আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি কন্যা রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ রাশি অধিপতি বুধ, দেবগুরু বৃহস্পতি ও বিঘ্ন সৃষ্টিকারী গ্রহ কেতুর প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে মীন রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। জীবনসাথীর শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে মনোবেদনার কারণ হবে। অবশ্য ভাঙা প্রেম ও বন্ধুত্ব জোড়া লাগার সম্ভাবনা অমূলক নয়।
মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]
গৃহবাড়িতে কোনো না কোনো মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ভাইবোনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতা স্বপ্নসাধ পূরণে সহায়ক হবে। রাগ জেদ অহংকার আবেগ বর্জন করতে হবে। সপরিবারে কোনো মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে যোগদান করার সম্ভাবনা।
বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]
দীর্ঘদিনের আটকে থাকা বিল পাস ও পাওনা টাকা আদায় হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন লাভবান হবেন তেমনি ব্যবসার বহুল প্রচার ও প্রসার ঘটবে। দাম্পত্য সুখ-শান্তি প্রতিষ্ঠা বজায় রাখতে জীবনসাথীর মতামতকে গুরুত্ব দিন।
মিথুন [২১ মে-২০ জুন]
মনোবল জনবল অর্থবলের পথ সুগম করবে। নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিকল্পনা আলোর মুখ দর্শন করবে। বিদেশে অবস্থানরত স্বজনদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলবে। অপরিচিত কাউকে আশ্রয় দেওয়া খাল কেটে কুমির আনার সমান হবে।
কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]
অপরিচিত কাউকে আশ্রয় দেওয়া খাল কেটে কুমির আনার সমান হবে। দূর থেকে আসা কোনো অপ্রিয় সংবাদে মন বিষণœ হয়ে পড়বে। টাকাপয়সা হাতে আসার আগেই খরচের খাত তৈরি হয়ে যাবে। মন পরোপকারের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।
সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]
পাওনা টাকা আদায়ের পথ প্রশস্ত হবে। দূর থেকে আসা কোনো সংবাদে গোটা পরিবারে খুশির জোয়ার বইবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে জন্মগ্রহণ করা শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে চক্কর কাটতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় বিবাহে কোনো বাধা আসতে পারে।
কন্যা [২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]
বেকার যুবক-যুবতীদের মুখে হাসি ফুটবে। বাণিজ্যিক সফর লাভদায়ক এমনকি ভ্রমণকালীন বন্ধুত্ব সারা জীবনের পাথেয় হবে। সন্তানদের ক্যারিয়ার, অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্যবিষয়ক দুশ্চিন্তা ঘুচবে। প্রেমিকযুগল সাবধানে চলুন।
তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]
ভাগ্যলক্ষ্মী প্রসন্ন হওয়ায় সফলতা আপনার চরণ স্পর্শ করবে। হাতে থাকা প্রায় কাজই সহজে সম্পন্ন হবে। বাণিজ্যিক সফর লাভদায়ক প্রমাণিত হবে। হারানো ধনসম্পদ সম্পত্তি ব্যবসা ফিরে পাওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]
দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তীব্রগতির বাহন বর্জন করুন। না বুঝে চুক্তি সম্পাদন ও বিনিয়োগ ঘাতক বলে প্রমাণিত হবে। বিদ্যার্থীদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অত্যাবশ্যকীয় বাণিজ্যিক সফরে বাধা আসতে পারে।
ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]
বিবাহযোগ্যদের বিবাহের কথাবার্তা পাকাপাকি হবে। প্রেমিকযুগলের জন্য সুবর্ণ সুযোগ অপেক্ষা করবে। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর হয়ে থাকবে। কর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্যে তরতাজা উন্নতি করে চলবেন।
মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]
সিজনাল রোগব্যাধির সঙ্গে পুরনো ক্রনিক ব্যাধিপীড়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে। গুপ্ত ও প্রকাশ্য শত্রুরা স্বজনদের সাঙ্গে হাত মিলিয়ে আপনার গোপন প্রেম ও অনুচিত কাজবাজ ফাঁস করে দিতে পারে। মন সুর সংগীতের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।
কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]
হারানো পিতৃমাতৃ ধনসম্পদ সম্পত্তি ব্যবসা ফিরে পাওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। কর্মের সুনাম যশ পদোন্নতির পথ সুগম করবে। নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিকল্পনা আলোর মুখ দর্শন করবে। মামলা-মোকদ্দমার রায় পক্ষে আসবে।
মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]
কলহবিবাদ উৎকট উদ্ভট ঝামেলা আর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিজেকে গুটিয়ে রাখা সমীচীন হবে। ভাড়াটিয়া হলে মালিকের প্রতি সদ্ভাব বজায় রাখতে হবে। লম্বা দূরত্বের সফরে নিজে ড্রাইভ করা থেকে বিরত থাকুন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/feature/173099/আজকের-রাশিফল
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
১ অক্টোবর হবে শ্রীলঙ্কার নতুন টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের নিলাম। সাকিবের এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে তারও ২৭ দিন পর, ২৮ অক্টোবর।
তবে আশার কথা হলো সাকিবকে কেউ দলে নিলে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই খেলতে পারবেন। ১৪ নভেম্বর শুরু হয়ে টুর্নামেন্টটি শেষ হবে ৬ ডিসেম্বর। তিন ভেন্যু ডাম্বুলা, পাল্লেকেলে ও হাম্বানটোটায় হবে ২৩ ম্যাচ।
ক্রিকইনফো জানিয়েছে, টুর্নামেন্টের নিলামের জন্য ১৫০ জন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের তালিকা করেছে শ্রীলঙ্কা। সাকিবের সঙ্গে বড় তারকাদের মধ্যে আছেন ক্রিস গেইল, ড্যারেন স্যামি, ড্যারেন ব্রাভো, শহিদ আফ্রিদিরা।
পাঁচ দলের প্রতিটি ৬ জন করে বিদেশি ক্রিকেটার নিতে পারবে। স্থানীয় খেলোয়াড় নিতে পারবে ১৩ জন করে। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির স্কোয়াড হবে ১৯ সদস্যের।
আগস্টে হওয়ার কথা ছিল লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম আসর। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে প্রতিযোগিতাটি পিছিয়ে গেছে তিন মাস।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/2DWkqYS
Post Come trough : নাচোল নিউজ
অর্থ দিয়ে যুবদলের ১১ কমিটি, অভিযোগের তীর চার নেতার দিকে
রাজনীতি
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের ১১ ইউনিটের কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে স্থগিত করা হয়েছে কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। আর এ অর্থ লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে দায়িত্ব প্রাপ্ত চার নেতার বিরুদ্ধে।
