প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় সরকারি প্রচেষ্টায় সহায়তা দানে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের জন্য ৩৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ কয়েকটি সংস্থার অনুদান গ্রহণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুদান গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ত্রাণ সহায়তার জন্য সংস্থাসমূহের প্রতি শেখ হাসিনা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এছাড়া, অনুদান প্রদানকারী আরো ৬টি সংস্থার মধ্যে রয়েছে – ডাইরেক্টর জেনারেল অব ফুড, এফওএসএ (ফরেন অফিসার্স স্পাউস এসোসিয়েশন), রাজশাহী মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ আর্কিটেক্ট ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন এবং মিনিস্টার গ্রুপ।
অর্থ প্রদানের পাশাপাশি মিনিস্টার গ্রুপ এক লাখ পিস সার্জিক্যাল মাক্স প্রদান করে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/national/174124/করোনা-মোকাবিলায়-অনুদান-গ্রহণ-করলেন-প্রধানমন্ত্রী
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
দেশের ২০টি অঞ্চলে আজ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এ ২০ অঞ্চলের নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। হালকা বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/national/174123/২০-অঞ্চলে-ঝড়বৃষ্টি-হতে-পারে
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি কন্যা রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ রাশি অধিপতি বুধ, দেবগুরু বৃহস্পতি ও বিঘœ সৃষ্টিকারী গ্রহ কেতুর প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে মীন রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। অত্যাবশ্যকীয় বিবাহে কোনো না কোনো বাধা এসে হাজির হতে পারে। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর হয়ে থাকবে। ভ্রমণ বন্ধুত্ব শুভ।
মেষ [২১মার্চ-২০এপ্রিল]
জীবনসাথী, শ্বশুরালয় ও মাতুলালয় থেকে ভরপুর সাহায্য সহযোগিতা পাবেন। ডাকযোগে প্রাপ্ত সংবাদ বেকারদের কর্মপ্রাপ্তির বাসনা পূরণ করবে। গৃহবাড়ি ভূমিসম্পত্তি ও যানবাহন ক্রয়ের স্বপ্ন অচিরেই পূরণ করবে।
বৃষ [২১এপ্রিল-২০মে]
সিজনাল রোগব্যাধির সঙ্গে সঙ্গে পুরনো ক্রনিক ব্যাধিপীড়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে। রাগ জেদ অহংকার আবেগ বর্জন করুন। প্রেমিকযুগল সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করুন। মন সুর সংগীত ও ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।
মিথুন [২১মে-২০জুন]
কর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্যে তরতাজা উন্নতি করতে থাকায় মন আনন্দে নাচবে। পিতামাতার কাছ থেকে ভরপুর সাহায্য সহযোগিতাপ্রাপ্ত হবেন। দূর থেকে আসা কোনো সংবাদে গোটা পরিবারে খুশির জোয়ার বইবে।
কর্কট [২১জুন-২০জুলাই]
দাম্পত্য সুখ-শান্তি প্রতিষ্ঠার গ্রাফ চাঙ্গা হয়ে উঠবে। দীর্ঘদিনের ভাঙা প্রেম ও বন্ধুত্ব জোড়া লাগবে। সহকর্মী ও অংশীদারদের কাছ থেকে ভরপুর সাহায্য-সহযোগিতাপ্রাপ্ত হবেন। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর হয়ে থাকবে।
সিংহ [২১জুলাই-২০আগস্ট]
ভাইবোনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতা স্বপ্ন পূরণ করবে। কর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বাড়তি দায়িত্বভার বর্তাতে পারে। শত্রু ও বিরোধীপক্ষের সব পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে পড়বে। বিদ্যাশিক্ষায় ব্রতীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ অপেক্ষা করবে।
কন্যা [২২আগস্ট-২২সেপ্টেম্বর]
চতুর্দিক থেকে তরতাজা উন্নতি করতে থাকায় মন আনন্দে নাচবে। দীর্ঘদিনের আটকে থাকা বিল পাস ও অচল ব্যবসা সচল হয়ে উঠবে। প্রেমিকযুগলের জন্য দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সপরিবারে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের যোগ দিতে পারেন।
তুলা [২৩সেপ্টেম্বর-২২অক্টোবর]
মনোবল জনবল অর্থবলের সঙ্গে সঙ্গে সুনাম যশ প্রতিষ্ঠার গ্রাফ চাঙ্গা হয়ে উঠবে। গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র, বস্ত্রালঙ্কার ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর পসরা সাজবে। বিবাহযোগ্যদের বিবাহের কথাবার্তা পাকাপাকি হবে।
বৃশ্চিক [২৩অক্টোবর-২১নভেম্বর]
টাকাপয়সা হাতে আসতে আসতে মাঝপথে আটকে যাবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব বিরাজ করবে। কর্মক্ষেত্রে বড় কোনো অর্ডার হাত ছাড়া হয়ে পড়তে পারে। সন্তানদের আচরণ মনোবেদনার কারণ হবে। সংকটে বন্ধু-আত্মীয়রা মজা নেবে।
ধনু [২২নভেম্বর-২০ডিসেম্বর]
ডাকযোগে প্রাপ্ত সংবাদ বেকারদের মুখে হাসি ফোটাবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে পরিবারে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটতে পারে। বিদেশে অবস্থানরত স্বজনদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলবে। শত্রু ও বিরোধীপক্ষের পাতা ফাঁদে তারা নিজেরাই ঘায়েল হবে।
মকর [২১ডিসেম্বর-১৯জানুয়ারি]
কর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বাড়তি দায়িত্বভার বর্তাতে পারে। বিদেশগমন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দুটোই সমানতালে শুভফল প্রদান করবে। শিক্ষার্থীদের হাতের কাজ সহজে সম্পন্ন হবে। প্রেমিকযুগলের প্রেম বিবাহের মাধ্যমে সমাজে স্বীকৃতি পাবে।
কুম্ভ [২০জানুয়ারি-১৮ফেব্রুয়ারি]
ভাগ্যলক্ষ্মী প্রসন্ন হওয়ায় সফলতা আপনার চরণ স্পর্শ করবে। নিত্যনতুন প্ল্যান-প্রোগ্রাম আর স্বপ্নসাধ পূরণের দিকে ধাবিত হবে। বিবাহযোগ্যদের বিবাহের কথাবার্তা পাকাপাকি হবে। মামলা-মোকদ্দমা ও কোর্টকেসের রায় পক্ষে আসবে।
