
শোল্ডার জয়েন্ট বা কাঁধের অস্থিসন্ধির একটি অসুখ ফ্রোজেন শোল্ডার। এ রোগে কাঁধে প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং রোগী হাত ওঠাতে পারেন না। তবে সব থেকে বেশি সমস্যা হয় হাত পেছনের দিকে নিতে। অন্যান্য সব দিকে হাত ঘোরাতে সমস্যা হওয়ার আগে হাত পেছন দিকে ঘোরাতেই সমস্যায় পড়েন আক্রান্ত ব্যক্তি।
কারা রয়েছেন ঝুঁকিতে?
যাঁরা আগে কখনো কাঁধে চোট পেয়েছিলেন কিন্তু সঠিক চিকিৎসা করানো হয়নি, তাঁদের পরবর্তী সময়ে ফ্রোজেন শোল্ডার হতে পারে। আবার যাঁরা খুব বেশি ভারী কাজ করেন অথবা রান্নাঘরের কাজ করেন তাঁদেরও হতে পারে এ রোগ। ডায়াবেটিসের রোগীদের কিংবা হৃদরোগীদেরও ভুগতে হতে পারে এ সমস্যায়। বেশির ভাগের ৪০ বছর বয়সে হলেও অনেকের তাঁর আগেও হতে পারে।
চিকিৎসা নিনঃ
ফ্রোজেন শোল্ডারের চিকিৎসা না করালে কাঁধের মাংসপেশি ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে পারে। তাই এ রোগের চিকিৎসা করাতে হবে অবশ্যই। ব্যথা ও কাঁধের জড়তা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না।
এ রোগের চিকিৎসায় কাঁধে গরম সেক দিতে হবে। খেতে হতে পারে ব্যথার ওষুধ। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা।
প্রতিরোধে করণীয়ঃ
কাঁধে চোট পেলে সেটির চিকিৎসা করাতে হবে ঠিকঠাক। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কেউ কেউ মনে করেন, দীর্ঘদিন কাজ না করলে একসময় কাঁধের অস্থিসন্ধির জড়তার কারণে ফ্রোজেন শোল্ডার হতে পারে। এমন ধারণা ঠিক নয়। বরং কাঁধের অস্থিসন্ধিতে প্রচণ্ড চাপ পড়লে এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই কখনোই খুব বেশি ভারী জিনিস তোলা ঠিক নয়। কাঁধ প্রচণ্ড মোচড় খায়, এমনভাবে কাঁধ নাড়িয়ে কোনো কাজ করা উচিত নয়।
জেনে নিই কিছু থেরাপিউটিক এক্সারসাইজঃ
ঘরেই করতে পারবেন কাঁধের ব্যায়ামগুলো। এসব ব্যায়ামের মধ্যে একটি হলো পেন্ডুলাম এক্সারসাইজ। এটি করার নিয়ম হলো সামনের দিকে একটু ঝুঁকে হাত যতটা ঘোরাতে পারা যায়, সামনে-পেছনে করে ততটাই ঘোরাতে চেষ্টা করতে হবে। ঘড়ির কাঁটা যেদিকে ঘোরে, প্রথমে সেদিকে ১০ বার হাত ঘোরাতে হবে। এরপর ঠিক এর বিপরীত দিকে হাত ঘোরাতে হবে আরও ১০ বার। এভাবে দিনে দুই বার করে ব্যায়ামটি করতে হবে।
দুই সপ্তাহ পর এটির পরিবর্তে করতে হবে ওয়েট বিয়ারিং এক্সারসাইজ। হাতে কিছুটা ওজন নিয়ে হাত ঘোরানোর এই ব্যায়ামটি শুরু করতে হবে। পেন্ডুলাম এক্সারসাইজের নিয়মেই করতে হবে এই ব্যায়াম। ঘড়ির কাঁটার দিকে ১০ বার এবং তার বিপরীত দিকে ১০ বার করে হাত ঘুরিয়ে করতে হবে এই ব্যায়ামটিও। দিনে দুই বার করেই করুন এই ব্যায়াম।
পেন্ডুলাম এক্সারসাইজের পাশাপাশি করা যাবে ওয়াল ক্লাইম্বিং এক্সারসাইজ। এই ব্যায়াম করতে রোগী যতটা হাত ওঠাতে পারে, একটি দেয়াল ধরে দেয়ালটি বরাবর ঠিক ততটা উচ্চতায় হাত উঠাতে হবে তাঁকে। ধীরে ধীরে অধিক উচ্চতায় হাত ওঠাতে চেষ্টা করতে হবে।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3mqUtSI
Post Come trough : নাচোল নিউজ