মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরের নেপা মোড়ে মা ও শিশু প্রাইভেট ক্লিনিকে ভূল অপারেশনে মরিয়ম খাতুন (৩০) নামের এক প্রসূতির করুন মৃত্যু হলে ক্লিনিক মালিক দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি দফারফা করেছে।
জানা গেছে, গত ৯ই আগস্ট উপজেলার খোসালপুর গ্রামের মকলেছুর রহমানের কন্যা মরিয়ম খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে নেপার মোড়ে মা ও শিশু প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায়। ঐ ক্লিনিকের ম্যানেজার লক্ষন দাস ও মাদক সেবী ডাক্তার সোহেল রানা কে ডেকে দুইবার অপারেশন করে। ভূল অপারেশ রোগীর রক্ত শূণ্য হয়ে গেলে ঐ ক্লিনিকের নষ্ট ফ্রিজে রাখা বি পজেটিভ রক্ত তার দেহে পুশ করলে তার খিচুনি শুরু হয় এবং কিছুক্ষন পরেই মারা যায়। ক্লিনিক মালিক কৌশলে মৃত রোগীকে জীবিত দেখিয়ে যশোর হাসপালে পাঠিয়ে দেয়। খোজ নিয়ে জানা গেছে, ক্লিনিকটির কোন লাইসেন্স নেই,নেই চিকিৎসার ন্যূনতম কোন পরিবেশ। নেই কোন ডাক্তার ও প্রশিক্ষিত নার্স। তার পরও উপর মহল কে ম্যানেজ করে মাদকখোর ভাড়াটিয়া ডাক্তার ডেকে এনে অপরেশান করে । যার কারণে প্রায় দিনই রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। একই ভাবে একতা ক্লিনিকে লাবনি খাতুন নামের এক কিশোরী গৃহবধু ৭আগষ্ট মারা যায়। রোগী মারা গেলে তাদের সাথে দেনদরবার হওয়ার কারনে ক্লিনিক মালিক গণ থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে ।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরার কাছে প্রসুতি মৃত্যুর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে কেউ এ ব্যাপারে অভিযোগ না আনায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারিনা । তার পরও স্বাস্থ্য কর্মি দিয়ে রিপোট আনা হয়েছে। মহেশপুরের ১৮টি ক্লিনিকে ডাক্তার নার্স না থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন কে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবৎ ক্লিনিক চালিয়ে যাচ্ছে মালিক গণ। তাই তাদের টিকরেটিও কেউ ছুতে পারছে না।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা খুব শিঘ্রই এব্যাপারে তদন্ত করবো,যে সব ক্লিনিকের কাগজ পত্র নেই তাদের ক্লিনিক বন্ধ করে দিবো ।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/3al0DOC
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