মীন [১৯ফেব্রুয়ারি-২০মার্চ]
দীর্ঘদিনের দাম্পত্য ও পারিবারিক কলহবিবাদের মীমাংসা হবে। জীবনসাথী, শ্বশুরালয় ও মাতুলালয় থেকে ভরপুর সাহায্য সহযোগিতাপ্রাপ্ত হবেন। প্রেমিকযুগল সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করুন। ব্যবসা-বাণিজ্যে মজুদ মালের দাম বৃদ্ধি পাবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/feature/174121/আজকের-রাশিফল
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার বদলা নেয়া হবেই। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরণের দ্বিধা-সন্দেহের অবকাশ নেই। এটা ইরানের সিরিয়াস বার্তা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।
কমান্ডার সোলাইমানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় তাকে হত্যা করা হয়।
হোসেইন সালামির এই বক্তব্য গার্ডসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ইরান আঘাত করলে আমেরিকার জবাব এক হাজার গুণ বেশি হবে বলে ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন তার প্রতিক্রিয়ায় হোসেইন সালামি বলেন, ইরানের শত্রুদেরকে সবখানে পুরোপুরি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আমরা শত্রুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ব। একজন ইরানিরও যদি চুল পরিমাণ ক্ষতি হয় তাহলে এর দাঁতভাঙা জবাবে দেবে তেহরান। এটা শুধু মুখের কথা নয়, আমরা সরাসরি হুমকি দিচ্ছি। সব সময় আমরা কথাকে কাজে প্রমাণ দিয়ে থাকি।
সম্প্রতি মার্কিন ওয়েবসাইট পলিটিকো এক প্রতিবেদনে দাবি করে, জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার পর প্রতিশোধ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হত্যা করতে চেয়েছিল ইরান।
ইরানের আইআরজিসি’র প্রধান জেনারেল সালামি আরও বলেছেন, আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত সাইকে টার্গেট করা হবে।
সূত্র- পারস টুডে
জিএ
Post Written by : Rony Islam
Original Post URL : https://ift.tt/2RJ9zF2
Post Come trough : নাচোল নিউজ
প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত
২০১৯ সালের ১ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আবরার। মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরারের (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) মামলার আসামি মতিউর রহমানসহ ১০ আসামি আদালতে হাজিরা দেন। এরপর আদালত মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও সুমন রায়।
২০১৯ সালের ১ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আবরার। মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ৬ নভেম্বর আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমান প্রথম আলো সম্পাদকসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত নালিশি মামলাটি আমলে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথম আলো সম্পাদকসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।
মামলার অপর আসামিরা হলেন-প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক, জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহপরান তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক, অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/court/174041/প্রথম-আলোর-সম্পাদকসহ-১০-জনের-বিরুদ্ধে-মামলা-বিচারের-জন্য-প্রস্তুত
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
নাজমা আক্তার। যুব মহিলা লীগ সভাপতি। ১৯ বছর ধরে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সম্প্রতি তার মা মৃত্যুবরণ করেন। অথচ যুব মহিলা লীগ সহানুভূতি জানিয়ে স্বজন হারানো নাজমা আক্তারের পাশে দাঁড়ানো তো দূরে থাক, তার মায়ের মৃত্যুতে কোনো শোকবার্তাও জানায়নি!
রাজনীতি
নাজমা আক্তার
নাজমা আক্তার। যুব মহিলা লীগ সভাপতি। ১৯ বছর ধরে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সম্প্রতি তার মা মৃত্যুবরণ করেন। অথচ যুব মহিলা লীগ সহানুভূতি জানিয়ে স্বজন হারানো নাজমা আক্তারের পাশে দাঁড়ানো তো দূরে থাক, তার মায়ের মৃত্যুতে কোনো শোকবার্তাও জানায়নি! এ নিয়ে শোকাহত নাজমা আক্তার ক্ষোভ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আবেঘগন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি আমাদের রাজনৈতিক ধৈন্যতার যে চিত্র তা তুলে ধরেছেন। পূর্বপশ্চিমের পাঠকদের জন্য তা হুবহু তলে ধরা হলো:
এটা কি বিবেকহীনতা, অমানবিকতা, শত্রুতা, হিংস্রতা, নাকি জঘন্য অপরাধবোধ থেকে সৌজন্যবোধটাকে হারিয়ে ফেলা ? প্রায় ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ১৯টি বছরই কাটালাম যুব মহিলা লীগের সভাপতি হিসেবে। সম্প্রতি আমার মা মৃত্যুবরণ করেছেন। মায়ের মৃত্যুতে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক প্রেস রিলিজ দিয়ে শোক বার্তা পাঠাবে, এটিই বোধ হয় রাজনৈতিক শিষ্টাচার। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের সাথে লক্ষ্য করলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল সেটি তো করলোই না, ফেসবুকে দু:খ প্রকাশ করেও কোন স্ট্যাটাস দিতে দেখলাম না। এমনকি গত ৭ দিনে তার কাছ থেকে সহানুভূতির কোনো ফোনও পেলাম না। তাহলে কি আমার মায়ের মৃত্যুর প্রেস রিলিজ আমাকেই দিতে হতো?
কার সাথে এতোটি বছর রাজনীতি করলাম? কোন একটি দৈনিক পত্রিকায় আমার মায়ের মৃত্যুতে শোক ও দু:খ প্রকাশ করে জনাব ওবায়দুল কাদেরের নামের সাথে অপু উকিলের নামটিও এসেছে। সেটি যুব মহিলা লীগের কোন প্রেস রিলিজ ছিল না, কোন এক সাংবাদিক ভাই তার নাম নিজের ইচ্ছাতেই জুড়ে দিয়েছেন। এইভাবেই কি মনুষ্যত্বহীন নিষ্ঠুর রাজনীতিকে সঙ্গী করে আমাদেরকে চলতে হবে ?
