
আজ বিশ্ব ওজন দিবস। অতিবেগুনী রশ্মী থেকে পৃথিবীকে রক্ষাকারী এই স্তর ধীরে ধীরে ক্ষতির মুখে পড়ছে। গবেষকরা বলছেন, রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনার, অ্যারোসল স্প্রে ব্যবহারে বায়ুমণ্ডলের উপরে থাকা ওজন স্তরে গর্ত সৃষ্টি হচ্ছ। তবে আশার কথা বাংলাদেশের শিল্প কারখানায় এ ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে আছে ওজন স্তর, যা সূর্য থেকে নির্গত ক্ষতিকর রশ্মিকে পৃথিবীতে আসতে বাধা দেয়। অথচ এই স্তরে বেশকিছু বড়বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর মূল কারণ হলো কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, হাইড্রোফ্লোরোকার্বন, পারফ্লোরোকার্বন ও সালফারের ব্যবহার।
বিশ্বজুড়ে রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনার, অ্যারোসল স্প্রের ব্যবহার বছরে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। এতে এইচএফসি গ্যাসের ব্যবহার এবং বায়ুমণ্ডলে তার নিঃসরণও ক্রমাগত বাড়ছে। এর প্রভাবে মানব দেহে ত্বকের ক্যান্সার থেকে শুরু করে চোখেরও বড় রকমের ক্ষতি হয়।
তবে প্রায় সকল ওজনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যই বেশী ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রিন হাউস গ্যাস হিসেবেও চিহ্নিত। তাই ২০১৬ সালে রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে বিশ্বব্যাপী ক্লোরোফ্লোরোকার্বনসহ ক্ষতিকর দ্রব্যের ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ২০০ দেশ ঐক্যমতে পৌছে। এতে করে পৃথিবী থেকে প্রায় ১৩৫ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সমপরিমাণ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। আর বাংলাদেশে এরই মধ্যে এরোসল কিটনাশক, ইনহেলার, রেফ্রিজারেটর ও এসিসহ বেশ কিছু পণ্য এইচএফসি মুক্ত উৎপাদন হচ্ছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা যায়, করোনাকালে দূষণ কমছে। ওজন স্তরে যে গহ্বরের সৃষ্টি হয়েছিল তা করোনাকালে ধীরে ধীরে মেরামত হচ্ছে। এতে পৃথিবীর পরিবেশ ও জীবজগৎ বড়সড় বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে। বিশেষজ্ঞদের হিসাবে, ২০৫০ সালের মধ্যে ৭ হাজার টন কার্বন ডাই অক্সাইড পৃথিবী থেকে কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3hAUXSg
Post Come trough : নাচোল নিউজ