
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর শহরের রামগতি সড়কের খোরশেদ মেডিকেল হলের মালিক ঔষধ বিক্রির অন্তরালে প্রতিনিয়ত রুগি দেখেন ভুয়া ডাক্তার খোরশেদ আলম। তার বিরুদ্বে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে একাধিকবার অভিযোগ দিলেও আমলে নেয়নী দায়ীত্বশীল প্রশাসন। এ নিয়ে সর্বমহলে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সুত্রে জানা যায়, খোরশেদ ইতি পূর্বে লক্ষ্মীপুর মিলেনিয়াম হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোঃ নুরুল ইসলামের চেম্বারে পিয়ন হিসেবে মাসিক দুই হাজার টাকা বেতনে চাকরী করেন। ওই হাসপাতাল থেকে সে বেরিয়ে এসে নিজে ঔষদের দোকান দিয়ে সেখানে চেম্বার বানিয়ে রিতিমত এখন শিশু ডাক্তার সেজে শিশুসহ বিভিন্ন রুগী দেখেন।
খোরশেদ আলম নিজেস্ব প্যাড তৈরী করে ওই প্যাডে আর এমপি ফার্মাসিষ্ট প্রাথমিক চিকিৎসক লেখা থাকলেও তিনি নিয়ম বহিভূত ভাবে এন্টিবায়োটিক ঔষধ ও ইনজেকশন দিচ্ছেন রুগীদের কে। তা ছাড়াও বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা নিরিক্ষা লিখে দিতে দেখা যাচ্ছে।
তিনি ডাক্তার না হয়েও ডাক্তারে মত সব পরীক্ষা নিরিক্ষা করতে প্যাড ব্যাবহার করে রুগীদের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারনা করছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।
খোরশেদ একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়া দীর্ঘদিন যাবত ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার সেজে ঔষধের ব্যাবসার অন্তরালে চিকিৎসা দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
মনে হয় তার এসব অপকর্ম দেখার বা বলার কেউ নেই।
প্রাইভেটে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে ভিজিট দিতে হয় ৩শত থেকে ৫ শত টাকা। অথচ খোরশেদ ভিজিট নিচ্ছে ১ থেকে ২শত টাকা।
তাছাড়া পরীক্ষা-নিরিক্ষা বাবত নিজেস্ব পচন্দের ল্যাবে পাঠিয়ে নিচ্ছে বাড়তি টাকা। এসব টাকা রুগী বা তাদের স্বজনদেরকে বহন করতে হচ্ছে। খোরশেদ ডাক্তার সেজে চিকিৎসা সেবার বানিজ্যতে একাধিক বাড়ী ও সম্পদের মালিক। সুশিল সমাজ ও সচেতন মহল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র্যাবসহ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2RRclrN
Post Come trough : নাচোল নিউজ