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/politics/174026/অপু-উকিলের-বিরুদ্বে-নাজমার-যতো-ক্ষোভ
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে মোল্লাটোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে৷ সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল কমিটি। ১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার অনুষ্ঠিত ম্যানেজিং কমিটির সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোল্লাটোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাপ নবী স্বাক্ষরিত নোটিশ সুত্রে জানা যায়, ২২ আগষ্ট বিভিন্ন অনিয়ম আর দূর্ণীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে কারণ দর্শাণোর নোটিশ দেয় ম্যানেজিং কমিটি। ৩০ আগষ্ট প্রধান শিক্ষক নোটিশের জবাবে কমিটি সন্তুষ্ট না হওয়াও তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কমিটি। ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে এ সাময়িক বরখাস্ত কার্যকর হবে বলে নোটিশে জানানো হয়।
পত্র প্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোশদুল হককে দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য নোটিশে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নোটিশের অনুলিপি রাজশাহী উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জেলা শিক্ষা অফিসার, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরণ করেছেন বলে জানান সভাপতি।
এবিষয়ে সাময়িক বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। কোন চিঠিও পাননি বলে জানান তিনি।
Post Written by : Rony Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3kyDo7v
Post Come trough : নাচোল নিউজ
রোগীর চাপ বাড়ছে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে। করোনার ভয় কমে যাওয়ায় অনেকেই ভিড় করছেন সেবা নেয়ার জন্য। অনেক হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে মেঝে-বারন্দায় আশ্রয় নিয়েছেন রোগীরা। সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিদিন সকাল থেকেই রোগীর চাপ শুরু হয়। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর হাসপাতালে কমে গিয়েছিল রোগী। তবে, এখন আর সেই অবস্থা নেই। ভিড় লেগেই থাকছে সব জায়গায়। এর মধ্যেই সেবার পাওয়ার অপেক্ষা করতে হয় রোগীদের।
৪১৪ শয্যার হাসপাতালটিতে বর্তমানে নন-কোভিড রোগীদের জন্য বরাদ্দ ৩৫৮টি শয্যা। তবে, এর বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ৭২০ জন। সব ধরনের সেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস্থাও একই। ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে। শয্যা না পেয়ে অনেকে জায়গা নিয়েছেন মেঝে-বারান্দায়।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/33Z7Hh9
Post Come trough : নাচোল নিউজ
এ বছরের মার্চে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয়ে এক বা দুটি পরীক্ষার পর সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে। অনেক শিক্ষার্থীর এরইমধ্যে পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকানোর কথা থাকলেও তারাও পড়ে আছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে।
জাতীয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা সংক্রমণের কারণে সংকটে পড়েছে দেশের শিক্ষা কার্যক্রম । মহামারীর প্রথম দুই মাসে ধীরে ধীরে দেশের সব অফিস, আদালত, দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ থাকার পর সবই খুলে গেছে। কিন্তু এখনও বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা আসেনি।
গত শতকের আশি ও নব্বই দশকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা, সংঘাত ও সহিংসতায় ঘন ঘন ক্যাম্পাস বন্ধের ফলে সেশনজট পিছু ছাড়েনি উচ্চশিক্ষায়। ঠিক তেমনি করোনা ভাইরাস সংকটে দীর্ঘ ছুটির জেরে সেশনজটের সেই পুরনো তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে চলছেন বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিকে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভাইরাস সংকটের তিন মাস পর অনলাইনে ক্লাস শুরু করলেও তাতে সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়নি। তাই ক্লাস চললেও পরীক্ষার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বছরের মার্চে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয়ে এক বা দুটি পরীক্ষার পর সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে। অনেক শিক্ষার্থীর এরইমধ্যে পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকানোর কথা থাকলেও তারাও পড়ে আছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে।
মহামারী কতদিন প্রলম্বিত হবে, আবার কবে উচ্চ শিক্ষাঙ্গণগুলো স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে আসবে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না দায়িত্বশীলরাও। এই পরিস্থিতিতে ছয় মাস থেকে এক বছর পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।
এ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মুহসীন আহমদ জানান, এ বছরের ডিসেম্বরে স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকানোর কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে এখনও জুন মাসের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষাও দিতে পারিনি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী সাজিদুজ্জামান জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে নয়টি কোর্সের মধ্যে মাত্র একটির পরীক্ষা দিয়েই বসে আছেন তারা। বাকি পরীক্ষাগুলো কবে হবে, তার ঠিক নেই।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাসনুবা তাহসিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে অলরেডি সেশনজটে পড়ে গেছি। নভেম্বর মাসে অনার্স ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। ছয় মাস তো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। কোর্সগুলো করা হয়নি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা মুন্নী বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমাদের দুই সেমিস্টারের পরীক্ষা একসাথে নেবে বলছে। তাই অনলাইনে আমাদের সিলেবাস শেষ করা হচ্ছে। কিন্তু সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নিলেই তো হবে না। মিডটার্ম বা অ্যাসাইনমেন্ট এগুলোতেও তো সময় লাগবে।
করোনা মহামারীর কারণে সেশনজট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, আশা করি শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের সেশনজটে পড়বে না। যারা অনার্স ডিগ্রি বা মাস্টার্স ডিগ্রির টার্মিনালে আছে, তারা হয়ত কিছু দিনের জন্য সেশনজটে পড়তে পারে। তবে যারা ফার্স্ট ইয়ার বা সেকেন্ড ইয়ারে আছে তাদের সেশনজটে পড়ার কোনো শঙ্কা নেই।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, সেশনজট কমানোর জন্য আমরা কিছু বিষয়ের কথা ভাবছি। তবে আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। সেশনজট এড়ানোর জন্য ক্যাম্পাস খুললে শীতকালীন ছুটির মতো বড় ছুটি বাতিল করা এবং সাপ্তাহিক বন্ধ দুই দিন থেকে এক দিনে নামিয়ে আনার মতো বিষয়েও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা সেশনজট নিরসনে ক্রাশ প্রোগ্রাম গ্রহণ করব। তখন সেশনজট দ্রুতই কমে যাবে। তবে ছুটি যদি আরও ছয় মাস দীর্ঘায়িত হয়, সেটা চিন্তার বিষয়। তখন সেশনজটের আশঙ্কা থাকবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৩ মার্চ সরকার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এর আগেই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনিদিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/national/174036/সেশনজট-ফিরিয়ে-আনছে-করোনাভাইরাস
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জাতীয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার বাদী আবরারের বাবা জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারনামীয় ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহারবহির্ভূত ছয়জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।
গ্রেপ্তার ২২ জন হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।
মামলার তিন আসামি এখনও পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দু’জন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আসামি। ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এ সময় কারাগারে থাকা ২২ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/national/174032/বুয়েটের-আবরারের-বাবা-অসুস্থ,-সাক্ষ্য-হয়নি-আজ
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
নাজমা আক্তার। যুব মহিলা লীগ সভাপতি। ১৯ বছর ধরে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সম্প্রতি তার মা মৃত্যুবরণ করেন। অথচ যুব মহিলা লীগ সহানুভূতি জানিয়ে স্বজন হারানো নাজমা আক্তারের পাশে দাঁড়ানো তো দূরে থাক, তার মায়ের মৃত্যুতে কোনো শোকবার্তাও জানায়নি!
রাজনীতি
নাজমা আক্তার
নাজমা আক্তার। যুব মহিলা লীগ সভাপতি। ১৯ বছর ধরে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সম্প্রতি তার মা মৃত্যুবরণ করেন। অথচ যুব মহিলা লীগ সহানুভূতি জানিয়ে স্বজন হারানো নাজমা আক্তারের পাশে দাঁড়ানো তো দূরে থাক, তার মায়ের মৃত্যুতে কোনো শোকবার্তাও জানায়নি! এ নিয়ে শোকাহত নাজমা আক্তার ক্ষোভ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আবেঘগন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি আমাদের রাজনৈতিক ধৈন্যতার যে চিত্র তা তুলে ধরেছেন। পূর্বপশ্চিমের পাঠকদের জন্য তা হুবহু তলে ধরা হলো:
এটা কি বিবেকহীনতা, অমানবিকতা, শত্রুতা, হিংস্রতা, নাকি জঘন্য অপরাধবোধ থেকে সৌজন্যবোধটাকে হারিয়ে ফেলা ? প্রায় ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ১৯টি বছরই কাটালাম যুব মহিলা লীগের সভাপতি হিসেবে। সম্প্রতি আমার মা মৃত্যুবরণ করেছেন। মায়ের মৃত্যুতে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক প্রেস রিলিজ দিয়ে শোক বার্তা পাঠাবে, এটিই বোধ হয় রাজনৈতিক শিষ্টাচার। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের সাথে লক্ষ্য করলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল সেটি তো করলোই না, ফেসবুকে দু:খ প্রকাশ করেও কোন স্ট্যাটাস দিতে দেখলাম না। এমনকি গত ৭ দিনে তার কাছ থেকে সহানুভূতির কোনো ফোনও পেলাম না। তাহলে কি আমার মায়ের মৃত্যুর প্রেস রিলিজ আমাকেই দিতে হতো?