গত সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর উপস্থিতিতে যুবদল চট্টগ্রাম বিভাগীয় টীমের পর্যালোচনা শেষে জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর ১১ ইউনিটল ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করেন।
ঘোষিত কমিটি গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মী ও সাবেক ছাত্রদল নেতাদের অবমূল্যায়ন করার অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি ইউনিট কমিটি গুলো করার সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাদের জানানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমনকি কমিটির বিষয়টি জানেন না চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। আর ঘোষিত ১১ ইউনিট কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের আর্থিক লেনদেন নিয়ে জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগের তীর যাচ্ছে যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, বিভাগীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগরের বিরুদ্ধে।
মোশাররফ হোসেন দিপ্তী নোয়াখালী অঞ্চলের হওয়াতে বিএনপিতে তার প্রভাব খাটিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ, মহানগর ও উত্তর জেলায় নিজের ইচ্ছে মতো যুবদলের কমিটি করছেন। শুধু মাত্র অর্থের বিনিময়ে পদ পদবী বিক্রি করছেন তিনি। তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে আছে চট্টগ্রামের সিনিয়র বিএনপির নেতারা।
সূত্র জানিয়েছে, খোদ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের নির্বাচনী এলাকা বোয়ালখালীতে তার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হয়নি। একইভাবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বাঁশখালী আসনের বিএনপির দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে আলাপ না করেই বিতর্কিত বিএনপি নেতা লেয়াকত আলী চেয়ারম্যানের অনুসারীদের প্রাধান্য দিয়েই গঠন করা হয়েছে উপজেলা কমিটি। আর কমিটিতে আহবায়ক করা আবু আহমেদের বিরুদ্ধে মাদক ও জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে। চন্দনাইশ উপজেলা কমিটি নিয়ে বিতর্ক না থাকলেও পৌরসভা কমিটির আহবায়ক করা রায়হান এলডিপির ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের নেতা বলে দাবি করেছেন পৌরসভা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রবিউল হোসেন ছোটন।
লোহাগড়া উপজেলা কমিটি জেলা বিএনপির সদস্য লায়ন নাজমুল মোস্তাফা আমিনের কাছ থেকে নগদ অর্থ নিয়ে তার অনুসারীদের স্থান দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনা না করেই ইচ্ছে মতো আর্থিক লেনদেনে এ কমিটি হয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম নামের সাবেক এক যুবদল নেতা।
জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহানকে খোদ তার নিজ উপজেলায় আনোয়ারায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিকাশ শাহজাহান উপাধি আনোয়ারা উপজেলা কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব রয়েছে লায়ন হেলাল উদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমানের অনুসারীরা।
লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, লোহাগড়া উপজেলায় যাদের দিয়ে যুবদলের কমিটি দেওয়া হয়েছে তারা কেউ দলের সক্রিয় নেতা না, আন্দোলন সংগ্রামে তাদের কোন ভূমিকা ছিল না। এ কমিটি সম্পূর্ণ টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ কমিটির বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাব শিগগিরই।
চন্দনাইশ পৌরসভা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রবিউল হোসেন ছোটন বলেন, ২০০৬ সালে রায়হান এলডিপির ছাত্রদলে যোগ দেন, তিনি কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছিল না, সম্পূর্ণ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এটি করা হয়েছে। আমরা এ কমিটি বাতিল করার আবেদন জানাচ্ছি না হলে আমরা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সিনিয়র এক নেতা জানান, সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক আজগর আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এসব কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। ১৫ লাখ টাকা নিয়ে লোহাগড়ায় জেলা বিএনপির সদস্য নাজমুল মোস্তাফা আমিনের অনুসারীদের রাখা হয়েছে, চন্দনাইশ পৌরসভায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে এলডিপি নেতা রায়হান আহবায়ক করা হয়েছে, আনোয়ারা উপজেলা কমিটির জন্য আহবায়ক করা হারে থেকে ও সাবেক সাংসদ সরওয়ার জামাল নিজামের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে।
একইভাবে বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গিয়ে বিতর্কিত বিএনপি নেতা লিয়াকত আলীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তার পিএস আবু আহমদকে আহবায়ক করা হয়েছে। তৃণমুল নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা জেলা যুবদলের পক্ষ থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করা হবে। কমিটিতে হয় তো তারা দুইজন থাকবে, না হয় আমরা।
সার্বিক বিষয়ে জানার জন্য জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আর্থিক লেনদেনের কোন কিছুই হয়নি। যারা পদ পায়নি তারাই এসব বলছেন। এখন তো কমিটি স্থগিত রয়েছে। কেন্দ্রীয় টিম যাছাই বাছাই করুক, তারপর দেখা যাবে।
তবে এ বিষয়ে জানার জন্য কেন্দ্রীয় যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী ও সহসম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/politics/173029/অর্থ-দিয়ে-যুবদলের-১১-কমিটি,-অভিযোগের-তীর-চার-নেতার-দিকে
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ২২০ পিছ ইয়াবা মাদকসহ রায়হান কবির ভূঁইয়া (২৮) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিববার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রায়পুর পৌর শহরের সর্দার বাড়ীর সুপারির বাগান থেকে ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়।
আটক রায়হান কবির ভূঁইয়া পৌরসভার ৬নং ওর্য়াড-পশ্চিম কাঞ্চনপুর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী আব্দুল মতিনের ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ জানান, রায়হান কবির দির্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর ৪নং ওয়ার্ডের সর্দার বাড়ীর সামনে মাদক বিক্রির সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই নুরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাকে আটক করেন। এসময় অন্য ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা পালিয়ে যায়।
পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি মোতালেব হোসেন ভুঁইয়া ও সাধারন সম্পাদক বাবু সুভাষ রায় বলেন, রায়হান দলের সাংগঠনিকের দায়িত্ব পালন করছেন। সে যে মাদক ব্যবসা করে তা আমরা জানতাম না। তার বিরুদ্ধে সভা করে সাংগঠনিকভাবে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল জলিল জানান, রায়হান কবিরসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/whole-country/173027/ইয়াবাসহ-আওয়ামী-লীগ-নেতা-ধরা
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
আম্বিয়া নামের এক মহিলা কর্মচারী মুখ আঁচলে ঢেকে কাঁদছিলেন আর বিলাপ করছিলেন, ‘আল্লাহ অত বালা মানুষটারে তুমি অত তাড়াতাড়ি লইয়া গেলাগি, গত ১০ বছর আমি এই স্কুলো চাকুরি করি। কিন্তু এই মানুষটা আমারে মুখ কালা কইরা একটা কথা কইছে না, কোনোদিন অত বালা মানুষ গো আল্লাহ।’ বলে আবারও বিলাপ শুরু করেন।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষের দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আম্বিয়া নামের এক মহিলা কর্মচারী মুখ আঁচলে ঢেকে কাঁদছিলেন আর বিলাপ করছিলেন, ‘আল্লাহ অত বালা মানুষটারে তুমি অত তাড়াতাড়ি লইয়া গেলাগি, গত ১০ বছর আমি এই স্কুলো চাকুরি করি। কিন্তু এই মানুষটা আমারে মুখ কালা কইরা একটা কথা কইছে না, কোনোদিন অত বালা মানুষ গো আল্লাহ।’ বলে আবারও বিলাপ শুরু করেন।
গত রোববার জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান কামালের (৪৫) মরদেহ জানাজার জন্য বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে রাখা হলে প্রিয় স্যারকে শেষবারের জন্য দেখতে এসে বিদ্যালয়ের কর্মচারী আম্বিয়া এমন আকুতি করছিলেন। তবে শুধু আম্বিয়া নন, যাঁরাই জানাজায় অংশ নিতে আসেন, সবাই এমন করে আক্ষেপ করছিলেন। জানাজায় অংশ নেওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, সুধীসমাজ সবাই আনিস কামালের অকালে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছিলেন না।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কিডনিজনিত জটিলতায় ৪৫ বছর বয়সে মারা যান আনিসুর রহমান কামাল। আর এই খবরে সুনামগঞ্জ শহরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। শোক চলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও। কেউ বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, এত অল্প বয়সে তিনি চলে গেছেন।
আনিসুর রহমান কামাল সুনামগঞ্জ শহরের একজন ভদ্র বিনয়ী মানুষ ছিলেন। শহরের যাঁরা তাঁকে চিনতেন-জানতেন, সবাই একবাক্যে বলতেন তাঁর গুণের কথা। তিনি কারো সঙ্গে মুখ কালো করে কথা বলতেন না। নিজের ভেতরের কষ্ট-দুঃখ থাকলেও তিনি কাউকে তা বুঝতে দিতেন না। বরং সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন।
আনিসুর রহমান কামাল সুনামগঞ্জ শহরের দুটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতো দেখতেন। ভালোবাসতেন। আনিস কামাল একজন প্রকৃতিপ্রেমী ছিলেন। তিনি বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে ভালোবাসতেন। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। সেখানে তাঁর খামার করার ইচ্ছাও ছিল। আর জীবদ্দশায় তিনি সারাক্ষণ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নতি আর শিক্ষার মান কীভাবে বাড়ানো যায়, তাই নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন।
সরকারি এসসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী ফারজিয়া হক ফারিন বলেন, ‘আনিস কামাল স্যার সম্পর্কে কী বলব, বুঝতে পারছি না। হঠাৎ এমন খবরে আঁতকে উঠেছিলাম, বারবার মনে হয়েছে খবরটা যেন ভুল হয়, স্যারের আরো সময় ছিল। স্যারের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা আরো অনেক কিছু শিখতে পারত, জানতে পারত। কিন্তু পরে খবরটা সত্যি হয়েছে, স্যার আর নেই।’
‘আনিস কামাল স্যার অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মানুষ ছিলেন। একজন আদর্শ শিক্ষক বলতে যা বোঝায়, স্যার তাই ছিলেন। আমাদের যখন ক্লাস করাতেন, সবাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতাম। স্যার গতানুগতিক পড়ালেখার বাইরে এসে অনেক সহজ করে পড়াতেন। স্যার আমাদের স্কুলের পড়ালেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলা করতে বেশি উৎসাহ দিতেন। একবার ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি দল আমাদের স্কুল ভিজিট করতে এসেছিল, তখন আমরা নিজেরা একটি নাটক বানিয়েছিলাম। স্যার নাটক দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন। আনিস কামাল স্যার আমার সম্পর্কে মামা ছিলেন। তিনি মেয়েদের নিজের সন্তানের মতো আচরণ করতেন।’
আনিস কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অ্যাডভোকেট এনাম আহমদ বলেন, ১৯৮২ সালে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস থ্রিতে ভর্তির সুবাদে কামালের সঙ্গে পরিচয়। আনিস কামাল ক্লাস ফোর থেকে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত এক নাম্বার ছিল। সে কখনো দ্বিতীয় হয়নি। আমাদের সাথে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স-মাস্টার্স করে। এর পর সরকারি এসসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়। ওই সময়ে তাঁর বিদেশে যাওয়ার ভালো সুযোগ-সুবিধা ছিল, উন্নত জীবনযাপনের অনেক সুবিধা ছিল। কিন্তু সে আর যায়নি। মা-বাবার সঙ্গে দেশে থেকেছে। আনিস কামাল সব সময় অন্তর্মুখী ছিল, প্রচারে বিমুখ ছিল। সে কাউকে কোনো হেল্প করলে নীরবে করত। কেউ জানতে পারত না।
আনিস কামালের দীর্ঘদিনের সহকর্মী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এ কে এম আজাদ বলেন, ‘একজন ভদ্র মানুষ বলতে যা বোঝায়, কামাল তাই ছিল। বর্তমান সময়ে যখন শিক্ষার্থীদের ক্লাসে মনোযোগী করা কষ্টের ছিল, আনিস কামাল লাঠি-বেত ছাড়াই দরজা বন্ধ করে ক্লাস নিত। কামাল যখন ক্লাস নিত, শিক্ষার্থীরা নিস্তব্ধ নীরবতার সঙ্গে মনোযোগী হয়ে ক্লাস করত। বর্তমান সময়ে যখন শিক্ষকরা প্রাইভেট আর কোচিং বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত, তখন আনিস কামাল কোচিং-বাণিজ্যের বিরোধী ছিলেন। তিনি এসবকে ঘৃণা করতেন।‘
‘কামাল সব সময় রিকশাচালককে ন্যায্য ভাড়ার থেকে দ্বিগুণ ভাড়া দিতেন। কোনো কাজ করালে শ্রমিককে বেশি পারিশ্রমিক দিতেন। বর্তমান সময়ে আনিস কামালের মতো শিক্ষক খুবই বিরল। তিনি সত্যিই একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন, সেইসঙ্গে আলোকিত মানুষ ছিলন। তাঁকে বর্তমান প্রজন্ম অনুসরণ করলে তারাও আলোকিত মানুষ হবে।’ বলছিলেন সহকারী শিক্ষক এ কে এম আজাদ।
মোহাম্মদ আনিসুর রহমান কামাল ১৯৭৫ সালের ১২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি তৃতীয় ছিলেন। তাঁর বাবা সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মো. মকবুল হোসেন, মা জোবেদা মকবুল। আনিস কামাল ২০১৬ সাল থেকে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। টানা চার বছর চিকিৎসায় থাকাকালীন গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৪৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। আনিস কামাল সুনামগঞ্জ শহরের স্বনামধন্য কিন্ডারগার্টেন সৃজন বিদ্যাপীঠের পরিচালক ছিলেন। তিনি স্ত্রী শেখ ফারজানা ইসলাম সুমা ও সিরাজুস সালেকীন সাদাত সাত বছরের ছেলে রেখে গেছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/whole-country/173026/শিক্ষক-আনিস-কামালের-জন্য-কাঁদছে-সুনমাগঞ্জ
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে শুরু হয় এ অভিযান। অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
এ বিষয়ে সারওয়ার আলম জানান, অভিযানে মাছের আড়তে কিছু মাছ দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া মাছের মধ্যে ক্ষতিকর বিভিন্ন রং ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভেজালবিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে কারওয়ান বাজারে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/national/173025/কারওয়ান-বাজার-মাছের-আড়তে-র্যাবের-অভিযান
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ট্রাম্প দম্ভ করে বলেন, আমিই যুবরাজ সালমানকে রক্ষা করেছি। তাকে ছেড়ে দিতে আমি কংগ্রেসকে পাশে পেয়েছিলাম। যুবরাজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে আমি তাদের থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলাম।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে রক্ষা করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনুসন্ধানী সাংবাদিক বব উডওয়ার্ডের প্রকাশিতব্য নতুন বইয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বইটির একটি কপি হাতে পেয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক খবরে জানিয়েছে, বইটিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প দাবি করেন খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া থেকে সৌদি যুবরাজকে তিনিই রক্ষা করেন। এমনকি বিষয়টি দম্ভ করেও বলেছিলেন তিনি।
মার্কিন অনুসন্ধানী সাংবাদিক বব উডওয়ার্ডের প্রকাশিতব্য একটি বইতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের অক্টোবরে খাশোগির আততায়ীর হাতে নিহতের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সৌদি যুবরাজকে সুরক্ষা দিয়েছিল বলে ট্রাম্প দাম্ভিকতার সঙ্গে বলেছিলেন।
খাশোগির হত্যার ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হট্টগোল লাগিয়ে দেওয়া নিয়ে উডওয়ার্ডের বইতে ট্রাম্পের একটি উদ্ধৃতি উঠে এসেছে, যাতে তিনি বলেন, আমি তাকে রক্ষা করেছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তাকে ছেড়ে দিতে আমি কংগ্রেসকে পাশে পেয়েছিলাম। যুবরাজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে আমি তাদের থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলাম।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক খাসোগি বিয়ে সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে আর ফেরত আসেননি। ৫৯ বছর বয়সী এ সাংবাদিক কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। সৌদি যুবরাজের সমালোচক এ সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইস্তাম্বুলে গিয়েছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিক উডওয়ার্ডকে সেসময় বলেছিলেন, যুবরাজের নির্দেশে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে এটি তিনি বিশ্বাস করেন না।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, এ হত্যাকাণ্ডের জন্য মোহাম্মদ বিন সালমানের সরাসরি নির্দেশ ছিল।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডে মার্কিন আইনপ্রণেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি করেন ট্রাম্প। সৌদি আরব ও আরব আমিরাতকে ৮ বিলিয়ন ডলারের মিসাইল ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করেন তিনি। এই অস্ত্র চুক্তি এবং ইয়েমেনে সৌদি-আমিরাতের অভিযানের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের তিনটি রেজুলেশন আটকে দেন তিনি।
আসছে ১৫ সেপ্টেম্বর উডওয়ার্ডের বইটি প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/abroad/173024/যুবরাজ-সালমানকে-আমিই-রক্ষা-করেছি:-ট্রাম্প
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
জীবনের শুরুতেই এভাবে ঝরে পড়া, ঘরের দোতলায় মিললো রহস্যজনক লাশ
রিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় নিজ ঘর থেকে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে স্বজনরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় নিজ ঘর থেকে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে স্বজনরা। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেছেন তার বাবা। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নুসরাত জাহান নোহা নামের ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। তাকে স্থানীয় পয়সারহাট ক্লিনিকে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, নোহা স্থানীয় দারুল ফালাহ প্রি ক্যাডেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সুমন তাকে মারধোর করে। এতে সে অপমানিত বোধ করে বাসায় ফিরেও কান্নাকাটি করে। একপর্যায়ে অভিমানে সে নিজেদের টিনশেড ঘরের দোতালায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় নোহার বাবা সুমন মিয়া বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় বৃহস্পতিবার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ওই শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মর্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে নোহার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/whole-country/173023/জীবনের-শুরুতেই-এভাবে-ঝরে-পড়া,-ঘরের-দোতালায়-মিললো-লাশ
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
আরাফাত চৌধুরীর দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে পুলিশও আরো তদন্ত করে। এরপর চারদিনের মাথায় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ জিনিয়াকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ থেকে।
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া ফুল বিক্রেতা শিশু জিনিয়াকে পুলিশ উদ্ধার করলেও এর সূত্র খুঁজে পেতে সহায়তা করেছিলেন এক শিক্ষার্থী।
যার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সূত্র খুঁজে পায় তার নাম হয়তো অনেকেই জানেন না।
চলতি মাসের এক তারিখে সকালের দিকে টিএসসি এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় শিশু জিনিয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক বিভিন্ন সংগঠন এবং শিক্ষার্থীদের নজরে বিষয়টি এলে শিশু জিনিয়ার খোঁজে অনেকে ব্যাকুল হয়ে উঠে।
এরপর কয়েকদিন শাহবাগ থানা পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করলেও শিশু জিনিয়াকে খুঁজে বের করার ব্যাপারে তেমন কোন অগ্রগতি হচ্ছিলো না।
অন্য অনেকের মতোই বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র আরাফাত চৌধুরীর নজরে আসে। ঘটনার চারদিন পর অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর আরাফাত চৌধুরী টিএসসি এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন লোকের সাথে কথা বলেন। এদের মধ্যে কেউ শিশু জিনিয়াকে দেখেছে কি না সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন আরাফাত চৌধুরী। এছাড়া টিএসসি এলাকা ও চারপাশের রাস্তাগুলোতে যত ক্লোস সার্কিট ক্যামেরা আছে সেগুলোও শনাক্ত করেন আরাফাত চৌধুরী।
মি. চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আমি পাঁচ তারিখে টিএসসিতে এসে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সব প্রত্যক্ষদর্শীকে একসাথে করেছি। আমি সবার কাছ থেকে ডিটেইলস নিয়েছি - জিনিয়া কখন কোথায় বসেছে, কোথায় চটপটি খেয়েছে, ওর সাথে যারা কথা বলেছে তারা দেখতে কেমন, তাদের পরনে কী ছিল - ইত্যাদি।"
এসব তথ্য জোগাড় করে আরাফাত চৌধুরী নিজে উদ্যোগী হয়ে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে যান এবং তার কাছে থাকা তথ্য পুলিশকে জানান।
আরাফাত চৌধুরীর দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে পুলিশও আরো তদন্ত করে। এরপর চারদিনের মাথায় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ জিনিয়াকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ থেকে।
ঢাকার রমনা জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) এসএম শামীম বিবিসি বাংলাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আরাফাত চৌধুরী তথ্য দিয়ে সহায়তার কারণে শিশু জিনিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
শামীম বলেন, ছেলেটা ছিল, সবসময়ই ছিল। ও শুরু থেকেই সবজায়গায় ঘোরাঘুরি করেছে। তথ্য দিয়ে হেল্প করেছে। লোকজন সহায়তা করেছে বলেই তো আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। আমরা এমনিতেই পারতাম হয়তো। কিন্তু তাতে হয়তো আরো সময় লেগে যেতো। সাধারণ মানুষ তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে পুলিশের কাজ অনেক সহজ হয়।
তিনি বলেন, পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে এক ধরণের 'আজন্ম ভীতি' রয়ে গেছে।
পুলিশকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে তথ্য প্রদানকারীর সাথে পুলিশের একটি ভালো সম্পর্ক থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই ঘটনাটিকে পুলিশ অপহরণ বলেই বর্ণনা করছে।
"বৈধ অভিভাবককে না বলে শিশুটিকে নিয়ে গেছে। এটা অপহরণই তো। মেয়েটাকে কাজের কথা বলে নিয়ে গেছে। তার অন্য কোন মোটিভ ছিল কি না সেটা আরেকটু সময় গেলে আমরা বুঝতে পারতাম। তার আগেই জিনিয়াকে উদ্ধার করা হয়েছে," বলেন পুলিশ কর্মকর্তা মি. শামীম।
শিশু জিনিয়া অপহরণের ঘটনায় লুপা তালুকদার নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার সেই নারী লুপা তালুকদার নিজেকে একজন 'সাংবাদিক' এবং একইসাথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে 'ঘনিষ্ঠ' হিসেবে পরিচয় দেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/national/173022/শিশু-জিনিয়া-উদ্ধার,-নেপথ্যে-ঢাবি-শিক্ষার্থী-আরাফাত
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
পুরো টুর্নামেন্টে ১২টি ম্যাচের মধ্যে একটিতেও পরাজিত হয়নি পোলার্ড বাহিনী। প্রায় প্রতি ম্যাচেই শক্তিমত্তা দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করেছে তারা। যথারীতি ফাইনালেও ড্যারেন স্যামির সেন্ট লুসিয়ার উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে দলটি।
ব্রায়ান লারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রথমে টস জিতে সেন্ট লুসিয়াকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান নাইট রাইডার্স দলপতি পোলার্ড। এরপর ব্যাটিং করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতেই ১৫৪ রানে অলআউট হয় স্যামির দল।
৩০ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে সেন্ট লুসিয়ার ব্যাটিং লাইন আপে বড়সড় আঘাত হানেন অলরাউন্ডার কাম পোলার্ড। পাকিস্তানি রিক্রুট ফাওয়াদ আলম এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আলী খান প্রত্যেকে ২ উইকেট নিয়ে নাইট রাইডার্স শিবিরে ধ্বস নামান।
প্রতিপক্ষের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে তেমন সুবিধা করতে পারেননি সেন্ট লুসিয়ার ব্যাটসম্যানেরা। ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার। এছাড়া ওপেনার মার্ক দেয়াল ২৯ এবং আফগান রিক্রুট নাজিবউল্লাহ জাদরান ২৪ রান করেন।
১৫৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনার লেন্ডল সিমন্স এবং বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ড্যারেন ব্রাভোর ব্যাটিং তান্ডবে ১১ বল হাতে রেখেই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স।
৪ ছক্কা এবং ৮ চারের সাহায্যে ৪৯ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সিমন্স। অপরদিকে ৬টি ছক্কা এবং ২টি চারের মাধ্যমে ৪৭ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রাভো। সেন্ট লুসিয়ার পক্ষে একটি করে উইকেট নিতে পেরেছেন স্কট কুজ্ঞেলেইন এবং রস্টন চেজ।
এটা কোনও শিরোনামই নয়! কারণ দুনিয়াজুড়ে শুটিং কল সাধারণত ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়। যদিও ঢাকাই ফিল্মের ক্ষেত্রে বিষয়টি বিস্ময়কর হয়ে ধরা দেয়, যদি কোনও তারকা সকাল ৯টার মধ্যেও সেটে হাজির হন।
কারণ, শাকিব খানের বিরুদ্ধে অনেকেরই অভিযোগ- দুপুর না গড়ালে তাকে নাকি সেটে পাওয়া যায় না! তবে সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে এবার সাত সকালে আউটডোর শুটিংয়ে হাজির হলেন তিনি। তাও আবার সকাল সাড়ে সাতটা বাজতেই শুটিং সেটে চেপে বসলেন বাইকে। তিনশ’ ফিটসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চলছে ‘নবাব এলএল.বি’ ছবির শুটিং। এটি পরিচালনা করছেন অনন্য মামুন। তিনি বলেন, ‘গল্পের প্রয়োজনেই এত সকালে হাজির হয়েছেন শাকিব খান। চলছে আউটডোর শুটিং। আর এজন্য ভোর চারটা থেকে চলেছে শুটিংয়ের প্রস্তুতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম থেকে শাকিব খানকে আমি খুবই আন্তরিক পেয়েছি এই ছবির জন্য। শুটিংয়ের বিষয়ে তিনি নিজের মধ্যে যে পরিবর্তন এনেছেন তা অকল্পনীয়। আশা করি, ভালোভাবেই আমাদের সব কাজ শেষ হবে।’
শুটিংয়ে শাকিব খানগত মাসের ৩০ তারিখ ‘নবাব এলএল.বি’ ছবির শুটিং শুরু হয়। এতে ৮ সেপ্টেম্বর যোগ দেন নায়িকা মাহিয়া মাহি। আর আজ (১০ সেপ্টেম্বর) শুটিংয়ে যুক্ত হলেন শাকিব খান। প্রথম দিনেই চালালেন বাইক। আর এটি শাকিবের জন্য মডিফাই করে তৈরি করা হয়েছে।
‘নবাব এলএল.বি’তে শাকিব খান একজন আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করছেন। মাহিও আইনজীবী। অর্চিতা স্পর্শিয়া গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবিটি প্রযোজনা করছে সেলেব্রিটি প্রোডাকশন। তারা ইতোমধ্যে নির্মাণ করেছে ‘মেকআপ’ ও ‘সাইকো’
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/entertainment/173030/সাত-সকালেই-সবাইকে-‘চমকে-দিলেন’-শাকিব-খান
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ঢাকার ধামরাইয়ে যাদবপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে জুলেখা আক্তার শিখা (২৫) নামে এক গৃহবধূর গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মেহেদী হাসানকে আটক করা হয়েছে। শিখার বাবারবাড়ি আশুলিয়া উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি এলাকায়।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের ওই গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২ টার দিকে হঠাৎ প্রস্রাবের বেগে পেলে ঘুম ভেঙ্গে যায় স্বামী মেহেদী হাসানের। এ সময় তার স্ত্রী জুলেখাকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় কক্ষের ভিতরে ফাইল কেবিনেটের সাথে হেলানো দিয়ে বসে থাকতে দেখেন। পরে মেহেদীর ডাকে পরিবারের অন্য সদস্যরা এসে গৃহবধূ জুলেখাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাহারুল ইসলাম বলেন, নিহত গৃহবধূ জুলেখার পরিবারের অভিযোগ থাকায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। তবে নিহতের গলায় দাগ পাওয়া গেলেও মৃত্যুর কারণ প্রাথমিক সুরতহালে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মেহেদী হাসানকে আটক করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/whole-country/173028/ধামরাইয়ে-গৃহবধূর-রহস্যজনক-মৃত্যু,-স্বামী-আটক
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
অর্থ দিয়ে যুবদলের ১১ কমিটি, অভিযোগের তীর চার নেতার দিকে
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের ১১ ইউনিটের কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে স্থগিত করা হয়েছে কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। আর এ অর্থ লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে দায়িত্ব প্রাপ্ত চার নেতার বিরুদ্ধে।
গত সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর উপস্থিতিতে যুবদল চট্টগ্রাম বিভাগীয় টীমের পর্যালোচনা শেষে জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর ১১ ইউনিটল ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করেন।
ঘোষিত কমিটি গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মী ও সাবেক ছাত্রদল নেতাদের অবমূল্যায়ন করার অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি ইউনিট কমিটি গুলো করার সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাদের জানানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমনকি কমিটির বিষয়টি জানেন না চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। আর ঘোষিত ১১ ইউনিট কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের আর্থিক লেনদেন নিয়ে জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগের তীর যাচ্ছে যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, বিভাগীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগরের বিরুদ্ধে।
মোশাররফ হোসেন দিপ্তী নোয়াখালী অঞ্চলের হওয়াতে বিএনপিতে তার প্রভাব খাটিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ, মহানগর ও উত্তর জেলায় নিজের ইচ্ছে মতো যুবদলের কমিটি করছেন। শুধু মাত্র অর্থের বিনিময়ে পদ পদবী বিক্রি করছেন তিনি। তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে আছে চট্টগ্রামের সিনিয়র বিএনপির নেতারা।
সূত্র জানিয়েছে, খোদ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের নির্বাচনী এলাকা বোয়ালখালীতে তার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হয়নি। একইভাবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বাঁশখালী আসনের বিএনপির দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে আলাপ না করেই বিতর্কিত বিএনপি নেতা লেয়াকত আলী চেয়ারম্যানের অনুসারীদের প্রাধান্য দিয়েই গঠন করা হয়েছে উপজেলা কমিটি। আর কমিটিতে আহবায়ক করা আবু আহমেদের বিরুদ্ধে মাদক ও জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে। চন্দনাইশ উপজেলা কমিটি নিয়ে বিতর্ক না থাকলেও পৌরসভা কমিটির আহবায়ক করা রায়হান এলডিপির ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের নেতা বলে দাবি করেছেন পৌরসভা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রবিউল হোসেন ছোটন।
লোহাগড়া উপজেলা কমিটি জেলা বিএনপির সদস্য লায়ন নাজমুল মোস্তাফা আমিনের কাছ থেকে নগদ অর্থ নিয়ে তার অনুসারীদের স্থান দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনা না করেই ইচ্ছে মতো আর্থিক লেনদেনে এ কমিটি হয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম নামের সাবেক এক যুবদল নেতা।
জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহানকে খোদ তার নিজ উপজেলায় আনোয়ারায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিকাশ শাহজাহান উপাধি আনোয়ারা উপজেলা কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব রয়েছে লায়ন হেলাল উদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমানের অনুসারীরা।
লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, লোহাগড়া উপজেলায় যাদের দিয়ে যুবদলের কমিটি দেওয়া হয়েছে তারা কেউ দলের সক্রিয় নেতা না, আন্দোলন সংগ্রামে তাদের কোন ভূমিকা ছিল না। এ কমিটি সম্পূর্ণ টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ কমিটির বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাব শিগগিরই।
চন্দনাইশ পৌরসভা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রবিউল হোসেন ছোটন বলেন, ২০০৬ সালে রায়হান এলডিপির ছাত্রদলে যোগ দেন, তিনি কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছিল না, সম্পূর্ণ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এটি করা হয়েছে। আমরা এ কমিটি বাতিল করার আবেদন জানাচ্ছি না হলে আমরা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সিনিয়র এক নেতা জানান, সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক আজগর আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এসব কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। ১৫ লাখ টাকা নিয়ে লোহাগড়ায় জেলা বিএনপির সদস্য নাজমুল মোস্তাফা আমিনের অনুসারীদের রাখা হয়েছে, চন্দনাইশ পৌরসভায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে এলডিপি নেতা রায়হান আহবায়ক করা হয়েছে, আনোয়ারা উপজেলা কমিটির জন্য আহবায়ক করা হারে থেকে ও সাবেক সাংসদ সরওয়ার জামাল নিজামের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে।
একইভাবে বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গিয়ে বিতর্কিত বিএনপি নেতা লিয়াকত আলীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তার পিএস আবু আহমদকে আহবায়ক করা হয়েছে। তৃণমুল নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা জেলা যুবদলের পক্ষ থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করা হবে। কমিটিতে হয় তো তারা দুইজন থাকবে, না হয় আমরা।
সার্বিক বিষয়ে জানার জন্য জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আর্থিক লেনদেনের কোন কিছুই হয়নি। যারা পদ পায়নি তারাই এসব বলছেন। এখন তো কমিটি স্থগিত রয়েছে। কেন্দ্রীয় টিম যাছাই বাছাই করুক, তারপর দেখা যাবে।
তবে এ বিষয়ে জানার জন্য কেন্দ্রীয় যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী ও সহসম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/politics/173029/অর্থ-দিয়ে-যুবদলের-১১-কমিটি,-অভিযোগের-তীর-চার-নেতার-দিকে
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ২২০ পিছ ইয়াবা মাদকসহ রায়হান কবির ভূঁইয়া (২৮) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিববার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রায়পুর পৌর শহরের সর্দার বাড়ীর সুপারির বাগান থেকে ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়।
আটক রায়হান কবির ভূঁইয়া পৌরসভার ৬নং ওর্য়াড-পশ্চিম কাঞ্চনপুর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী আব্দুল মতিনের ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ জানান, রায়হান কবির দির্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর ৪নং ওয়ার্ডের সর্দার বাড়ীর সামনে মাদক বিক্রির সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই নুরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাকে আটক করেন। এসময় অন্য ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা পালিয়ে যায়।
পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি মোতালেব হোসেন ভুঁইয়া ও সাধারন সম্পাদক বাবু সুভাষ রায় বলেন, রায়হান দলের সাংগঠনিকের দায়িত্ব পালন করছেন। সে যে মাদক ব্যবসা করে তা আমরা জানতাম না। তার বিরুদ্ধে সভা করে সাংগঠনিকভাবে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল জলিল জানান, রায়হান কবিরসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/whole-country/173027/ইয়াবাসহ-আওয়ামী-লীগ-নেতা-ধরা
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
আম্বিয়া নামের এক মহিলা কর্মচারী মুখ আঁচলে ঢেকে কাঁদছিলেন আর বিলাপ করছিলেন, ‘আল্লাহ অত বালা মানুষটারে তুমি অত তাড়াতাড়ি লইয়া গেলাগি, গত ১০ বছর আমি এই স্কুলো চাকুরি করি। কিন্তু এই মানুষটা আমারে মুখ কালা কইরা একটা কথা কইছে না, কোনোদিন অত বালা মানুষ গো আল্লাহ।’ বলে আবারও বিলাপ শুরু করেন।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষের দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আম্বিয়া নামের এক মহিলা কর্মচারী মুখ আঁচলে ঢেকে কাঁদছিলেন আর বিলাপ করছিলেন, ‘আল্লাহ অত বালা মানুষটারে তুমি অত তাড়াতাড়ি লইয়া গেলাগি, গত ১০ বছর আমি এই স্কুলো চাকুরি করি। কিন্তু এই মানুষটা আমারে মুখ কালা কইরা একটা কথা কইছে না, কোনোদিন অত বালা মানুষ গো আল্লাহ।’ বলে আবারও বিলাপ শুরু করেন।
গত রোববার জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান কামালের (৪৫) মরদেহ জানাজার জন্য বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে রাখা হলে প্রিয় স্যারকে শেষবারের জন্য দেখতে এসে বিদ্যালয়ের কর্মচারী আম্বিয়া এমন আকুতি করছিলেন। তবে শুধু আম্বিয়া নন, যাঁরাই জানাজায় অংশ নিতে আসেন, সবাই এমন করে আক্ষেপ করছিলেন। জানাজায় অংশ নেওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, সুধীসমাজ সবাই আনিস কামালের অকালে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছিলেন না।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কিডনিজনিত জটিলতায় ৪৫ বছর বয়সে মারা যান আনিসুর রহমান কামাল। আর এই খবরে সুনামগঞ্জ শহরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। শোক চলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও। কেউ বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, এত অল্প বয়সে তিনি চলে গেছেন।
আনিসুর রহমান কামাল সুনামগঞ্জ শহরের একজন ভদ্র বিনয়ী মানুষ ছিলেন। শহরের যাঁরা তাঁকে চিনতেন-জানতেন, সবাই একবাক্যে বলতেন তাঁর গুণের কথা। তিনি কারো সঙ্গে মুখ কালো করে কথা বলতেন না। নিজের ভেতরের কষ্ট-দুঃখ থাকলেও তিনি কাউকে তা বুঝতে দিতেন না। বরং সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন।
আনিসুর রহমান কামাল সুনামগঞ্জ শহরের দুটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতো দেখতেন। ভালোবাসতেন। আনিস কামাল একজন প্রকৃতিপ্রেমী ছিলেন। তিনি বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে ভালোবাসতেন। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। সেখানে তাঁর খামার করার ইচ্ছাও ছিল। আর জীবদ্দশায় তিনি সারাক্ষণ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নতি আর শিক্ষার মান কীভাবে বাড়ানো যায়, তাই নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন।
সরকারি এসসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী ফারজিয়া হক ফারিন বলেন, ‘আনিস কামাল স্যার সম্পর্কে কী বলব, বুঝতে পারছি না। হঠাৎ এমন খবরে আঁতকে উঠেছিলাম, বারবার মনে হয়েছে খবরটা যেন ভুল হয়, স্যারের আরো সময় ছিল। স্যারের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা আরো অনেক কিছু শিখতে পারত, জানতে পারত। কিন্তু পরে খবরটা সত্যি হয়েছে, স্যার আর নেই।’
‘আনিস কামাল স্যার অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মানুষ ছিলেন। একজন আদর্শ শিক্ষক বলতে যা বোঝায়, স্যার তাই ছিলেন। আমাদের যখন ক্লাস করাতেন, সবাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতাম। স্যার গতানুগতিক পড়ালেখার বাইরে এসে অনেক সহজ করে পড়াতেন। স্যার আমাদের স্কুলের পড়ালেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলা করতে বেশি উৎসাহ দিতেন। একবার ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি দল আমাদের স্কুল ভিজিট করতে এসেছিল, তখন আমরা নিজেরা একটি নাটক বানিয়েছিলাম। স্যার নাটক দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন। আনিস কামাল স্যার আমার সম্পর্কে মামা ছিলেন। তিনি মেয়েদের নিজের সন্তানের মতো আচরণ করতেন।’
আনিস কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অ্যাডভোকেট এনাম আহমদ বলেন, ১৯৮২ সালে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস থ্রিতে ভর্তির সুবাদে কামালের সঙ্গে পরিচয়। আনিস কামাল ক্লাস ফোর থেকে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত এক নাম্বার ছিল। সে কখনো দ্বিতীয় হয়নি। আমাদের সাথে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স-মাস্টার্স করে। এর পর সরকারি এসসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়। ওই সময়ে তাঁর বিদেশে যাওয়ার ভালো সুযোগ-সুবিধা ছিল, উন্নত জীবনযাপনের অনেক সুবিধা ছিল। কিন্তু সে আর যায়নি। মা-বাবার সঙ্গে দেশে থেকেছে। আনিস কামাল সব সময় অন্তর্মুখী ছিল, প্রচারে বিমুখ ছিল। সে কাউকে কোনো হেল্প করলে নীরবে করত। কেউ জানতে পারত না।
আনিস কামালের দীর্ঘদিনের সহকর্মী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এ কে এম আজাদ বলেন, ‘একজন ভদ্র মানুষ বলতে যা বোঝায়, কামাল তাই ছিল। বর্তমান সময়ে যখন শিক্ষার্থীদের ক্লাসে মনোযোগী করা কষ্টের ছিল, আনিস কামাল লাঠি-বেত ছাড়াই দরজা বন্ধ করে ক্লাস নিত। কামাল যখন ক্লাস নিত, শিক্ষার্থীরা নিস্তব্ধ নীরবতার সঙ্গে মনোযোগী হয়ে ক্লাস করত। বর্তমান সময়ে যখন শিক্ষকরা প্রাইভেট আর কোচিং বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত, তখন আনিস কামাল কোচিং-বাণিজ্যের বিরোধী ছিলেন। তিনি এসবকে ঘৃণা করতেন।‘
‘কামাল সব সময় রিকশাচালককে ন্যায্য ভাড়ার থেকে দ্বিগুণ ভাড়া দিতেন। কোনো কাজ করালে শ্রমিককে বেশি পারিশ্রমিক দিতেন। বর্তমান সময়ে আনিস কামালের মতো শিক্ষক খুবই বিরল। তিনি সত্যিই একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন, সেইসঙ্গে আলোকিত মানুষ ছিলন। তাঁকে বর্তমান প্রজন্ম অনুসরণ করলে তারাও আলোকিত মানুষ হবে।’ বলছিলেন সহকারী শিক্ষক এ কে এম আজাদ।
মোহাম্মদ আনিসুর রহমান কামাল ১৯৭৫ সালের ১২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি তৃতীয় ছিলেন। তাঁর বাবা সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মো. মকবুল হোসেন, মা জোবেদা মকবুল। আনিস কামাল ২০১৬ সাল থেকে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। টানা চার বছর চিকিৎসায় থাকাকালীন গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৪৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। আনিস কামাল সুনামগঞ্জ শহরের স্বনামধন্য কিন্ডারগার্টেন সৃজন বিদ্যাপীঠের পরিচালক ছিলেন। তিনি স্ত্রী শেখ ফারজানা ইসলাম সুমা ও সিরাজুস সালেকীন সাদাত সাত বছরের ছেলে রেখে গেছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/whole-country/173026/শিক্ষক-আনিস-কামালের-জন্য-কাঁদছে-সুনমাগঞ্জ
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে শুরু হয় এ অভিযান। অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
এ বিষয়ে সারওয়ার আলম জানান, অভিযানে মাছের আড়তে কিছু মাছ দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া মাছের মধ্যে ক্ষতিকর বিভিন্ন রং ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভেজালবিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে কারওয়ান বাজারে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/national/173025/কারওয়ান-বাজার-মাছের-আড়তে-র্যাবের-অভিযান
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ট্রাম্প দম্ভ করে বলেন, আমিই যুবরাজ সালমানকে রক্ষা করেছি। তাকে ছেড়ে দিতে আমি কংগ্রেসকে পাশে পেয়েছিলাম। যুবরাজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে আমি তাদের থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলাম।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে রক্ষা করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনুসন্ধানী সাংবাদিক বব উডওয়ার্ডের প্রকাশিতব্য নতুন বইয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বইটির একটি কপি হাতে পেয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক খবরে জানিয়েছে, বইটিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প দাবি করেন খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া থেকে সৌদি যুবরাজকে তিনিই রক্ষা করেন। এমনকি বিষয়টি দম্ভ করেও বলেছিলেন তিনি।
মার্কিন অনুসন্ধানী সাংবাদিক বব উডওয়ার্ডের প্রকাশিতব্য একটি বইতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের অক্টোবরে খাশোগির আততায়ীর হাতে নিহতের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সৌদি যুবরাজকে সুরক্ষা দিয়েছিল বলে ট্রাম্প দাম্ভিকতার সঙ্গে বলেছিলেন।
খাশোগির হত্যার ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হট্টগোল লাগিয়ে দেওয়া নিয়ে উডওয়ার্ডের বইতে ট্রাম্পের একটি উদ্ধৃতি উঠে এসেছে, যাতে তিনি বলেন, আমি তাকে রক্ষা করেছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তাকে ছেড়ে দিতে আমি কংগ্রেসকে পাশে পেয়েছিলাম। যুবরাজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে আমি তাদের থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলাম।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক খাসোগি বিয়ে সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে আর ফেরত আসেননি। ৫৯ বছর বয়সী এ সাংবাদিক কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। সৌদি যুবরাজের সমালোচক এ সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইস্তাম্বুলে গিয়েছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিক উডওয়ার্ডকে সেসময় বলেছিলেন, যুবরাজের নির্দেশে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে এটি তিনি বিশ্বাস করেন না।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, এ হত্যাকাণ্ডের জন্য মোহাম্মদ বিন সালমানের সরাসরি নির্দেশ ছিল।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডে মার্কিন আইনপ্রণেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি করেন ট্রাম্প। সৌদি আরব ও আরব আমিরাতকে ৮ বিলিয়ন ডলারের মিসাইল ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করেন তিনি। এই অস্ত্র চুক্তি এবং ইয়েমেনে সৌদি-আমিরাতের অভিযানের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের তিনটি রেজুলেশন আটকে দেন তিনি।
আসছে ১৫ সেপ্টেম্বর উডওয়ার্ডের বইটি প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/abroad/173024/যুবরাজ-সালমানকে-আমিই-রক্ষা-করেছি:-ট্রাম্প
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD