রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে বেপরোয়া সন্ত্রাসীদের দমাতে না পারলে শুধু দেহরক্ষী দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। এমন মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের বিরাগভাজন হয়েই হামলার শিকার হচ্ছেন মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা। ভীতি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন চালানো সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন তারা।
৬ মে ঢাকার আশুলিয়ায় হাটবাজার পরিদর্শনে গিয়ে করোনার স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণ জানতে চাইলে রাজনৈতিক প্রভাবশালী এক ব্যক্তির হামলার শিকার হন, সহকারী কশিনার তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ।
৪ মে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নে অবৈধ বালুমহাল উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হন ইউএনও আবু হাসনাম মোহাম্মদ শহিদুল হক।
১১ মে সিলেটের টিলাগড়ে বিনামূল্যের ‘ছাগল’ না পাওয়ায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কাজী আশরাফের ওপর হামলা চালায় ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
১৭ আগস্ট রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় ভূমি অফিসে নিম্নমানের কাজ বন্ধ করে দেয়ায় রাজনৈতিক পরিচয়ধারী ঠিকাদারের হামলায় আহত হন গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন।
সবশেষ দিনাজপুরের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর বর্বোরোচিত হামলার ঘটনা।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে হামলার শিকার হচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
দেশের ৪৯২ উপজেলার ১৫০টিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে নারী। উপজেলার ভূমি, আইনশৃঙ্খলা, হাট-বাজার ইজারাসহ ৬৩টি দায়িত্ব পালন করতে হয় তাদের। মাঠ পর্যায়ে তাই নারী কর্মকর্তারাই বেশি ঝুঁকিতে।
ঘোড়াঘাটে হামলার পর রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৫৮ উপজেলায় ইউএনওদের নিরাপত্তায় আনসার নিয়োগ হয়েছে। তবে, এটাই যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন, সাবেক এই স্থানীয় সরকার সচিব।
দন্ডবিধির ১৮৬ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাজে বাধার দণ্ড তিন মাসের জেল-জরিমানা। আর ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী, আক্রমণ বা বলপ্রয়োগ করলে তিন বছরের জেল-জরিমানা।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2F7DJPs
Post Come trough : নাচোল নিউজ