কার সাথে এতোটি বছর রাজনীতি করলাম? কোন একটি দৈনিক পত্রিকায় আমার মায়ের মৃত্যুতে শোক ও দু:খ প্রকাশ করে জনাব ওবায়দুল কাদেরের নামের সাথে অপু উকিলের নামটিও এসেছে। সেটি যুব মহিলা লীগের কোন প্রেস রিলিজ ছিল না, কোন এক সাংবাদিক ভাই তার নাম নিজের ইচ্ছাতেই জুড়ে দিয়েছেন। এইভাবেই কি মনুষ্যত্বহীন নিষ্ঠুর রাজনীতিকে সঙ্গী করে আমাদেরকে চলতে হবে ?
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/politics/174026/কেন-শোকবার্তা-জানায়নি-যুব-মহিলা-লীগ?
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি পার্টিতে গোলাগুলির ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রোচেস্টারে ওই হামলার ঘটনায় আরও ১৪ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিউইয়র্ক পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মার্ক সিমন্স সাংবাদিকদের জানান, ওই এলাকায় গোলাগুলির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ সদস্যরা।
মার্ক সিমন্স বলেন, ‘‘আমরা এখন পর্যন্ত ১৬ জনের হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। এর মধ্যে দুঃখজন খবর হলো দুজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন নারী এবং একজন পুরুষ। এদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
‘আহত ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা সংকটজনক নয় বলে জানানো হয়েছে। ওই গোলাগুলির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া গোলাগুলির ঘটনায় একজন জড়িত ছিল নাকি আরও বেশি বন্দুকধারী ছিল তাও জানাতে পারেনি পুলিশ।”
মার্ক সিমন্স বলেন, ‘আমাদের কমিউনিটির জন্য এ ধরনের দুর্ঘটনা মেনে নেওয়া কঠিন, দুর্ভাগ্যজনক এবং লজ্জাজনক।
পূর্বপশ্চিমবিডিজেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/abroad/174024/নিউইয়র্কে-পার্টিতে-গোলাগুলি:-নিহত-২,-আহত-১৪
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, ভিসা সংক্রান্ত কিছু জটিলতার কারণে ড. বিজন কুমার শীল রোববার সিঙ্গাপুর ফিরে যাচ্ছেন। তবে গণস্বাস্থ্যের করোনা ভাইরাসের এন্টিবডি ও এন্টিজেন কিটের উন্নয়ন এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিভিন্ন গবেষণায় ড. বিজন কুমার শীলকে প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাঁর ভিসা প্রাপ্তিতে যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন সব বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে। আশা করছি শীঘ্রই তিনি আবার দেশে ফিরে আসবেন। কারণ তিনিও সব সময় দেশে এসে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন।
ড. বিজন কুমার শীল ১৯৯৯ সালে ছাগলের মড়ক ঠেকানোর জন্য পিপিআর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেন।
২০০২ সালে ডেঙ্গুর কুইক টেস্ট পদ্ধতির আবিষ্কারকও ড. বিজন। যা সিঙ্গাপুরে তার নামেই প্যাটেন্ট করানো। ২০০৩ সালে তিনি সার্স ভাইরাসের কুইক টেস্ট পদ্ধতির আবিষ্কার করেছিলেন। এটাও তার নামে প্যাটেন্ট করা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সার্স ভাইরাস প্রতিরোধে সিঙ্গাপুর সরকারের একজন বিজ্ঞানী হিসেবে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/national/174023/বিজন
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
মানুষের জীবনে কতই না ভুল থাকে। এরমাঝেও কিছু ভুল থাকে যেগুলো আর শোধরানো যায় না। অনুশোচনা করেই কাটাতে হয়। তেমন অনুশোচনার কথাই জানালেন পর্নস্টার মিয়া খলিফা। ব্যক্তিগত হীনমন্যতা থেকেই এই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য এই পেশায় এসেছিলেন বলে জানান মিয়া।
বিবিসির ‘হার্ডটক’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা আমার ওজনের জন্য ভুগেছি এবং নিজেকে কখনও পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণের যোগ্য বলে মনে হতো না। আমার নারীত্বকে যেন কেউ অনুভব করতো না।’
পর্নোগ্রাফির জগৎ থেকে অনেক আগেই বের হয়ে এসেছেন। তবে নিজের জীবনের ভয়াবহ তিন মাসের অভিজ্ঞতা ভুলতে পারছেন না তিনি। আবার, তার সেই পরিচয়ও মানুষ ভুলছে না। এখনো লোকে তাকে সে চোখেই দেখে। মিয়ার মতে, এ পরিচয়টা মুছতে তার সময় লাগবে সেটা তিনি বুঝতে পারছেন। কিংবা হয়তো কোনো দিনই মুছবে না।
অল্প বয়সে অনেক টাকা রোজগার, অজানা রঙিন জগতে হারিয়ে যাওয়ার হাতছানি থেকেই এই পেশায় গিয়েছিলেন মিয়া। প্রথম যখন পর্ন ছবিতে কাজ করার প্রস্তাব পান তিনি বুঝতে পারেননি এটিকে কীভাবে প্রত্যাখ্যান করবেন। মোহভঙ্গ হয় মাত্র তিন মাসেই। মাত্র ১২ হাজার ডলার আয় করেছেন, বিনিময়ে তছনছ হয়ে গেছে গোটা জীবন। বাবা-মা ও পরিবারের লোকজন তাকে ত্যাগ করেছেন। পর্ন ছেড়ে দেওয়ার পরেও আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশকিছু মুসলিম অধ্যুষিত দেশে নিষিদ্ধ করা হয় তাকে। আইএসআইএসের কাছ থেকে খুনের হুমকিও পান।
মিয়ার উপলদ্ধি, পর্নোগ্রাফির জগৎ থেকে বের হওয়াটা সহজ নয়। ইন্ডাস্ট্রিতে ঢোকার পর নানা ফাঁদে আটকে পড়ে অল্প বয়সী মেয়েরা। নারী পাচারকারীদের মাধ্যমেও কীভাবে ছোট ছোট মেয়েরা এ অন্ধকার জগতে আসতে বাধ্য হয় সেটিও বলেছেন মিয়া। কার মতে, বহু মেয়ে অপরিণত মনে, ভুল সিদ্ধান্ত ও কিছু মানুষের পাল্লায় পড়ে নিজের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমাকে এ ধরনের অনেক মেয়েই মেইল করে সেকথা জানিয়েছে। তাদের জীবনের গল্পগুলো ভয়ঙ্কর।
১৯৯৩ সালে লিবিয়ায় জন্ম নেন মিয়া খালিফা। ২০০১ সাল থেকে আমেরিকার বাসিন্দা। ২০১৪’র শেষ দিকে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে খুব অল্পসময়ের জন্য কাজ করেছেন তিনি। দ্রুতই অন্ধকার জগতের নায়িকা হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। যে পরিচয় এখন তার কাছে অভিশাপ মনে হচ্ছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/entertainment/others/174022/এতদিন-পর-সত্যটা-বলে-দিলেন-মিয়া-খলিফা!
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
যখন প্যারেন্টিংয়ের কথাটা আসে, প্রতিটি মা-বাবাই সন্তানের জন্য তাদের সব্বোর্চ প্রচেষ্টা করে থাকেন। তাহলে গুড প্যারেন্টিং ব্যাপারটা আসলে কী? এটি কি নির্ভর করে আপনার সন্তানের মূল্যবোধ জাগ্রত করতে পেরেছেন কিংবা আপনি কতটুকু মূল্যবান সময় সন্তানের সাথে কাটাচ্ছেন?
গুড প্যারেন্টিং যতটা কঠিন মনে হয় তারচেয়ে অনেক বেশি সহজ ব্যাপার। ৭০ বছর ধরে করা এক গবেষণা, যা ৭০,০০০ এরও বেশি শিশুর বিস্তারিত তথ্য নিয়ে করা হয়েছিলো, সেখান থেকে জানা গেছে অনেক অজানা তথ্য। ব্রিটিশ বার্থ কোহোর্টস হিসাবে পরিচিত, এই গবেষণা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই যুক্তরাজ্যে শুরু করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে মায়েদের প্যারেন্টিংয়ের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছিলেন। তারা একটি সমীক্ষা করেছিলেন, ১৯৪৬ সালে সপ্তাহগুলোতে যেসব মা সন্তান জন্ম দিয়েছেন, তাদের ওপর। শেষ পর্যন্ত, সেসময়ে তারা জন্মের সাথে সম্পর্কিত ১৪,০০০ এর অধিক প্রশ্নাবলী সংগ্রহ করেছিলেন।
বিজ্ঞানীরা সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন প্রজন্মের শিশুর তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন, যা তাদের ৭০ বছরে ৭০,০০০ শিশুর ওপর একটি ধারণা দিয়েছে। কীভাবে সফল পিতা-মাতা হতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
কথোপকথন শিশুর সাথে কথা বলা এবং তাদের কথা শোনা প্যারেন্টিংয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। আপনার শিশুর কথা শোনা তাদের সাথে কথা বলার মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা আপনার সন্তান বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা করুন। আপনার অপূর্ণ স্বপ্নগুলো যেন তাদের উপর চাপিয়ে না দেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।
ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ আপনার সন্তানের প্রতি মায়া কিংবা ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ অন্য সবকিছুর থেকে বেশি প্রয়োজন। একটি আত্মিক বন্ধন তৈরি করুন যাতে তারা বিশ্বস্ততা খুঁজে পায়।
ঘুরতে বের হওয়া শিশুর একঘেয়েমি জীবন দূর করার অন্যতম উপায় হচ্ছে ফ্যামিলি ট্রিপ কিংবা অ্যাডভেঞ্চারে বের হওয়া। এটি আপনাকে এবং আপনার শিশুকে পারিবারিক বন্ধনে আকৃষ্ট করবে ।
পড়ার অভ্যাস শিশুর দৈনিক সময়সূচীতে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। শিশু সহজে নতুন অভ্যাসে খাপ খাইয়ে নিতে পারে,তাই এই ভালো অভ্যাস তাদের আজীবন কাজে আসবে।
সবগুলো টিপসই প্রয়োজনীয় তবে বেশিরভাগই পালন করা হয় না। শত ব্যস্ততায়ও প্রতিদিন শিশুর সাথে কাটানোর জন্য কিছু সময় বের করুন। কোয়ালিটি টাইম মানে এই নয় যে সবসময় প্রোডাকটিভ কিছু করা, দিনে কোনো একটা সময় আপনার সন্তানের পাশে বসুন, তার আজকের দিনটা কিভাবে কাটলো তা জানতে চান। এই সামান্যটুকু প্রচেষ্টা যথেষ্ট আপনার সন্তানের মাঝে পারিবারিক বন্ধন, ভালোবাসা এসব অনুভূতির উন্মেষ ঘটাবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/feature/174021/শিশুর-সফলভাবে-বেড়ে-ওঠার-গোপন-রহস্য
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
বন্ধুর বেঈমানিতে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আত্মহত্যাকারী সাহেদুল ইসলাম (২১) পিএমখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জুমছড়ি এলাকার রমজান আলী মেম্বারের ছেলে। তিনি রামু সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তার ভাই মোশারফ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাহেদ অসুস্থতায় ভুগছিল। পরিবার তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামেও নিয়ে যায়। সেখানে বিভিন্ন টেস্ট (পরীক্ষা) করালে তার শরীরে তেমন কোনো সমস্যা নেই বলে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন। এরপর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সাহেদ। হঠাৎ শুক্রবার রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষপান করেন তিনি।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাহেদ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, এর নাম সোহেল। আইডির নাম, চামি চুমির। একসময় সোহেল আমার বন্ধু ছিল, আর আমার কাছাকাছি থেকে আমাকে মেরে ফেলার জন্য, বৈদ্য থেকে সে জাদু টোনা (ওষুধ) করছে আমাকে। আমি দুই বছরের বেশি সময় ধরে অনেক কষ্ট পাচ্ছি। একেকটা রাত আমার জন্য একেকটা কেয়ামত। আমি আর সহ্য করতে পারছি না, তাই আত্মহত্যা করলাম। আমার মৃত্যুর জন্য সোহেলই দায়ী। আপনারা তাকে ছাড়বেন না। আমি কাপুরুষ নই, আমি কষ্ট আর সহ্য করতে না পারায় আত্মহত্যা করলাম। এখানে আমার পরিবারের কোনো দায় নেই। গত ১৫ দিনে আমার পরিবার চিকিৎসার জন্য এক লাখ টাকা খরচ করছে। তারা আমার জন্য অনেক কষ্ট করছে। আপনারা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন, আল্লাহ হাফেজ, বিদায় পৃথিবী। আমি তাকে হাসরের মাঠেও ক্ষমা করবো না।
মোশারফ বলেন, শাহেদ ফেসবুকে আত্মহত্যার ঘোষণা দেয়া এ পোস্ট দেখতে পেয়ে তাকে খুঁজতে বের হন পরিবারের লোকজন। তারা তাকে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখেন। সেখান থেকে তাকে দ্রুত উদ্ধার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরিবারের দাবি, তিনি বিষপান করেছেন।
সাহেদের ভাই মোশারফ আরও বলেন, শাহেদ কিছুদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন। তাকে কয়েকজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে তার শরীরে তেমন কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দেয়। সপ্তাহখানেক আগে মোহসিনিয়া পাড়া গ্রামের আব্বাস উদ্দিন নামের এক ওঝার কাছে নিলে তাকে জাদু-টোনা (কালা বান) করেছে বলে ওই ওঝা দাবি করেন। তখন সাহেদ ধারণা করেন সৌদিতে থাকা তার বন্ধু সোহেল এমন কাজ করেছে। হয়তো আবেগের বসে সে এমন কাজ করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাহেদের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে মন্তব্য করেছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহীন আবদুর রহমান। তাকে সুস্থ করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/whole-country/174020/আমি-তাকে-হাশরের-মাঠেও-ক্ষমা-করব-না
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
বড় বোনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় ছোট বোনকে খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
রংপুর শহরের মধ্য গণেশপুর এলাকা থেকে দুই বোনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। শনিবার সকালে (১৯ সেপ্টেম্বর) রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় নিহত জান্নাতুল মাওয়ার বাবা মমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে এ মামলা করেন। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) উত্তম প্রসাদ পাঠক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে গণেশপুর এলাকা থেকে সুমাইয়া আক্তার মীমের (১৬) মরদেহ ঘরের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় এবং তার চাচাতো বোন জান্নাতুল মাওয়ার (১৪) মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার সকালে জান্নাতুল মাওয়ার বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেছেন। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে হত্যার মূল রহস্য জানার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন আলামত জব্দসহ তাদের আত্মীয়-স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা বেশ কয়েকটি দিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পর রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। শুক্রবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত মীম ও মাওয়ার পরিবারের লোকজনকে থানায় নেয়া হয়। পাশাপাশি ওই রাতেই নগরীর উত্তর বাবখা থেকে মাহফুজার রহমান রিফাত ও সদর উপজেলার লাহিড়িরহাট এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম নামে দুই যুবককে আটক করে পুলিশ।
তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, আটক রিফাত ও আরিফুল নগরীর মুলাটোল মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার আলিম প্রথমবর্ষের ছাত্র। তারা দুজন বন্ধু। নিহত মীমও ওই মাদরাসা থেকে এবার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়। রিফাতের সঙ্গে নিহত মীমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের সূত্র ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বড় বোনকে প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় ছোট বোনকে খুন করা হয়। পরে প্রেমিকার সঙ্গে কথাকাটাকাটির জেরে তাকে হত্যার পর মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় প্রেমিক।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে নিহত দুই বোনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জান্নাতুল মাওয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/whole-country/174019/বড়-বোনকে-আপত্তিকর-অবস্থায়-দেখে-ফেলায়-ছোট-বোনকে-খুন
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
এই ক্লান্তিকর সময়ে জীবনের তাগিদে মানুষ বেছে নিয়েছে আপন ঠিকানা। মৃত্যুকে পাশ কাটিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে নেমেছে নতুন লড়াইয়ে। কাটিয়ে উঠছে করোনার ভয়।
শুক্রবার গ্রামে গিয়েছিলাম। মসজিদে নামাজে গিয়ে দেখলাম কারও মুখে মাস্ক নেই। হাটবাজারে একই চিত্র। বিকালে গেলাম এক সামাজিক অনুষ্ঠানে। ভিড় আগের মতোই। ভাবখানা এমন- করোনা নামের কোনো কিছু নেই এ বিশ্বে। কোনো দিন ছিল না।
মানুষ কোলাকুলি করছে। হাত মেলাচ্ছে। কাজ করছে যে যার মতো। সবকিছু স্বাভাবিক করার এক নতুন লড়াই। সবাই বুঝতে পারছে দুনিয়া থেকে একদল মানুষ নীরবে বিদায় নেবে। মৃত্যুর হিমশীতল পরশ স্পর্শ করবে। বিদায় বেলায় শেষ কথাগুলো বলা হয়তো হবে না। আরেক দল মানুষ বেঁচে থাকবে কঠিন ইমিউনিটি নিয়ে। এ এক কঠিন নিয়তি। একদিকে শব আরেক দিকে আনন্দযাত্রা কিন্তু শুধু একটি খবরে মুহূর্তের আনন্দেও নেমে আসতে পারে বিষাদের ছায়া। স্বপ্নরা যেতে পারে চিরতরে হারিয়ে। বিষণœতার কালো মেঘের ডানা পেখম মেলবে। বিস্মিত প্রশ্নবিদ্ধ পৃথিবীর আগামী দিনগুলো আরও খারাপ যাবে বলেই মনে হয় আমার। কারণ করোনাকালে মানুষের নেতিবাচক কর্মকান্ড আগের চেয়ে বেড়েছে। হতাশা-বঞ্চনার পরিধিও কমেনি। চলার পথে যা চাই না তা এসে সামনে দাঁড়াচ্ছে। ঈর্ষার অনল, হিংসার দাবদাহ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করছে অনেক কিছু। বেড়েছে অনেকের ভন্ডামি, নোংরামি। ভয়ঙ্কর আগুনে কেউ কেউ ঢালছে ঘি। কিন্তু ভাবখানা সাধুসন্ন্যাসের মতো। কিছু মানুষ কথা বলে পুরোহিতের মতো। আচরণে দেখায় যিশুখ্রিস্টের আপন ভাই। বেশভূষায় ভাব প্রকাশে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন। কিন্তু বাস্তবে তাদের কাজকর্ম সম্পূর্ণ বিপরীত। তারাই বাড়িয়েছে চারদিকে হানাহানি, সন্ত্রাস, নিষ্ঠুরতা, অন্যায়-অসংগতি। কঠিনতম সত্য- জগতের স্বাভাবিকতা উধাও হচ্ছে। বাড়ছে অস্বাভাবিকতা। চারদিকে অন্ধকারের হাতছানি। অপকর্ম, ঘুষ, দুর্নীতি, লুটপাট মানুষই করছে। জিনভূতেরা আসমান থেকে নেমে কিছু করে না। দুনিয়ার অন্যায়গুলো এ গ্রহের মানুষই করে।
কবিগুরু বলেছেন, ‘দিন চলে যায় গুনগুনিয়ে ঘুম পাড়ানির ছড়া; শান-বাঁধানো ঘাটের ধারে নামছে কাঁখের ঘড়া। ’ সেদিন দেখলাম খিচুড়ি প্রশিক্ষণে বিদেশ যাওয়া নিয়ে এক প্রতিমন্ত্রী সাহেব দারুণ চটেছেন। এক হাত নিলেন সাংবাদিকদের। সাংবাদিকদের যা খুশি বলা যায়। সমস্যা নেই। এ নিয়ে কথা বলার কেউ নেই। প্রতিবাদও কেউ করে না। বরং দলীয় বিভাজনে বিভক্তরা সমালোচনাকারী ক্ষমতাবানদের পক্ষেই অবস্থান নেয়। নিজের পেশার মর্যাদা নিয়ে ভাবনা নেই কারও। ক্ষমতাবানরা ব্যস্ত মেইনস্ট্রিম মিডিয়াকে নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রল আর ইউটিউবের লাইভ তাদের চোখে পড়ে না। পড়বে কী করে, অনেক মাননীয় ঢাকা শহরে নতুন। তাই বলছি, মাননীয়রা! ঢাকা শহরটা চিনুন। সবকিছু জানুন। মানুষের মনের চিন্তাকে গুরুত্ব দিন। কাজে লাগবে। সব সহজ হয়ে উঠবে। দাম্ভিকতা সংকটের সমাধান করে না। সর্বনাশ ডেকে আনে। প্রতিষ্ঠান চালাতে কাজটা বুঝতে হয়। একটা ভুল টেনে আনে আরেকটাকে। আর একবার ভুল দিয়ে শুরু হলে তা চলতেই থাকে। বাস্তবতাকে সাময়িক আড়াল করা যায়। দীর্ঘ মেয়াদে নয়। সময় ও পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে হয় সবকিছু দেখে-শুনে। জবাবদিহি না থাকলে অদক্ষরা সর্বনাশ ডেকে আনে। একটা পর্যায়ে সর্বনাশা খেলায় সব তছনছ হয়ে যায়। বাস্তবতা কোনোভাবে এড়ানো যায় না। সমস্যা একটি প্রতিষ্ঠানের নয়। সবখানে একই চিত্র। সতর্ক করাটা খারাপ কিছু নয়। সত্যিকারের বন্ধুরাই সতর্ক করে। অসৎরা করে চাটুকারিতা। আর চাটুকাররা সর্বনাশ ডেকে আনে। জওহরলাল নেহরু আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘যা জানার তা জানা হয়েছে, যা কিছু করার ছিল তাও করা হয়ে গেছে- এই প্রাচীন ধারণার মতো ভয়ঙ্কর নির্বুদ্ধিতা আর কিছু নেই। ’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমাদেরকে বুঝতে হবে, উনবিংশ শতাব্দীর ব্যবস্থার দিন চলে গেছে, বর্তমান প্রয়োজন পূরণে তার কোনো সার্থকতা নেই। এক নজির থেকে অন্য নজিরে উপনীত হওয়ার যে আইনজীবীসুলভ মনোবৃত্তি বিদ্যমান, যেখানে অতীতের কোনো নজির নেই, সেখানে তা কোনোই কাজে লাগবে না। লৌহবর্ত্মের ওপর গরুর গাড়ি চাপিয়ে দিয়ে তাকে আমরা রেলগাড়ি বলতে পারি না। বর্তমান যুগে তা অচল বলে বাতিল করতেই হবে। ’
নেহরু সময়ের বাস্তবতার কথাই বলেছেন। আগের যুগের রাজনীতিবিদরা কাজ করতেন মানুষের জন্য। চিন্তা-চেতনায় থাকত মানুষ। জনপ্রতিনিধি হতেন জনকল্যাণে কাজ করার জন্য। ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য নয়। ডান-বাম ধারার চিন্তা-চেতনায় ফারাক ছিল। কিন্তু সবারই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকত। মানুষের জন্য কাজ করে কেউ সুবিধা নেওয়ার কথা ভুলেও চিন্তা করতেন না। রাজনীতিকে সেবা মনে করতেন। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা হৃদয়ে লালন করতেন মানুষকে। রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা ছিল। কিন্তু কেউ কাউকে ধ্বংসের পরিকল্পনা নিতেন না। উন্নয়নের নামে কমিশন ভাগাভাগির লড়াইটা ছিল না। দেশসেবার ব্রত নিয়ে ভালো পরিবারের সন্তানরা রাজনীতিতে আসতেন। রাজনীতি ব্যবসা হতে পারে কস্মিনকালে কেউ তা কল্পনাও করেনি। এখন ঘাটে ঘাটে শুধুই ব্যবসায়ী। রাজনীতিবিদ কোথায়? মণি সিংহ নিজের পূর্বপুরুষদের জমিদারির অর্থবিত্ত ব্যয় করেছেন রাজনীতির জন্য। নিজের বাড়ি দান করেছেন পার্টিকে। প্রয়াত অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ কাকরাইলে থাকতেন। মাঝেমধ্যে যেতাম। বলতেন আদর্শিক রাজনীতির কথা। ধর্ম-কর্ম-সমাজতন্ত্রের থিউরি ছিল তাঁর। বঙ্গবন্ধু গণমানুষের চেতনাকে জাগিয়ে ধীরে ধীরে দেশটা স্বাধীন করেছেন। হঠাৎ করে সব করেছেন মনে করার কারণ নেই। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর প্রতিটি লাইন থেকে শেখার আছে। জানার আছে। কেন রাজনীতি করতেন সে ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন কারাগারে থাকতে। একবার খুলনা জেল পরিদর্শনে এসে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ হোসেন বঙ্গবন্ধুর কথা জানলেন। তারপর তাঁর অফিসে নিয়ে যেতে বললেন বঙ্গবন্ধুকে। এ ব্যাপারে আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘আমি যেয়ে দেখি তিনি বসে আছেন। আমাকে বসতে বললেন তার কাছে। আমি বসবার সাথে সাথে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কেন জেল খাটছেন? আমিও উত্তর দিলাম, ক্ষমতা দখল করার জন্য। তিনি আমার মুখের দিকে অনেকক্ষণ চেয়ে রইলেন। তারপর বললেন, ক্ষমতা দখল করে কী করবেন? বললাম, যদি পারি দেশের জনগণের জন্য কিছু করব। ক্ষমতায় না যেয়ে কি তা করা যায়? তিনি আমাকে বললেন, বহুদিন জেলের সাথে আমার সম্পর্ক রয়েছে। অনেক রাজবন্দীর সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। অনেকের সাথে আলাপ হয়েছে, এভাবে কেউ আমাকে উত্তর দেয় নাই, যেভাবে আপনি উত্তর দিলেন। সকলের ঐ একই কথা, জনগণের উপকারের জন্য জেল খাটছি। দেশের খেদমত করছি, অত্যাচার সহ্য করতে পারছি না বলে প্রতিবাদ করেছি, তাই জেলে এসেছি। কিন্তু আপনি সোজা কথা বললেন, তাই আপনাকে ধন্যবাদ দিলাম। ’
রাজনীতিতে সোজা কথা বলার যুগ শেষ হয়ে গেছে। মানুষের জন্য কিছু করার ক্ষমতার আদর্শ এখন আর নেই। এখন কেউ সমালোচনাও সহ্য করতে পারে না। সব দলে সব মতে একই চিত্র। বাংলাদেশ নিয়ে বলে কী হবে, দুনিয়াটাই যেন বদলে গেছে চোখের সামনে। ভাবতে পারেন আমেরিকানরা ২০০ বছর আগে সংবিধানে বলে গেছে, সংবাদপত্র বন্ধ করা যাবে না। মতপ্রকাশের অবাধ সুযোগ থাকবে। এখন সেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কী বলছেন তা নাই বললাম। কাজ করতে গেলে অনেক ঝামেলাই পোহাতে হয়। অনেক সময় ভালো কাজ কারও চোখে পড়ে না। এ ব্যাপারে আমেরিকার একটি স্টেটের বাস্তব একটি ঘটনা আছে। ১৮৬৭ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন অ্যান্ড্রু জনসন। তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন উইলিয়াম এইচ সেওয়ার্ড। তখন আলাস্কা রাজ্যের মালিক রাশিয়া। কিন্তু বরফে ঢাকা এ এলাকায় মানুষ বাস করতে চাইত না। সরকারের জন্য পুরোটাই এক ধরনের লায়বেলেটিস। আর বিশাল দেশ শাসন করায়ও ঝামেলার শেষ ছিল না। রাশিয়ার সার্বিক অর্থনীতিও ভালো ছিল না। ইউরোপ পাত্তা দিত না রাশিয়াকে। এমনকি স্বীকারও করত না রাশিয়া ইউরোপের অংশ। ভাবখানা এমন- গরিবের প্রতি সবারই অবজ্ঞা। সে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দেশ চালাতে গিয়ে রাশিয়া সিদ্ধান্ত নিল আলাস্কা রাজ্যটি বিক্রি করে দেবে। কিন্তু ক্রেতা কে? পাশের দেশ কানাডা তখন ব্রিটিশ কলোনি। ব্রিটিশরা তাদের শাসন ক্ষমতার সুবিধার্থে কানাডার পাশের এ রাজ্য কিনতে আগ্রহ ব্যক্ত করে। আলাস্কা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এলে কয়েকটি দেশে সরাসরি যেতে সুবিধা ব্রিটিশদের। কিন্তু রাশিয়া ব্রিটিশদের কাছে বিক্রি করতে নারাজ। এর মাঝে এগিয়ে আসেন আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম এইচ সেওয়ার্ড। তিনি জানান আমেরিকার আগ্রহের কথা। রাশিয়া দাম হাঁকল ১০ মিলিয়ন ডলার। ব্রিটিশরাও একটা দাম নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। আমেরিকা ৭ মিলিয়ন প্রস্তাব দেয়। শেষ পর্যন্ত এ দামে রাজি হলো রাশিয়া। আর আমেরিকা কিনল আলাস্কা। আর এ কেনার পেছনে বড় ভূমিকা পালনকারী মানুষটির নাম পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম এইচ সেওয়ার্ড। কিন্তু আলাস্কা কেনায় খুশি হলেন না আমেরিকানদের বড় অংশ। মুহূর্তে আমেরিকাজুড়ে সেওয়ার্ডের ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ভাগ্যিস সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছিল না। তাই রক্ষা। তার পরও সমালোচনা থামল না। অনেকেই বললেন, সেওয়ার্ড বরফ কিনতে অর্থ ব্যয় করেছেন। কেউ কেউ আলাস্কার নাম দিল ‘সিওয়ার্ড আইসবক্স’। দলের রাজনীতিবিদরাও ছাড়লেন না। আমেরিকান মিডিয়া রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলল, দেশের অর্থ এভাবে পানিতে ব্যয় না করলেই ভালো হতো। সমালোচনার বানে সেওয়ার্ড হতভম্ব। কিন্তু প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন তাঁর পক্ষে অবস্থান নেন। তিনি বললেন, একদিন আমেরিকা স্মরণ করবে সেওয়ার্ডকে। আজ সত্যি তাই হচ্ছে। আমেরিকার কাছে আলাস্কা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। আমেরিকার ৪৯তম স্টেট। কারণ ১৯৫৯ সালে আলাস্কা স্টেটের মর্যাদা পায়। মানুষও বসবাস করে। তেল, গ্যাস খনির জন্য এ রাজ্যটি এখন আমেরিকার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
দুনিয়ার সব দেশে সবখানে কাজ করা মানুষের জীবনের পথপরিক্রমায় নানামুখী কষ্ট থাকে। বাধাবিপত্তি থাকে। হিসাব-নিকাশের খাতাও হয় ভিন্ন। তবু তাদের এগিয়ে যেতে হয়। বাস্তব জীবনে সময় ক্ষণ কাকে কখন কোথায় রাখবে, কী মূল্যায়ন করবে কেউ জানে না। এ জগৎ-সংসারের অনেক রূপ-রহস্য আছে। কিছু মানুষ নিজের প্রয়োজনে দ্রুত বদলায়। ক্ষণে ক্ষণে নিজের স্বার্থে নেয় নতুন রং-রূপ। সরকারি দল, বিরোধী দলের মূল্যায়নেও পরিবর্তন আসে ক্ষণে ক্ষণে। বিরোধী দলের প্রয়োজনীয় মানুষ সরকারি দলে হারিয়ে যায়। শেষ বেলায় অনেক সত্য মিলিয়ে যায় হাওয়ায়। সুবিধাবাদী, মিথ্যুক আর চাটুকাররা দাপুটে হয়। সত্য আড়ালকারীরা হয় সুবিধাভোগী। মিথ্যার বেসাতির জয় হয়। যে যত মিথ্যা বলতে পারে তার অবস্থান তত পোক্ত হয়। বাটপাড়দের হয় জয়জয়কার। নীরবে কষ্ট পেতে হয় খারাপ সময়ের কর্মীদের। এ কষ্ট সামলাতে না পেরে অনেকে নীরবে সবকিছু ছেড়ে চলে যায়। আবার অনেকে ভিতরের অনল নিয়ে কাটিয়ে দেয় একটা জীবন। চাওয়া-পাওয়ার হিসাব আর মেলায় না। অনেকটা বাড়ির পোড় খাওয়া অভিমানী ছেলেটির মতো। হয়তো ভাবনায় থাকে ঘড়ির কাঁটায় বেলা শেষ হয়ে যাবে। পথের ক্লান্তি শেষে ঘুমপাড়ানি চলে আসবে। সবকিছু অনেকটা লতার সেই গানের মতো। অসাধারণ দরদি গলায় লতা গেয়েছেন, ‘চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়, আঁধারের শেষে ভোর হবে, হয়তো পাখির গানে গানে, তবু কেন মন উদাস হলো... হয়তোবা সব আলো মুছে যাবে, হয়তোবা থাকবে না সাথে কেউ, হয়তো মাঝপথে পথটাও ফুরিয়ে যাবে... চোখের জলের কথা শুনবে না কেউ, ভোরের আলোর কথা ভেবে, স্বপ্ন দিয়ে সাজাতে সাজাতে রাত পার হয়ে যাবে, হয়তোবা কান্নারও শেষ আছে...। ’
লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/open-views/174018/নঈম-নিজাম
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD