোটরসাইকেল-আরোহী-নিহত
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
রাজধানীতে কাভার্ডভ্যানচাপায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নিহত
সারাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে কাভার্ডভ্যানচাপায় বাবুল শেখ (৫০) নামের ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য (টিএসআই) নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কলাপট্টি এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বাবুল শেখের বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলার বকচর গ্রামে। তিনি মৃত জাফর শেখের সন্তান। বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর সামাদ নগর মৃর্ধা বাড়ি এলাকায় নিজ বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন বাবুল শেখ। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বাবুল শেখ কোতোয়ালি জোনে ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। রাতে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ঘাতক কাভার্ডভ্যানটিকে জব্দ করা হয়েছে এবং চালককে আটক করা হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/whole-country/177488/রাজধানীতে-কাভার্ডভ্যানচাপায়-ট্রাফিক-পুলিশ-সদস্য-নিহত
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
শিক্ষক হত্যার ঘটনায় দেশটির রাজধানী প্যারিসের বাইরে একটি মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্র্যান্ড পানতিন এলাকায় অবস্থিত মসজিদটি বুধবার থেকে ছয় মাসের জন্য বন্ধ থাকবে। মসজিদটিতে প্রায় দেড় হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
শুক্রবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুহাম্মদ (স.) বিতর্কিত একটি কার্টুন নিয়ে আলোচনা করা ইতিহাস বিষয়ের ওই শিক্ষককে ফ্রান্সের রাস্তায় গলা কেটে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশটিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ এই ঘটনাকে ‘ইসলামি সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ওই শিক্ষককে নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক বার্তা দেওয়ার অন্তত ৮০টি ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এরইমধ্যে শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫০টিরও বেশি সংগঠনের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। ফরাসি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছু গোষ্ঠী হিংসা ছড়াচ্ছে কিনা সেটিও যাচাই করে দেখা হচ্ছে। সে রকম প্রমাণ পাওয়া গেলে এই গোষ্ঠীগুলো ভেঙে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার উত্তর-পূর্ব প্যারিসের নিম্নআয়ের মানুষের বসতি গ্র্যান্ড পানতিনের একটি মসজিদ ছয় মাসের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শিক্ষককে হত্যার আগে মসজিদটির ফেসবুক পেজ থেকে তার বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষ’ ছড়ানো হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের এ নির্দেশনার একটি নোটিশও মসজিদের বাইরে লাগিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/abroad/177486/শিক্ষক-হত্যার-ঘটনায়-মসজিদ-বন্ধ-করলো-ফ্রান্স
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি বরং কিছুটা অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ষষ্ঠদিনের মতো রাজধানীর মগবাজারের আদ্-দ্বীন হাসপাতালের এইচডিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রবীণ এ আইনজীবী।
তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে হাসপাতালটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন জানান, এদিন ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের হাসপাতালে ষষ্ঠদিন চলছে। ইউরিন ও ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগতে থাকা তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তবে তাকে সবধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্যারের জ্বর আছে এবং সেজন্য পালস একটু বেড়ে গেছে।
ব্লাড প্রেসার কম ছিল, তবে এখন একটু নরমাল (১১০/৭০) রয়েছে। ওনার এখনো অক্সিজেন সাপের্ট লাগছে, বর্তমানে ওনার অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪-৯৫ মেনটেইন হচ্ছে।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের ইউরিন ও ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে মাঝে-মধ্যে জ্বর আসছে উল্লেখ করে ডা. নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, আমরা সবাই চেষ্টা করছি যেন ইনফেকশনের মাত্রা কমিয়ে আনা যায়। প্রয়োজনীয় সবধরনের ট্রিটমেন্টই তিনি পাচ্ছেন। ফুসফুসে ইনফেকশনের কারণে ওনাকে নেবুলাইজ করতে হয়েছে। ইনফেকশনের মাত্রাটা এখনো কন্ট্রোল হয়নি, এজন্য অক্সিজেন সাপোর্টের পাশাপাশি নেবুলাইজ করতে হয়েছে।
গত শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়। তবে এদিন দুপুরের পর তাকে আবারো হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেদিন থেকে তিনি হাসপাতালের এইচডিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/national/177485/ব্যারিস্টার-রফিক-উল-হকের-শারীরিক-অবস্থার-উন্নতি-হয়নি
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কারচুপি এবং ভোট ডাকাতির অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে এর জন্য আবার দরকার সুবিধাজনক সময়ও।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে। বিএনপির নির্বাচনী এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। সর্বোপরি ভোট ডাকাতি ও কারচুপি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় যেসব উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও কারচুপি হয়েছে সেসব এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পালন করা হবে। তবে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সভা সমাবেশ পালনের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেই সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় নেতারা তাদের সুবিধা মতো কর্মসূচি পালন করবেন।
মঙ্গলবার দেশের ২০৮টি ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ ও ১৭৭টির বিভিন্ন পদে উপনির্বাচন হয়। বাকিগুলোর মধ্যে একটি উপজেলায় সাধারণ ও ৮টিতে উপনির্বাচন, ৭টি জেলা পরিষদের বিভিন্ন পদেও ভোটগ্রহণ হয়।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/politics/177483/বিক্ষোভের-জন্য-সুবিধাজনক-সময়-খুঁজছে-বিএনপি
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
১. একদম ভালো লাগে না। কোথায় কী হচ্ছে তাও বুঝছি না। গণঅসন্তোষ তৈরির মতোন ঘটনা ঘটছে আর থেমে যাচ্ছে। থেমে যাওয়ার কারণ ওই একজনই।
মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা।
জনঅসন্তোষকে ধারণ করেন। জনগণের পক্ষে অবস্থান নেন। তাই স্তিমিত হয়ে যায় উত্তেজনা। সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে এক তরুণের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড়। পলাতক পুলিশকর্তা আকবরের সহযোগী গ্রেফতার হয়েছেন। শেখ হাসিনার সরকার যেখানে ধর্ষণ, অপরাধ, অন্যায় সেখানে অ্যাকশনে যাচ্ছে।
আড়াল করার চেষ্টা নেই। ধামাচাপা নেই। মাজা ভাঙা বিরোধী দল ক্যাশ করবে কি কথা বলার আগেই জল ঢেলে দেন শেখ হাসিনা। আগুন জ্বলবে কি নিভতেও দেখা যায় না। যাক, সমাজে একটা স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের পাশে করোনার বিরুদ্ধে যে অর্থনৈতিক লড়াই চলছে সেখানে বিজয়ী হলেই দেশ বিজয়ী হয়। উৎপাদনে মালিক শ্রমিক কৃষক নেমেছে। অর্থনীতি চাঙ্গা। দুর্নীতি, ঘুষ, ব্যাংক লুট, বিদেশে অর্থ পাচার রোধ ও দেশের টাকা দেশে রাখার সর্বোচ্চ শক্তি এখন সরকারের দেখা দরকার। মৃত শেয়ারবাজারে আলো জ্বালিয়ে দেন বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত। তার পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে। ব্রোকার্স হাউসগুলো থেকে বাজারের বাজিকরদের দিকে এমনকি মনিটরিং সেলের দিকেও কড়া নজরদারি রাখা জরুরি। উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের দেশে বৈষম্য যাতে না হয় রাষ্ট্রের তা দেখা দরকার। জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের চুক্তিনামা হলো সংবিধান। সংবিধান থেকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে একচুল নড়ার সামর্থ্য নেই। কারও ক্ষমতার কর্তৃত্ব ব্যক্তির খেয়াল খুশিমতো হতে পারে না। জনগণের কল্যাণে সংবিধান, আইন, বিধি-বিধান ও রীতিনীতির বাইরে যেতে পারেন না।
২. মমতাজের একটি পপুলার গান আছে ‘কোনবা পথে নিতাইগঞ্জে যাই, নিতাইগঞ্জে করব বাসা মনে ছিল দারুণ আশা, ঘুমায়া ছিলাম, ছিলাম ভালো জেগে দেখি বেলা নাই। ’ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সুনামগঞ্জের দক্ষিণের অবহেলিত ডুংরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রতিকূল পরিবেশে মেধার স্বাক্ষর রেখে লেখাপড়া করে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসর জীবনে রাজনীতিতে নেমেছেন। সেখানেও তিনি কিস্তিমাত করেছেন। তিনি আমার জেলার বাসিন্দাই নন আত্মীয়ও বটে। একজন সৎ সরল তীক্ষ বুদ্ধিসম্পন্ন সাদামাটা জীবনের এই মানুষটি আমার খুব প্রিয়। আমি তার প্রশংসা করি নিয়মিত।
বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে জাতীয় নেতা আবদুস সামাদ আজাদ মৃত্যুবরণ করলে সুনামগঞ্জ-৩ (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর) আসনটি শূন্য হয়। আওয়ামী লীগ নির্বাচন বর্জন করায় সামাদ আজাদ-পুত্র দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করতে পারেননি। তবে এম এ মান্নান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধ করে বিএনপি জোটের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ তার ভোটের দুর্গ হয়ে ওঠে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এম এ মান্নান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করে বিজয়ী হয়ে সংসদে আসেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাকে দলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য করেন। সে সময় গ্রাম্য রাজনীতির বিরল চেহারার জটিল চরিত্রের একজন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা তাকে প্রাপ্য সম্মান না দিয়ে মানসিক যন্ত্রণা দেন। এটি তিনি নীরবে হজম করেন। কিন্তু সুনামগঞ্জের মানুষ তাকে প্রাণঢালা ভালোবাসা দিতে কার্পণ্য করেনি। এমপিরা সবাই তাকে সম্মান করেন। জনপ্রতিনিধিরা করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন। সে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী আজিজুজ সামাদ আজাদ ডন ভোটের চমক দেখালেও মান্নান বিজয়ী হন। শেখ হাসিনা তাকে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী করেন। সর্বশেষ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে এলে তার ধারণা ছিল তিনি অর্থমন্ত্রী হবেন।
দুঃখ করে আমাকে বলেছিলেন, ২৮ বছর ধরে সিলেটে অর্থমন্ত্রী আর কত? এমন প্রশ্ন তুলে একটি গ্রুপ তাকে আটকে দেয়। শেখ হাসিনা তাকে পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। তিনি দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। একজন মন্ত্রী গোটা দেশের মন্ত্রী। সব মানুষের মন্ত্রী। কারও প্রতি রাগ বা বিরাগের বশবর্তী হবেন না এই মর্মে বঙ্গভবনে শপথ পাঠ করেন। কিন্তু গভীর বেদনার সঙ্গে আমার প্রিয় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের কাছে প্রশ্ন রাখতে ইচ্ছা করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সুনামগঞ্জকে দুই হাত ভরে উন্নয়ন উপহার দিলেও তিনি মন্ত্রীর ক্ষমতার জোরে কেন সুনামগঞ্জ জেলা সদরকে অবজ্ঞা উপেক্ষা করে তার বাড়িতে সব নিয়ে যাচ্ছেন? একটি জেলা সদর নীরব নিস্তব্ধ প্রাণহীন পরিত্যক্ত করে কি উন্নয়নের সুফল ভোগ করা যায়? এম এ মান্নান ডুংরিয়ার পাশেই শান্তিগঞ্জে একটি বাড়ি করেছেন। হিজল করচ নামের বাড়িটি মুগ্ধতা ছড়ায়।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মেডিকেল কলেজ তিনি তার শান্তিগঞ্জের বাড়ির কাছে নিয়ে গেছেন। টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হলেও সেটিও তার বাড়ি ডুংরিয়ায় নিয়ে গেছেন। সংসদের বিগত অধিবেশনে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিল পাস হয়। পরে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উভয় জেলা সদরে প্রতিষ্ঠার সংশোধনী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। অর্থাৎ চাঁদপুর ও হবিগঞ্জ জেলা সদরে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে সংসদের খবরে, প্রধানমন্ত্রীর উপহারে সুনামগঞ্জবাসী আনন্দে উল্লসিত হয়ে ওঠে। ১৫ অক্টোবর এ বিলটি সংসদের স্থায়ী কমিটির সভায় উত্থাপিত হয়। সেখানে সুনামগঞ্জ জেলা সদরের এমপি অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ জেলা সদর উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য শিক্ষামন্ত্রী ও সংসদীয় কমিটির সভাপতির কাছে আবেদন করেন। কিন্তু পরিকল্পনামন্ত্রীর জোর সুপারিশের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় মন্ত্রীর বাড়ি শান্তিগঞ্জেই প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা সংসদের আগামী অধিবেশনে আসবে। প্রধানমন্ত্রী হাওরের মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থেকে যা দিচ্ছেন তাই এখন মন্ত্রীর শান্তিগঞ্জে চলে যাচ্ছে। জেলা সদরে হলে হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশাসহ সবার সুবিধা হতো। এখন যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হচ্ছে সেখান থেকে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। এবং শান্তিগঞ্জে সবকিছু প্রতিষ্ঠিত হলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে লাভবান দূরে থাক গণঅসন্তোষের মুখে পড়বে। এসব ঘটনায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। পরিকল্পনামন্ত্রী হাওরে ফ্লাইওভারের স্বপ্ন দেখান, কিন্তু সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের যে বেহালদশা তার নির্মাণকাজ দুই বছরেও শেষ করাতে পারেননি। চার লেনের মহাসড়কে যুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার পাগলা জগন্নাথপুরে উন্নয়ন হয় না। সুনামগঞ্জের ট্রেন লাইন, ধারারগাঁওয়ে সুরমা নদীর ওপর সেতু এখনো স্বপ্নই রয়ে গেছে। সুনামগঞ্জে শিক্ষাঙ্গনগুলোতে শিক্ষক সংকট চরমে। মন্ত্রী এম এ মান্নান শান্তিগঞ্জের মন্ত্রী নন, দেশের মন্ত্রী, জেলার মন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজ বাড়িতে নেবেন না। সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর নাম নেই। এটি প্রতিষ্ঠায় তার অবদান মানুষের হৃদয়ে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। স্বাধীনতা-উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক নির্মাণে আবদুস সামাদ আজাদের অবদান মানুষ এখনো স্মরণ করে। কর্মই আপনাকে অমরত্ব দেবে। মমতাজের গানের মতো ‘নিতাইগঞ্জ’ নয়, শান্তিগঞ্জে দারুণ আশার বাড়ি করেছেন। সুখে থাকেন। রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের বৈষম্য সৃষ্টি করে নিজের বাড়ি নিয়ে গেলে মানুষও জেগে উঠে বলবে, শান্তিগঞ্জে কোনবা পথে যাই?
৩. দেশের প্রখ্যাত আইনজীবী সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ ছেড়ে গণফোরাম গঠন করেছিলেন মূলধারার রাজনীতির স্লোগান তুলে। তার সঙ্গে দলের অনেকেই যোগ দেননি যারা একসময় তাকে মার্কিনপন্থি রাজনীতিবিদ বলে প্রচার করতেন সেই বামপন্থিরাও এসে যোগ দিয়েছিলেন। নতুন দলে রাজনীতি ও সমাজের আলোকিত মানুষরা এসে যুক্ত হলেও দল আর অগ্রসর হয়নি। সেই সময়ে তার সাংগঠনিক সফরে দু-একবার সঙ্গী হয়েছিলাম। সুনামগঞ্জে জনসভা করতে গিয়ে সড়ক ভবনের গেস্টহাউসে উঠেছিলেন। সেখান থেকে সবাই হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলেন ট্রাফিক পয়েন্টের জনসভাস্থলে। কোর্ট থেকে ফিরছিলেন আমার বড় ভাই ’৭৫-উত্তর দুঃসময়ে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক থেকে পরপর দুবার নির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান পীর। মন্তব্য করেছিলেন, উনারা পাকা সড়কেই হাঁটতে পারেন না, গ্রামে গ্রামে সংগঠন করবেন কীভাবে? আরেকবার মানিকগঞ্জে গেলাম। মফিজুল ইসলাম কামাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি। গণফোরামের নেতা হলেন। তার বাড়িতে বিশাল পাঙ্গাশ মাছ ভাবি রান্না করেছিলেন। জলপাইর টক-মিষ্টি ভোলবার নয়। সংবাদকর্মী আমির খসরুও ছিলেন। ভিতরে এত নেতা, এত খাবার আয়োজন। কিন্তু বাইরে উঠোনে একটি লোক মাথা গরম করে রীতিমতো বিদ্রোহে ফুসফুস করছে। কৌতূহলবশত লোকটার কাছে গেলাম। জানতে চাইলাম তার এত রাগের কারণ কী? সে বলল, এ বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে আছে। মফিজুল ইসলাম কামালের মা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্য তাকে দিয়ে ৩২ নম্বরে পিঠেপুলি পাঠাতেন। এটা ছিল তার পরম আনন্দ। এখন আওয়ামী লীগ ছেড়ে এসব দল করায় তার আর ৩২ নম্বরে যাওয়া হবে না। এটা সে মানতে পারছে না। বলছিল, যান যান আপনারা খান। এসব খাবার আমি খাব না। বুঝলাম বাড়িতে বিদ্রোহ রেখে এই দল কীভাবে সম্ভব?
যাক, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, আবুল মাল আবদুল মুহিত, শেখ আবদুল আজিজ, মতিউর রহমান, মেজর জেনারেল খলিলুর রহমান (অব.) পংকজ ভট্টাচার্য, মোস্তফা মহসীন মন্টু, সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক, নুরুল ইসলাম নাহিদ, শাজাহান সিরাজ, তার স্ত্রী রাবেয়া সিরাজ, নুরজাহান মুর্শেদসহ সারা দেশে অনেকে যোগ দিয়েছিলেন।
ছাত্রসমাজে মোস্তফা মহসীন মন্টুর তখনো দারুণ প্রভাব। সগীর আনোয়ারদের মতোন ছাত্রনেতারা যোগ দিলেন। কিন্তু দলটি ছাত্র সংগঠনও রাখল না। গণসংগঠন গড়তে যে পথ তৃণমূল ধরে নিতে হয় তাও আর নিল না। বিষয়টি তখন অবাক লাগে। গণমানুষকে যুক্ত করার পথ পরিহার করে সেমিনারে আগ্রহী হলো। দলের কাজের চেয়ে ড. কামাল বিদেশ ভ্রমণেই বেশি আগ্রহী হলেন। মাঠের রাজনীতিতে ব্যর্থ হলেন। জনগণের ঐক্যের নামে বায়বীয় বক্তব্যের রহস্যময়তায় কোনো কিছু খোলাসা হলো না। মাঝখানে ’৯১ সালে পরাজিত আওয়ামী লীগে ভাঙন এনে দলটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হলো। একদিন সংবিধানপ্রণেতা থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করে যে ড. কামাল হোসেনকে আওয়ামী লীগ বটবৃক্ষে তৈরি করেছিল তাতে দল ভেঙে গণফোরাম করে আওয়ামী লীগের ক্ষতি কতটা করেছেন জানি না তবে নিজেকে ঝরাপাতায় পরিণত করে দেন। রাজনীতিতে নিজেকে যে কোনো সংকটে তৃতীয় শক্তির মুখ হিসেবে জনগণের সামনে এসেছে তার মুখ! কেন জানি না! বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী একজন গণতন্ত্রের আদর্শিক পথের যাত্রীর জন্য এটা সম্মানের নয়। আমি ড. কামাল হোসেনকে শ্রদ্ধা-সম্মান করি। একসময় রাজনৈতিক রিপোর্টার থাকাকালে নিয়মিত যোগাযোগ করেছি। গণতন্ত্রের সংগ্রামে তার ভূমিকা অমর অক্ষয়। একুশের গ্রেনেড হামলার পর ভুতুড়ে নগরীতে গণতদন্ত কমিশনে তার ভূমিকা অসাধারণ। দেশবাসীও জানেন। তিনি এ দেশের একজন কিংবদন্তিই নন, গর্বিত সন্তান। আমাকে একবার বলেছিলেন বালিশের নিচে সংবিধান রাখবেন। আমীর-উল ইসলাম সাহেবও রাখেন। আমি নিচে নয়, মাথার পাশে খাটের ওপর রাখি। আর দেখি রাষ্ট্র জনগণের সঙ্গে চুক্তিনামা কতটা লঙ্ঘন করেছে।
যাক, ড. কামালের গণফোরাম একে একে সবাই ছেড়ে দিয়েছেন। ’৯৬ সালের নির্বাচনের আগেই নাহিদ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে প্রেসিডিয়াম সদস্যই নয়, দুবার মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন। আবুল মাল আবদুল মুহিতও দুবার অর্থমন্ত্রীই নয়, পরিবারকেই দলে মালিকানা এনে দিয়েছেন। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের মতোন খ্যাতিমান আইনজীবী মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব ক্যারিশমা নিয়ে আজ নির্বাসিত। অনেকে মারা গেছেন। সারা দেশেই দলটা বিলুপ্ত। অনেকে নিজের মতোন জীবনযাপন করলেও গণফোরামে নেই। মোস্তফা মহসীন মন্টু নিঃস্ব হলেন। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ শেষ বেলায় গিয়ে চরম ভুলটা করলেন। যাক, অবশেষে ছোট্ট পাখির নীড়ের মতোন ড. কামাল হোসেনের গণফোরামটিও ভেঙে গেল। ডিসেম্বরেই আনুষ্ঠানিক ভাঙনের নাটক দর্শকরা উপভোগ করবেন।
ড. কামাল সব সময় বিভক্তির রাজনীতির বিরুদ্ধে বলতেন। আমার প্রশ্ন- নিজের দলেই কেন এমন করুণ দশা? রুগ্ন রাজনীতির কথা বলতেন, দলটি তার কেন এত রুগ্ন? তিনি আওয়ামী লীগে দলীয় গণতন্ত্র ও যৌথ নেতৃত্বের কথা বলতেন। তাহলে গণফোরামে যৌথ নেতৃত্ব অস্তিত্বহীন কেন ছিল? দলীয় গণতন্ত্রের নিশানা কোথায় ছিল? ২৭ বছরে দলের সভাপতি থেকে সংগঠনের সীমাহীন ব্যর্থতা নিয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারলেন না কেন? গণতন্ত্রের কোন সংজ্ঞায় কোন প্রক্রিয়ায় হঠাৎ ভোটের আগে এসে যোগ দেওয়া ড. রেজা কিবরিয়াকে পার্টির সাধারণ সম্পাদক করলেন? আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব দেশের সেরা মর্যাদাশীল ব্যক্তিত্ববান মেধাবী দক্ষ সৎ যোগ্য অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার রক্তের ওপর দিয়ে সেদিনের ঘাতক সরকারি দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে যে সন্তান এমপি হতে ঐক্যফ্রন্টে গেছেন তাকে দিয়ে আদর্শের রাজনীতি হয় কোন বিবেচনায়? আর যে ড. কামাল হোসেন সেনাশাসক এরশাদের সঙ্গে মঞ্চে ওঠেননি তিনি কীভাবে গ্রেনেড বোমা রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের রক্তে মাখা বিএনপি ও তার পেছনের দরজায় ঐক্যে শামিল জামায়াত নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট করলেন?
সুপ্রিম কোর্টে আজ বিখ্যাত আইনজীবীদের বড় আকাল। আইকন নেই। ব্যারিস্টার রফিক-উল হকও শয্যায়। ড. কামাল হোসেন একজন অভিভাবকতুল্য সম্মানিত মানুষ। গুণীজন হিসেবে রাজনীতিতে ব্যর্থ হতেই পারেন। আতাউর রহমান খান, ড. আলিম আল রাজীসহ অনেকে ব্যর্থ হয়েছেন। জীবনের শেষ সময়ে মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়ে যে কজন বেঁচে আছেন জাতির প্রয়োজনে পরামর্শ দিন। জনস্বার্থে আদালতে দাঁড়ান। মুক্তিযুদ্ধ গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলুন। কিন্তু দয়া করে গণফোরামই নয়, রাজনীতি থেকে অবসর নেন। দেশকে আপনি অনেক দিয়েছেন। দেশ ও বঙ্গবন্ধু আপনাকে অনেক দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য ড. কামাল হোসেন হয়েই বাকিটা জীবন মানুষের জন্য অবসরে কাটান। এটা হবে সম্মান ও গৌরবের। গণফোরামের ব্যর্থতা গ্লানি লজ্জা ও ব্যর্থতার। আশা করি, আমার প্রস্তাব বিবেচনায় নেবেন।
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/open-views/177482/পীর-হাবিবুর-রহমান
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD